জায়েন্ট স্ক্রিনে সচেতনতার প্রচার, ডেঙ্গু রোধে তৎপর পুরসভা

- আপডেট : ৭ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার
- / 15
পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রত্যেক বছরই বর্ষা আসলে কলকাতা পুরসভার মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মশাবাহিত রোগ। পুরসভার তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও শেষ কয়েকটা বছর ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া মৃত্যু শূন্য হয়নি। এর নেপথ্যে নাগরিকদের কিছুটা উদাসীনতাকেই দায়ী করে আসছে পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অব্যবস্থার নেপথ্যে পুর প্রশাসনকেই বারবার কাঠগড়ায় তুলে এসেছে বিরোধীরা। এই অবস্থায় এবছর বর্ষা আসতেই মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে প্রচারের সঙ্গেই পুরসভার তরফ থেকে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই কর্মকান্ডের নমুনাও নাগরিকদের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। ভ্রাম্যমান গাড়িতে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে সচেতনার প্রচারের সঙ্গেই চলছে এই প্রচার।
কিভাবে চলছে এই প্রচার! এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা জানান, এক-এক দিন একটি করে ওয়ার্ড ঘুরছে এই গাড়ি। কিভাবে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝানো সহ সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। এরসঙ্গেই কীভাবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা, আধিকারিকেরা ডেঙ্গু নিধনে কাজ করছে তা তুলে ধরা হচ্ছে স্ক্রিনে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে গোটা শহর জুড়ে ড্রোন চালিয়ে একাধিক ছবি সংগ্রহ করে কলকাতা পুরসভা। তাতে দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায় বাড়ির ছাদে ট্যাঙ্কের মুখ খোলা, যেখানে থেকে মশা জন্মাচ্ছে। অন্যদিকে, শহরের একাধিক খালি জমিকে রীতিমত ভ্যাটে পরিনত করা হয়েছে। শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, পরিত্যক্ত জমি। আর তাই এবার পরিত্যক্ত জমি নিয়েই কড়া আইন চাইছে পুরসভা। সেবিষয়ে খুব শিগ্রই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
তবে বর্তমানে শুধু আবেদন-নিবেদন নীতিতেই থেমে নেই পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৭ জুন পর্যন্ত বাড়িতে ডেঙ্গুর মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জনকে নোটিশ ধরানো হয়েছে।
এছাড়া ৪৩ জনের বিরুদ্ধে ৪৯৬ এ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এঁদের প্রত্যেকের বাড়িতেই ডেঙ্গুর লার্ভা মিলেছিল। এই মামলার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। নোটিশ করার পরেও হুঁশ না ফিরলে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করবে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মিউনিসিপ্যাল আদালতে এনে তার বিচার হবে।