দু’দিনের সফরে উত্তরাখণ্ডে প্রধানমন্ত্রী, হিমাচলী পোশাক ‘চোল ডোরা’, পরে কেদারনাথে পুজো দিলেন মোদি

- আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
- / 7
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীপাবলির আগেই একদম ঠাসা কর্মসূচী নিয়ে তিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যেই ‘দিওয়ালির উপহার’ হিসেবে দেশবাসীর জন্য একগুচ্ছ কর্মসূচী থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন, আগামী আরও কর্মসূচী রয়েছে তার।
দুদিনের উত্তরাখণ্ড সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজই ৯.৭ কিলোমিটার দীর্ঘ গৌরীকুণ্ডু-কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কেদারনাথ-বদ্রীনাথ ধামের দর্শনে সেরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে বহু প্রতীক্ষিত কেদারনাথ রোপওয়ে প্রকল্পের ঘোষণা করবেন তিনি। পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনও করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার দু’দিনের সফরে উত্তরাখণ্ডে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী যান কেদারনাথ মন্দিরে দর্শনে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে কেদারনাথ মন্দির। সকালে মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী, আরতিও করেন তিনি। সেখান থেকেই সোজা তিনি চলে যান মন্দিরের ঠিক পিছনেই অবস্থিত অবস্থিত আদি গুরু শঙ্করাচার্যের সমাধিস্থলে। পরিদর্শন করেন তিনি।
এই সফরের সবচেয়ে উল্লেকযোগ্য হল প্রধানমন্ত্রীর পোশাক। হিমাচল প্রদেশের স্থানীয় পোশাক পরেছেন তিনি। চোল ডোরা নামক এই পোশাকটি সম্প্রতিই হিমাচল প্রদেশ সফরে গিয়ে উপহার পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হিমাচলের চাম্বা জেলার এক স্থানীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে নিজের হাতে তৈরি এই পোশাক উপহার দিয়েছিলেন। সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শীঘ্রই তিনি এই পোশাক পরবেন। আজ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেই উপহার পাওয়া সেই শীতের পোশাক পরে কেদারনাথ মন্দিরে পুজো দেন।
কেদারনাথ থেকেই এরপর বদ্রীনাথে গেলেন বদ্রীনাথ মন্দিরে। সেখানে মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর বদ্রীনাথ মাস্টারপ্ল্যানের অধীনে চলা নির্মাণকাজের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ মন্দিরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইটিবিপি জওয়ান। এছাড়াও ৭ নম্বর জাতীয় সড়ক চওড়া করা, যা ঋষিকেশ, জোশীমঠ ও বদ্রীনাথের সঙ্গে দেহরাদুন, চণ্ডীগঢ় ও রুদ্রপ্রয়াগকে যুক্ত করবে, সেই সড়ক প্রকল্পেরও ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন। পিএমও’র বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্রের উন্নয়ন কর্মসূচী গুলি উত্তরাখণ্ডের পর্যটনকে আরও বেশি উৎসাহিত করবে এবং এটি এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও বেশি ত্বরানিত করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকালে উত্তরাখণ্ডের একাধিক পথ প্রশস্তকরণের জন্য এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন।