২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুল ও অফিসে জামাতে নামায আদায় করা যাবে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ জুলাই ২০২২, শুক্রবার
  • / 7

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ মার্কিন মুসলিমদের জন্য খুশির খবর। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ‘স্কুল ও সরকারি দফতরে মুসলিমদের জামাতে নামায আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে’ সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সাথে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণায় মার্কিন মুলুকে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হবে ও সরকারি কর্মচারীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সম্মান নিশ্চিত করা যাবে।

 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ‘কর্মস্থলে সরকারি কর্মীদের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ’ বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের ব্যাখ্যায় ওই মন্তব্য করেছেন। আমেরিকার কেন্দ্রীয় বিচারকরা বলেছেন, ‘জামাতে নামায আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাটি আইনের প্রথম সংশোধন বিরোধী। অথচ আইনের প্রথম সংশোধনের মাধ্যমেই সব কর্মচারীর ধর্মীয় বিশ্বাস সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে।’

 

সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় বেঞ্চের ৯ জন বিচারপতির ৬ জনই মুসলিমদের জামাতে নামায আদায়ের অনুমতির পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ৩ জন বিচারক অনুমতির বিপক্ষে। ওয়াশিংটন হাই স্কুলের জোসেফ কেনেডি নামের একজন প্রাক্তন ফুটবল কোচ ম্যাচের পর ৫০ গজ লাইনে মুসলিম ছাত্রদের জামাতে নামায আদায়ের অনুমতি দিয়েছিলেন। এই কারণে তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। তখন ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের জামাতে নামায আদায়ের’ ইস্যুটি ফের সামনে আসে।

 

জোসেফ কেনেডি এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণেই তিনি ফুটবল মাঠে স্কুলের মুসলিম ছাত্রদের জামাতে নামায আদায়ের অনুমতি দিয়েছিলেন। এই অনুমতি কখনই আইনবিরোধী নয়। আদালত রায়ে লিখেছে, দেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধন সরকারকে ‘ধর্মীয় বিধানের প্রতি সম্মান প্রদানের বিরুদ্ধে যেকোনও আইন তৈরি থেকে বিরত রাখে।’

 

আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে সরকারের ‘এক ধর্মের ওপর অন্য ধর্মের প্রধান্য দানের’ পদক্ষেপের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হল। বিচারপতি নেল গোর্সেস লিখেছেন, ‘আইন আমাদের পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে উদ্বুদ্ধ করে, পরস্পরের অধিকার লঙ্ঘনকে নয়।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্কুল ও অফিসে জামাতে নামায আদায় করা যাবে

আপডেট : ১ জুলাই ২০২২, শুক্রবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ মার্কিন মুসলিমদের জন্য খুশির খবর। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট ‘স্কুল ও সরকারি দফতরে মুসলিমদের জামাতে নামায আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে’ সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সাথে সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই ঘোষণায় মার্কিন মুলুকে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হবে ও সরকারি কর্মচারীদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে সম্মান নিশ্চিত করা যাবে।

 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা ‘কর্মস্থলে সরকারি কর্মীদের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ’ বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের ব্যাখ্যায় ওই মন্তব্য করেছেন। আমেরিকার কেন্দ্রীয় বিচারকরা বলেছেন, ‘জামাতে নামায আদায়ের ওপর নিষেধাজ্ঞাটি আইনের প্রথম সংশোধন বিরোধী। অথচ আইনের প্রথম সংশোধনের মাধ্যমেই সব কর্মচারীর ধর্মীয় বিশ্বাস সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করা হয়েছে।’

 

সুপ্রিম কোর্টের বিচার বিভাগীয় বেঞ্চের ৯ জন বিচারপতির ৬ জনই মুসলিমদের জামাতে নামায আদায়ের অনুমতির পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপরীতে ৩ জন বিচারক অনুমতির বিপক্ষে। ওয়াশিংটন হাই স্কুলের জোসেফ কেনেডি নামের একজন প্রাক্তন ফুটবল কোচ ম্যাচের পর ৫০ গজ লাইনে মুসলিম ছাত্রদের জামাতে নামায আদায়ের অনুমতি দিয়েছিলেন। এই কারণে তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন। তখন ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের জামাতে নামায আদায়ের’ ইস্যুটি ফের সামনে আসে।

 

জোসেফ কেনেডি এ নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণেই তিনি ফুটবল মাঠে স্কুলের মুসলিম ছাত্রদের জামাতে নামায আদায়ের অনুমতি দিয়েছিলেন। এই অনুমতি কখনই আইনবিরোধী নয়। আদালত রায়ে লিখেছে, দেশের সংবিধানের প্রথম সংশোধন সরকারকে ‘ধর্মীয় বিধানের প্রতি সম্মান প্রদানের বিরুদ্ধে যেকোনও আইন তৈরি থেকে বিরত রাখে।’

 

আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে সরকারের ‘এক ধর্মের ওপর অন্য ধর্মের প্রধান্য দানের’ পদক্ষেপের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হল। বিচারপতি নেল গোর্সেস লিখেছেন, ‘আইন আমাদের পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে উদ্বুদ্ধ করে, পরস্পরের অধিকার লঙ্ঘনকে নয়।’