১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক Siddique Kappan-এর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 43

উদ্বিগ্ন সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রী

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গভীর রাতে সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানের (Siddique Kappan) বাড়িতে পুলিশের তল্লাসি। গভীর রাতে কেরল পুলিশের দু’জন অফিসার সাংবাদিকের বাড়ি তল্লাশি চালায় বলে খবর। শনিবার উর্দিধারী দুই পুলিশ অফিসার সাংবাদিকের বাড়ি আসেন। নিজেদের ভেঙ্গারা এবং তিরুর থানা থেকে এসেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। সিদ্দিকি কাপ্পান (Siddique Kappan) এবং স্ত্রী রায়হনাথ বিষয়টিকে স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন। কাপ্পানের স্ত্রী বলেন, সিদ্দিকি কাপ্পান মধ্যরাতের পরে বাড়িতে থাকেন কিনা অফিসাররা জানতে চান। মালাপ্পুরম থেকে একটি দল তাঁর বাড়িতে আসবেন বলেও জানান। তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে অফিসাররা নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানাননি। এটিকে মামলার একটি অংশ বলে বর্ণনা করেন তাঁরা। সিদ্দিকি কাপ্পান (Siddique Kappan) বাড়িতে আছেন কিনা এবং রাত ১২টার পর আবার তল্লাশি চালাতে আসবেন বলে সাংবাদিকের স্ত্রীকে জানান পুলিশ আধিকারিকরা। এটি একটি রুটিনমাফিক তল্লাশি বলা হলেও তাঁদের মনে হয়নি।

আরও পড়ুন: Telangana: প্রথম তফসিলিদের জন্য শ্রেণিবিন্যাস চালু

কাপ্পান জানান, ভেঙ্গারা থানা তাঁদের বাড়ি থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে। তাঁদের বাড়ি আসার সময় বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অফিসাররা। এতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় বলেও জানান তিনি। কাপ্পান সন্ধ্যার সেই সাক্ষাতের কথা বর্ণনা করে বলেন, “অফিসাররা এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি সিদ্দিক কাপ্পান?’ আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি তাদের ভিতরে আসার জন্য বলি, কিন্তু তারা রাজি হননি। মধ্যরাতের পরে একটি দল ‘নিয়মিত তল্লাশির’ জন্য আসবে বলেও কাপ্পানকে (Siddique Kappan) অফিসাররা জানান। সেই সময়ে পুলিশের আসাটা খুব একটা নিয়মিত মনে হয়নি। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার আইনজীবী দানিশের সাথে যোগাযোগ করি এবং তাঁকে অফিসারদের বিষয়ে জানাই।” রায়হানথ কাপ্পান বলেন, কাপ্পানের মুক্তির পর থেকে  নিয়মিত পুলিশি নজরদারির সম্মুখীন হতে হয়েছে। “সে যেখানেই যায় তারা তাকে অনুসরণ করে, তাঁর ছবি তোলে এবং প্রায়শই আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা জামিনের সমস্ত শর্ত মেনে চলছি, প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দেওয়া হয়। তবে মাঝরাতে পুলিশ আসা সমর্থনযোগ্য নয়।”  কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস, যার সদস্য কাপ্পান, তারাও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কাপ্পানকে (Siddique Kappan) গ্রেফতার করে। ১৯ বছরের এক দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ ও হত্যা খবর করতে হাথরাসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।কট্টর UAPA আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়। দুই বছর জেলেবন্দি ছিলেন। তারপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। কেরল পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাংবাদিক Siddique Kappan-এর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি

আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

উদ্বিগ্ন সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রী

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গভীর রাতে সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানের (Siddique Kappan) বাড়িতে পুলিশের তল্লাসি। গভীর রাতে কেরল পুলিশের দু’জন অফিসার সাংবাদিকের বাড়ি তল্লাশি চালায় বলে খবর। শনিবার উর্দিধারী দুই পুলিশ অফিসার সাংবাদিকের বাড়ি আসেন। নিজেদের ভেঙ্গারা এবং তিরুর থানা থেকে এসেছেন বলে দাবি করেন তাঁরা। সিদ্দিকি কাপ্পান (Siddique Kappan) এবং স্ত্রী রায়হনাথ বিষয়টিকে স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছেন। কাপ্পানের স্ত্রী বলেন, সিদ্দিকি কাপ্পান মধ্যরাতের পরে বাড়িতে থাকেন কিনা অফিসাররা জানতে চান। মালাপ্পুরম থেকে একটি দল তাঁর বাড়িতে আসবেন বলেও জানান। তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে অফিসাররা নির্দিষ্ট কোনও কারণ জানাননি। এটিকে মামলার একটি অংশ বলে বর্ণনা করেন তাঁরা। সিদ্দিকি কাপ্পান (Siddique Kappan) বাড়িতে আছেন কিনা এবং রাত ১২টার পর আবার তল্লাশি চালাতে আসবেন বলে সাংবাদিকের স্ত্রীকে জানান পুলিশ আধিকারিকরা। এটি একটি রুটিনমাফিক তল্লাশি বলা হলেও তাঁদের মনে হয়নি।

আরও পড়ুন: Telangana: প্রথম তফসিলিদের জন্য শ্রেণিবিন্যাস চালু

কাপ্পান জানান, ভেঙ্গারা থানা তাঁদের বাড়ি থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরে। তাঁদের বাড়ি আসার সময় বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন অফিসাররা। এতে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় বলেও জানান তিনি। কাপ্পান সন্ধ্যার সেই সাক্ষাতের কথা বর্ণনা করে বলেন, “অফিসাররা এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কি সিদ্দিক কাপ্পান?’ আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি তাদের ভিতরে আসার জন্য বলি, কিন্তু তারা রাজি হননি। মধ্যরাতের পরে একটি দল ‘নিয়মিত তল্লাশির’ জন্য আসবে বলেও কাপ্পানকে (Siddique Kappan) অফিসাররা জানান। সেই সময়ে পুলিশের আসাটা খুব একটা নিয়মিত মনে হয়নি। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার আইনজীবী দানিশের সাথে যোগাযোগ করি এবং তাঁকে অফিসারদের বিষয়ে জানাই।” রায়হানথ কাপ্পান বলেন, কাপ্পানের মুক্তির পর থেকে  নিয়মিত পুলিশি নজরদারির সম্মুখীন হতে হয়েছে। “সে যেখানেই যায় তারা তাকে অনুসরণ করে, তাঁর ছবি তোলে এবং প্রায়শই আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা জামিনের সমস্ত শর্ত মেনে চলছি, প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দেওয়া হয়। তবে মাঝরাতে পুলিশ আসা সমর্থনযোগ্য নয়।”  কেরল ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস, যার সদস্য কাপ্পান, তারাও এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ কাপ্পানকে (Siddique Kappan) গ্রেফতার করে। ১৯ বছরের এক দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ ও হত্যা খবর করতে হাথরাসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।কট্টর UAPA আইনের অধীনে অভিযুক্ত করা হয়। দুই বছর জেলেবন্দি ছিলেন। তারপর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান। কেরল পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি।