১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরিব, যুবক, কৃষক, মহিলা এই চারটি’ই আমার কাছে সব থেকে বড় জাত: মোদি

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 5

নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর: বিহারের নীতীশ কুমার সরকার জাতভিত্তিক সমীক্ষা করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আদালতে মামলা করেও বিহার সরকারের এই পদক্ষেপকে রোখা যায়নি। বিহারের পর আরও একাধিক রাজ্য জাতিভিত্তিক সমীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছে। আর এই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। যা নিয়ে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পর্যন্ত ঢোক গিলে বলতে হয়েছে, বিজেপি জাত-সমীক্ষার বিরোধী নয়।

 

এই পরিস্থিতিতে এবার আসরে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসসি, এসটি, এবিসি ও ইবিসি এই ৪ জাতির পালটা প্রধানমন্ত্রীর অস্ত্র—গরিব, যুবক, কৃষক ও মহিলা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তাঁর কাছে যে চারটি জাতি সবথেকে বড় তা হল এই গরিব, যুবক, কৃষক ও মহিলা। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া হল-জাতভিত্তিক সমীক্ষা যে বিজেপিকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলেছে তা প্রধানমন্ত্রীর এভাবে আসরে নামা থেকে স্পষ্ট।

 

বৃহস্পতিবার ‘বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রা’য় ভার্চুয়াল ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল গরিব। আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল কৃষক। আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল যুবক। আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল মহিলা। এই চার বর্ণের উন্নতিই ভারতকে উন্নত করবে। তাদের উত্থান দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি এই চার জাতির ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছি।’ দেশজুড়ে যাতে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সুবিধা সাধারণ মানুেষর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এই সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছে। এদিন এই সংকল্প যাত্রার সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই যাত্রার নাম দিয়েছিলাম ‘বিকাশ রথ’। কিন্তু, এই ১৫ দিনের মধ্যেই সাধারণ মানুষ এর নাম পাল্টে ‘মোদি গ্যারান্টি গাড়ি’ নামকরণ করেছে।

 

বিরোধীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যদের থেকে যখন মানুষের প্রত্যাশা শেষ হয়ে যায় সেখান থেকেই শুরু হয় মোদির গ্যারান্টি। ভারত থেমে যাবে না। ক্লান্ত হবে না। কারণ, মানুষ দেশকে উন্নত করার সংকল্প করেছে। দেশের বিভিন্ন কোণে এই যাত্রার জন্য বিপুল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার একটি কারণ-মানুষ গত ১০ বছরে মোদিকে দেখেছে, তাঁর কাজকে দেখেছে। আর তাই কেন্দ্রের প্রতি মানুষের অগাধ আস্থা তৈরি হয়েছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল সেইসব নেতা-নেত্রীরা নিজেদেরকে জনগণের ‘বাবা’ ভাবত। এখন সেই কালচারের পরিবর্তন হয়েছে। বিজেপির কাছে জনগণ ভগবান।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গরিব, যুবক, কৃষক, মহিলা এই চারটি’ই আমার কাছে সব থেকে বড় জাত: মোদি

আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

নয়াদিল্লি, ৩০ নভেম্বর: বিহারের নীতীশ কুমার সরকার জাতভিত্তিক সমীক্ষা করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। আদালতে মামলা করেও বিহার সরকারের এই পদক্ষেপকে রোখা যায়নি। বিহারের পর আরও একাধিক রাজ্য জাতিভিত্তিক সমীক্ষা করার কথা ঘোষণা করেছে। আর এই নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। যা নিয়ে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পর্যন্ত ঢোক গিলে বলতে হয়েছে, বিজেপি জাত-সমীক্ষার বিরোধী নয়।

 

এই পরিস্থিতিতে এবার আসরে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসসি, এসটি, এবিসি ও ইবিসি এই ৪ জাতির পালটা প্রধানমন্ত্রীর অস্ত্র—গরিব, যুবক, কৃষক ও মহিলা। প্রধানমন্ত্রী বললেন, তাঁর কাছে যে চারটি জাতি সবথেকে বড় তা হল এই গরিব, যুবক, কৃষক ও মহিলা। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া হল-জাতভিত্তিক সমীক্ষা যে বিজেপিকে কতটা অস্বস্তিতে ফেলেছে তা প্রধানমন্ত্রীর এভাবে আসরে নামা থেকে স্পষ্ট।

 

বৃহস্পতিবার ‘বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রা’য় ভার্চুয়াল ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল গরিব। আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল কৃষক। আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল যুবক। আমার কাছে সবথেকে বড় জাত হল মহিলা। এই চার বর্ণের উন্নতিই ভারতকে উন্নত করবে। তাদের উত্থান দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি এই চার জাতির ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছি।’ দেশজুড়ে যাতে কেন্দ্রের প্রকল্পগুলির সুবিধা সাধারণ মানুেষর কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যেই এই সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছে। এদিন এই সংকল্প যাত্রার সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এই যাত্রার নাম দিয়েছিলাম ‘বিকাশ রথ’। কিন্তু, এই ১৫ দিনের মধ্যেই সাধারণ মানুষ এর নাম পাল্টে ‘মোদি গ্যারান্টি গাড়ি’ নামকরণ করেছে।

 

বিরোধীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যদের থেকে যখন মানুষের প্রত্যাশা শেষ হয়ে যায় সেখান থেকেই শুরু হয় মোদির গ্যারান্টি। ভারত থেমে যাবে না। ক্লান্ত হবে না। কারণ, মানুষ দেশকে উন্নত করার সংকল্প করেছে। দেশের বিভিন্ন কোণে এই যাত্রার জন্য বিপুল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার একটি কারণ-মানুষ গত ১০ বছরে মোদিকে দেখেছে, তাঁর কাজকে দেখেছে। আর তাই কেন্দ্রের প্রতি মানুষের অগাধ আস্থা তৈরি হয়েছে। আগে যারা ক্ষমতায় ছিল সেইসব নেতা-নেত্রীরা নিজেদেরকে জনগণের ‘বাবা’ ভাবত। এখন সেই কালচারের পরিবর্তন হয়েছে। বিজেপির কাছে জনগণ ভগবান।