১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে আরও উন্নত ভারত গড়ার ডাক প্রধানমন্ত্রীর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৫ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
  • / 10

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির উদযাপনে অমৃত মহোৎসব-এর উদযাপন শুরু করেছিল কেন্দ্র সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর থেকে ১০০ বছরের যাত্রাকে অমৃত কাল বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আজ এই বিশেষ দিনে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে একাধিক বিষয় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। দিলেন উন্নত ভারত গড়ার ডাক। দেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘পাঁচ প্রণ’-এর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ভারত আর কারুর কাছে গোলামি করতে হবে না, দেশ একটি আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত হবে।

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জোয়ারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কৃষিকাজ থেকে শিল্প- দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। ধীরে ধীরে ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত হচ্ছে দেশ। বর্তমানে বন্দে ভারত ট্রেন গোটা বিশ্বের কাছে এইক অনন্য নজির তৈরি করেছে। যুব প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন সুযোগের তৈরি হচ্ছে। ভারত আজ অন্য দেশের কাছে অনুপ্রেরণা।

করোনাকালে যেভাবে দেশবাসী মিলিতভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন, তা নজির বিহীন। বর্তমানে ভারতের চিন্তাভাবনা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আজ ভারতের শক্তি কারোর থেকে কম নয়। এর আমাদের নিজেদের উপর গর্ব হওয়া উচিত।

স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে দুর্নীতি দমন নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্নীতি করে রক্ষা পেয়ে যাবেন, এই ধারণা ভুল। দুর্নীতি করলে কেউ বাঁচতে পারবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও লড়াই করতে হবে। দুর্নীতিকে ঘৃণা করলে, তবেই দুর্নীতি রোখা সম্ভব। দেশ থেকে যত টাকা লুঠ হয়েছে, তা ফেরানোর চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ করতে হবে।’

এ দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার একশো বছর পূরণ হবে৷ সেকথা মাথায় রেখে এ দিনই পাঁচ সংকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদির কথায় যা ‘পাঁচ প্রণ’৷

প্রধানমন্ত্রী যে পাঁচ লক্ষ্যের কথা বলেছেন, তার মধ্যে রয়েছে- উন্নত ভারত নির্মাণ সব অর্থেই গোলামি বন্ধ করে একশো শতাংশ স্বাধীন বোধ করা, নিজেদের ঐতিহ্য এবং অতীত নিয়ে গর্ব বোধ করা, একতা এবং নাগরিকদের কর্তব্য পালন৷

এ কথা জানাতে ভোলেননি, তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি স্বাধীনতার পরে জন্মেও দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী এদিন গর্বের সঙ্গে বলেন, দেশকে আরও উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০১৪ সাল থেকে আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন দেশবাসী। তার জন্য আমি গর্বিত। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সেনাবাহিনী, চিকিৎসাক্ষেত্র সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে। স্টার্টআপ শিল্পগুলির জন্য ডিজিটাল ইন্ডিয়া এক নতুন দিশা পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আমরা আদিবাসী সংগ্রামের কথা ভুলতে পারি না। ভগবান বীরসা মুন্ডা, সিধু-কানহু, আল্লুরি সীতারামা রাজু, গোবিন্দ গুরুর মতো এমন অসংখ্য নাম রয়েছে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের অসামান্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে আরও উন্নত ভারত গড়ার ডাক প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ১৫ অগাস্ট ২০২২, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির উদযাপনে অমৃত মহোৎসব-এর উদযাপন শুরু করেছিল কেন্দ্র সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর থেকে ১০০ বছরের যাত্রাকে অমৃত কাল বলে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আজ এই বিশেষ দিনে লাল কেল্লার মঞ্চ থেকে একাধিক বিষয় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী। দিলেন উন্নত ভারত গড়ার ডাক। দেশকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘পাঁচ প্রণ’-এর কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ভারত আর কারুর কাছে গোলামি করতে হবে না, দেশ একটি আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত হবে।

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের জোয়ারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কৃষিকাজ থেকে শিল্প- দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। ধীরে ধীরে ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত হচ্ছে দেশ। বর্তমানে বন্দে ভারত ট্রেন গোটা বিশ্বের কাছে এইক অনন্য নজির তৈরি করেছে। যুব প্রজন্মের জন্য নতুন নতুন সুযোগের তৈরি হচ্ছে। ভারত আজ অন্য দেশের কাছে অনুপ্রেরণা।

করোনাকালে যেভাবে দেশবাসী মিলিতভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন, তা নজির বিহীন। বর্তমানে ভারতের চিন্তাভাবনা বিশ্বকে প্রভাবিত করে। আজ ভারতের শক্তি কারোর থেকে কম নয়। এর আমাদের নিজেদের উপর গর্ব হওয়া উচিত।

স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে দুর্নীতি দমন নিয়ে কঠোর বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্নীতি করে রক্ষা পেয়ে যাবেন, এই ধারণা ভুল। দুর্নীতি করলে কেউ বাঁচতে পারবেন না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও লড়াই করতে হবে। দুর্নীতিকে ঘৃণা করলে, তবেই দুর্নীতি রোখা সম্ভব। দেশ থেকে যত টাকা লুঠ হয়েছে, তা ফেরানোর চেষ্টা করতে হবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ করতে হবে।’

এ দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার একশো বছর পূরণ হবে৷ সেকথা মাথায় রেখে এ দিনই পাঁচ সংকল্পের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী৷ নরেন্দ্র মোদির কথায় যা ‘পাঁচ প্রণ’৷

প্রধানমন্ত্রী যে পাঁচ লক্ষ্যের কথা বলেছেন, তার মধ্যে রয়েছে- উন্নত ভারত নির্মাণ সব অর্থেই গোলামি বন্ধ করে একশো শতাংশ স্বাধীন বোধ করা, নিজেদের ঐতিহ্য এবং অতীত নিয়ে গর্ব বোধ করা, একতা এবং নাগরিকদের কর্তব্য পালন৷

এ কথা জানাতে ভোলেননি, তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যিনি স্বাধীনতার পরে জন্মেও দেশ সেবার সুযোগ পেয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী এদিন গর্বের সঙ্গে বলেন, দেশকে আরও উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০১৪ সাল থেকে আমায় দায়িত্ব দিয়েছেন দেশবাসী। তার জন্য আমি গর্বিত। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য সকল দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সেনাবাহিনী, চিকিৎসাক্ষেত্র সহ সমস্ত ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে। স্টার্টআপ শিল্পগুলির জন্য ডিজিটাল ইন্ডিয়া এক নতুন দিশা পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আমরা আদিবাসী সংগ্রামের কথা ভুলতে পারি না। ভগবান বীরসা মুন্ডা, সিধু-কানহু, আল্লুরি সীতারামা রাজু, গোবিন্দ গুরুর মতো এমন অসংখ্য নাম রয়েছে যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের অসামান্য ভূমিকা নিয়েছিলেন।