নয়াদিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসার পর ভারতের প্রধনমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের এই প্রথম বৈঠক ঘিরে উন্মাদনা বাড়ছে দুই দেশেই, বিশেষ করে বাণিজ্য মহলে। এই বিদেশ সফরের প্রথমে মোদি যাচ্ছেন ফ্রান্সে। সোমবার যাত্রা শুরুর সময় তিনি জানিয়ে দিলেন বন্ধু ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে উন্মুখ হয়ে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে ইঞ্জিনিয়ার রাশিদকে দুদিনের প্যারোলে মুক্তি দিল দিল্লি হাইকোর্ট
ফ্রান্সে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি আগাম জানিয়ে দিতে চাইলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তিনি কতটা আগ্রহী হয়ে রয়েছেন। কয়েকদিন ধরে ভারতের রাজনীতিতে এই দুই রাষ্ট্রনেতার বন্ধুত্ব নিয়ে জবরদস্ত আলোচনা চলছে, এমনকি ভারতের সংসদেও শোনা গেছে তাঁদের বন্ধুত্বের অমরকথা। বিশেষ করে ১০৪ জন ভারতীয় অভিবাসীকে হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে আমেরিকা থেকে বিতাড়নের পরপরই এই দোস্তির প্রসঙ্গ সামনে আসছে।
সকলেই প্রশ্ন তুলেছেন ‘আমার পরম মিত্র’ বলে ট্রাম্পকে সম্বোধন করা নরেন্দ্র মোদির দেশের মানুষদের এভাবে জঙ্গির মতো ব্যবহার করা হয়েছে কেন? বিব্রত বিজেপি নেতারা জানাবার চেষ্টা করেছেন বারবার, যে এরপর ভারতীয়দের বিতাড়ন করা হলেও হাতে-পায়ে বেড়ি পরানো আর হবে না। কেননা অবৈধভাবে সেদেশে বসবাসকারী এবং অবৈধভাবে আমেরিকায় প্রবেশকারী এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ভারতীয়কে শনাক্ত করা হয়েছে।
তাদের ফেরত পাঠানো হবে ভারতে। অবৈধ অভিবাসী বিতাড়ন শুরু করে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তাই সবারই নজর রয়েছে পরম মিত্র মোদি কী পারবেন ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসন প্রকোপ থেকে ভারতীয়দের বাদ রাখতে।অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমেরিকায় গিয়েই ট্রাম্পকে খুশি করার জন্য আমেরিকার পণ্যে আমদানি শুল্ক কম করার ঘোষণা করতে পারেন।
ফলে ভারতের বাজারে আমেরিকার বিভিন্ন পণ্য ইলেকট্রিক যন্ত্রাংশ, লাক্সারি গাড়ি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ব্যবহৃত সাজ-সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি এবার সস্তা হবে। রফতানি বেড়ে যাবে আমেরিকার। ট্রাম্প যখন দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে বাণিজ্য-যুদ্ধে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তার জবার তাঁরই কায়দায় দিয়ে মন জয় করতে পারেন মোদি। ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন অন্যান্য দেশের পণ্যে শুল্ক চাপিয়ে তাদের কিছুটা জব্দ করতে। সেখানে আমেরিকার পণ্য ভারতের বাজারে আরও বেশি করে প্রবেশ করতে পারবে।
এছাড়া ডিফেন্স নিয়েও দুই দেশের মধ্যে বড় চুক্তি রয়েছে তাতে আরও বিস্তার ঘটতে পারে এইবারের বৈঠকে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা ভারতের সবচেয়ে বড় বিজনেস পার্টনার। সেই সম্পর্ক আরও উন্নত হতে চলেছ। শুধু একটি মাত্র দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে মোদিকে এবার ওয়াশিংটনে যেতে হচ্ছে আর সেটা হলো আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের হাতে-পায়ে বেড়ি পরানোর ঘটনা।
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী বিমানে চড়লেন বটে কিন্তু ছন্দপতন হয়ে গেছে ভারতীয়দের হাতে-পায়ে বেড়ি পরানোর ঘটনা। শত নিন্দাবাক্য শুনেও মুখ খুলতে পারছিলেন না মোদি। তাই সফরের শুরুতেই ট্রাম্পকে আবার বন্ধু সম্বোধন করে অগ্রিম দোস্তির পয়গাম দিয়ে রাখলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মেনেই প্রথম দিনের পরীক্ষা সম্পন্ন