১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই বেলা খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত শ্রীলঙ্কায়

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দুই বেলা খাবারের দাবিতে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। চলমান সংকটে কাজ হারিয়ে বেকার হওয়া এবং কয়েকশো দিনমজুর কলম্বোতে খাবার নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখানে কলম্বো-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করছে। সমাজকর্মীআকুশলা ফার্নান্দো বলেন, ‘৯ এপ্রিল থেকে আমরা খাবার বিতরণ করছি। আমরা চাই প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করুন। তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না এবং দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছেন’।

 

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ, পণ্য ও খাদ্য সহায়তা পেয়ে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে খাবার বিতরণ করেছে তাঁর সংস্থা। আকুশলা বলেন, কর্মরত এবং বেকার মানুষ এখানে আসছেন। বিক্ষোভের কারণে কাজ হারানো মানুষরাও আসেন। তারা বলছেন, কাজ চলে যাওয়া নিয়ে তারা ভাবছেন না, তাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিক্ষোভ করছেন। ট্রাস্টের খাবার বিতরণ কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত অপর স্বেচ্ছাসেবক শেরভিন রণতুঙ্গা জানান, ‘শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে মানুষ আসছেন। বাস, ট্যাক্সি ও ট্রেনে চড়ে অনেকে আসছেন। আমরা সবাইকে খাবার দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ধনী ও গরিব বৈষম্য না করে আমরা সবাইকে খাবার দিচ্ছি’।

দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে জরুরি খাদ্য ও বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও কমে গেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারিতে পর্যটন খাতে ধস নামায় বিদেশি মুদ্রা আয় হয়নি। ফলে দেশটি পর্যাপ্ত জ্বালানি ও গ্যাস কিনতে পারছে না। মানুষ নুন্যতম সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দুই বেলা খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত শ্রীলঙ্কায়

আপডেট : ১৯ মে ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দুই বেলা খাবারের দাবিতে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। চলমান সংকটে কাজ হারিয়ে বেকার হওয়া এবং কয়েকশো দিনমজুর কলম্বোতে খাবার নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখানে কলম্বো-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করছে। সমাজকর্মীআকুশলা ফার্নান্দো বলেন, ‘৯ এপ্রিল থেকে আমরা খাবার বিতরণ করছি। আমরা চাই প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করুন। তিনি জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারছেন না এবং দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছেন’।

 

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্থ, পণ্য ও খাদ্য সহায়তা পেয়ে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষকে খাবার বিতরণ করেছে তাঁর সংস্থা। আকুশলা বলেন, কর্মরত এবং বেকার মানুষ এখানে আসছেন। বিক্ষোভের কারণে কাজ হারানো মানুষরাও আসেন। তারা বলছেন, কাজ চলে যাওয়া নিয়ে তারা ভাবছেন না, তাঁরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিক্ষোভ করছেন। ট্রাস্টের খাবার বিতরণ কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত অপর স্বেচ্ছাসেবক শেরভিন রণতুঙ্গা জানান, ‘শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে মানুষ আসছেন। বাস, ট্যাক্সি ও ট্রেনে চড়ে অনেকে আসছেন। আমরা সবাইকে খাবার দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘ধনী ও গরিব বৈষম্য না করে আমরা সবাইকে খাবার দিচ্ছি’।

দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে জরুরি খাদ্য ও বিদ্যুৎ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও কমে গেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারিতে পর্যটন খাতে ধস নামায় বিদেশি মুদ্রা আয় হয়নি। ফলে দেশটি পর্যাপ্ত জ্বালানি ও গ্যাস কিনতে পারছে না। মানুষ নুন্যতম সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন।