২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রচন্ড দাবদাহে ফুল ও সবজি চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার
  • / 10

মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: প্রচণ্ড গরমের কারণে নেতিয়ে পড়ছে দোপাটি, গোলাপ, গাঁদা, জারবেরা অপরাজিতার ফুলের গাছ। বাগিচার উপর কাপড় ঢেকে ফুলের চারাগাছ বাঁচাতে মাঠে নেমে পড়েছে ফুল চাষিরা। বারবার দেওয়া হচ্ছে জল। শুধু ফুল নয় গরমেও সবজি গাছেরও তথৈবচ অবস্থা। হাওড়া গ্রামীণ জেলার ফুল সবজি চাষিরা প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে ফুল ও সবজি বাঁচাতে এক প্রকার নাজেহাল। দাবদাহ থেকে গাছ বাঁচাতে সেচ বাড়াতে হচ্ছে চাষিদের। যার কারণে সেচের খরচ বাড়ছে কৃষকদের। হাওড়া গ্রামীণ জেলার বাগনান, আমতা উদয়নারায়ণপুর-শামপুর-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে গরমের জন্য বিপাকে চাষিরা। অনেকে নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা রিভার লিফটিং ইরিগেশনের মাধ্যমে কিছু চাষ করতে পারছে।

প্রচন্ড দাবদাহে ফুল ও সবজি চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা

আবার যেখানে রিভার লিফটিং ইরিগেশন ব্যবস্থা নেই সেখানে চাষে জল সেচ করতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রিভার লিফটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন চাষিরা। সপ্তাহে একবার সেচ দিলেই যেখানে সমস্যা মিটে যেত তখন দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সপ্তাহে দু’বার করে জলসেচ দিতে হচ্ছে। আমতা-২ ব্লকের থলিয়া এলাকার চাষি সুকুমার দেয়াসী বলেন, ছয় বিঘা জমিতে বরবটি-ঝিঙে-চিচিঙ্গে-শসা-বাদাম চাষ করেছেন। সবজি গাছ কতটা বাঁচিয়ে রাখতে পারব তাই নিয়ে চিন্তায় সুকুমার দেয়াসী। তিনি বলেন, জলসেচ করতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। বহু চাষি ঠিক মতো সেচ না দিতে পারায় খেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাওড়া গ্রামীণ জেলার বাগনান-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ফুলের চাষ গরমে ক্ষতির মুখে। বাগনানের বাঁকুড়দহর ফুল চাষি দীপক ধাড়া গরমে তার বাগিচার দোপাটি ফুলের চারা বাঁচাতে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। আর এক ফুল চাষি পুলক ধাড়া বলেন, এ সময় দোপাটি-গাঁদা- গোলাপ-জারবেরা-অপরাজিতা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। গরমে গাছের পাতা ঝলসে যাচ্ছে। গাছ বাঁচাতে প্রায় প্রতিদিনই জল সেচ করতে হচ্ছে। চাষিদের বেশি সেচ দিতে হচ্ছে। বহু ফুল চাষি বাগিচার উপর কাপড় লাগিয়ে রোদের হাত থেকে গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রচন্ড দাবদাহে ফুল ও সবজি চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা

আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২২, বুধবার

মুহাম্মদ রাকিব, উলুবেড়িয়া: প্রচণ্ড গরমের কারণে নেতিয়ে পড়ছে দোপাটি, গোলাপ, গাঁদা, জারবেরা অপরাজিতার ফুলের গাছ। বাগিচার উপর কাপড় ঢেকে ফুলের চারাগাছ বাঁচাতে মাঠে নেমে পড়েছে ফুল চাষিরা। বারবার দেওয়া হচ্ছে জল। শুধু ফুল নয় গরমেও সবজি গাছেরও তথৈবচ অবস্থা। হাওড়া গ্রামীণ জেলার ফুল সবজি চাষিরা প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে ফুল ও সবজি বাঁচাতে এক প্রকার নাজেহাল। দাবদাহ থেকে গাছ বাঁচাতে সেচ বাড়াতে হচ্ছে চাষিদের। যার কারণে সেচের খরচ বাড়ছে কৃষকদের। হাওড়া গ্রামীণ জেলার বাগনান, আমতা উদয়নারায়ণপুর-শামপুর-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে গরমের জন্য বিপাকে চাষিরা। অনেকে নদী তীরবর্তী এলাকায় থাকা রিভার লিফটিং ইরিগেশনের মাধ্যমে কিছু চাষ করতে পারছে।

প্রচন্ড দাবদাহে ফুল ও সবজি চাষে ক্ষতির সম্ভাবনা

আবার যেখানে রিভার লিফটিং ইরিগেশন ব্যবস্থা নেই সেখানে চাষে জল সেচ করতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। রিভার লিফটিং ব্যবস্থার মাধ্যমে চাষ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন চাষিরা। সপ্তাহে একবার সেচ দিলেই যেখানে সমস্যা মিটে যেত তখন দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সপ্তাহে দু’বার করে জলসেচ দিতে হচ্ছে। আমতা-২ ব্লকের থলিয়া এলাকার চাষি সুকুমার দেয়াসী বলেন, ছয় বিঘা জমিতে বরবটি-ঝিঙে-চিচিঙ্গে-শসা-বাদাম চাষ করেছেন। সবজি গাছ কতটা বাঁচিয়ে রাখতে পারব তাই নিয়ে চিন্তায় সুকুমার দেয়াসী। তিনি বলেন, জলসেচ করতে অনেক বেশি খরচ হচ্ছে। বহু চাষি ঠিক মতো সেচ না দিতে পারায় খেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হাওড়া গ্রামীণ জেলার বাগনান-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ফুলের চাষ গরমে ক্ষতির মুখে। বাগনানের বাঁকুড়দহর ফুল চাষি দীপক ধাড়া গরমে তার বাগিচার দোপাটি ফুলের চারা বাঁচাতে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। আর এক ফুল চাষি পুলক ধাড়া বলেন, এ সময় দোপাটি-গাঁদা- গোলাপ-জারবেরা-অপরাজিতা ফুলের চাষ হয়ে থাকে। গরমে গাছের পাতা ঝলসে যাচ্ছে। গাছ বাঁচাতে প্রায় প্রতিদিনই জল সেচ করতে হচ্ছে। চাষিদের বেশি সেচ দিতে হচ্ছে। বহু ফুল চাষি বাগিচার উপর কাপড় লাগিয়ে রোদের হাত থেকে গাছ বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।