‘আমাদের দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি’, কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভাঙলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

- আপডেট : ৫ জুন ২০২৩, সোমবার
- / 4
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বালেশ্বরের অভিশপ্ত দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলেছে উদ্ধারকাজ। তবে থেমে থাকেনি মৃত্যু মিছিল। দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে আসেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। কেন্দ্র, বাংলা, ওড়িশা রাজ্য থেকে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু যে মানুষগুলি এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলেন তারা কবে এই পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বের করতে পারবেন তা এখন প্রশ্নের মুখে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব রবিবার গভীর রাতে জানান যে তাঁদের লক্ষ্য হল ওড়িশার করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের পরিবারের সদস্যরা খুঁজে বের করা। বৈষ্ণব বলেছেন যে তাঁর দায়িত্ব এখনও শেষ হয়নি। কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কান্নায় তাঁর স্বর বুজে আসে৷ দুর্ঘটনায় এখনও অবধি সরকারিভাবে ৩০০ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে৷ একই সময়ে, ১০০০ -র বেশি আহত, যার মধ্যে ৫৬ জন আশঙ্কাজনক।
Down-line restoration complete. First train movement in section. pic.twitter.com/cXy3jUOJQ2
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) June 4, 2023
ভারতীয় রেলওয়ে ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকের ত্রুটি এবং সিস্টেমের ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করেছে৷ বরং যে থিওরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে তাতে সম্ভাব্য ‘নাশকতা’ এবং ‘ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিং’ সিস্টেমের সঙ্গে ট্যাম্পারিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে দুর্ঘটনার “মূল কারণ” শনাক্ত করা হয়েছে এবং এর জন্য দায়ী “অপরাধী”-কে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ রবিবার করমন্ডেল এক্সপ্রেসের চালককেও ক্লিনচিট দিয়েছিল, বলা হয়েছে যে- তার এগিয়ে যাওয়ার সবুজ সংকেত ছিল এবং ট্রেনটি যতটা বেশি গতিতে চালানোর কথা ছিল তার চেয়ে বেশি গতিতে চালাচ্ছিল না। দুর্ঘটনার একটি প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে করমন্ডল এক্সপ্রেস স্টেশনের লুপ লাইনে প্রবেশ করেছিল যেখানে লোহার আকরিক বোঝাই একটি পণ্য ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী ওড়িশার বালেশ্বর। বালেশ্বরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের কাছে একইসঙ্গে লাইনচ্যুত হয়েছে করমন্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি মালগাড়িও। তিনটি ট্রেনের বগিগুলিই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে চারিদিকে। এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০, আহত প্রায় ১০০০ জন। ভারতের এই বিপর্যয়ের খবরে পাশে থাকার আশ্বাস আমেরিকা, ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশগুলি। শোকপ্রকাশ করেছেন, রাশিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, জাপান, তাইওয়ান, পাকিস্তান এমনকি তালিবানরাও।