আবুল খায়ের: ছটপুজোর সময় দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস বলে পরিচিত রবীন্দ্র সরোবর বন্ধ থাকে। যাতে জলে দূষণের জেরে জলজ প্রাণীর ক্ষতি না হয়। সরোবরের জল দূষিত না হয় এবং প্রকৃতির ক্ষতি না হয়। কিন্তু এবার দোলের দিন রবীন্দ্র সরোবরে (Rabindra Sarobar) ঢোকা যাবে। যা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
জানা গেছে, ১২ ও ১৩ মার্চ সাধারণের জন্য বন্ধ থাকলেও, ক্লাবের জন্য খোলা থাকবে সরোবরের (Rabindra Sarobar) দরজা। নিয়ম ভেঙে কেন ক্লাবকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে সাতসকালে রবীন্দ্র সরোবরের (Rabindra Sarobar) ১২ নম্বর গেটে বিক্ষোভ দেখায় লেক লাভার্স ফোরাম। ছিলেন প্রাতর্ভ্রমণকারীরাও। তাঁদের অভিযোগ, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেমন লেকের ভিতরে নির্মাণকাজ চলছে, তেমনই দোল ও হোলির দিন কিছু ক্লাবকে লেকের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার কথা লিখিত আকারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পাশাপাশি পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে ই-মেল মারফত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রেশন ব্যবস্থায় কেন্দ্রের নয়া বিধি, ১ এপ্রিল দিল্লিতে পার্লামেন্ট অভিযান ডিলার্স ফেডারেশনের
উল্লেখ্য, ৭৩ একর জায়গা জুড়ে থাকা রবীন্দ্র সরোবর ২০০৩ সালে জাতীয় সরোবরের (Rabindra Sarobar) মর্যাদা পায়। চত্বরে গাছ রয়েছে মোট ৭৫ প্রজাতির। আছে ১২–রও বেশি প্রজাতির জলজ প্রাণী। এ বাদে নানা ধরনের কীটপতঙ্গও রয়েছে। এমন একটি লেক রক্ষণাবেক্ষণে কেএমডিএ উদাসীন বলে অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের একাংশের। তাঁদের দাবি, সরোবরকে (Rabindra Sarobar) দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। জীববৈচিত্র রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে প্রশাসনকে, জাতীয় পরিবেশ আদালত যে সব নির্দেশ দিয়েছে, সেগুলি মানতে হবে। লেকের ভিতর সামাজিক উৎসব বন্ধের দাবিও তোলা হয়েছে।