বিপাকে যোগগুরু রামদেব, ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপনে দায়ের ২৬টি মামলা

- আপডেট : ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার
- / 22
তিরুবনন্তপুরম: ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপনের মামলায় আরও বিপাকে যোগগুরু রামদেব। কেরলের বিভিন্ন আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল ২৬টি মামলা। রাজ্যের কোঝিকোড়ে ৫টি, কোট্টায়ামে ২টি, কাক্কানাড়ে ৬টি, তিরুবনন্তপুরম ৫টি, কাট্টাপ্পানায় ১টি, পালাক্কাড়ে ৩টি, কোল্লামে ২টি সহ ত্রিশূরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ২টি মামলা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে মামলা চলছে কেরলের পালাক্কাড় আদালতে। সেই মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি রামদেব ও বালাকৃষ্ণকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু দু’জনের কেউই হাজিরা দেননি। তারপরই আদালত পতঞ্জলির দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।
এ দিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি কেরলের মাদক নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সুপ্রিম কোর্টে এক হলফনামা দিয়ে জানায়, ড্রাগস অ্যান্ড ম্যাজিক রেমেডিজ (আপত্তিকর বিজ্ঞাপন) আইনের অধীনে পতঞ্জলি সংস্থার বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেড সেই আইন লঙ্ঘন করেছে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি প্রথমসারীর সংবাদপত্রে ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন দিয়েছিল পতঞ্জলি। হলফনামায় বলা হয়েছে, আরটিআই কর্মী ড. বাবু কে-র অভিযোগের ভিত্তিতে যে সংবাদপত্রগুলি বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ছেপেছিল তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হলফনামায় আরও বলা হয়, ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেরলের বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে ডিএমআর আইনের অধীনে ১১৬টি মামলা দায়ের করা করেছে। এর মধ্যে ৩২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকি মামলাগুলি এখনও বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, অ্যালোপ্যাথি ওষুধের ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন এবং ‘মিথ্যে’ প্রচারের অভিযোগে রামদেব, বালকৃষ্ণ এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বহু মামলা চলেছে। স্রেফ কেরলেরই বিভিন্ন আদালতে এবার রামদেবের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়ের হল। এর আগে একাধিক আদালতে এ নিয়ে তিরস্কারও শুনতে হয়েছে রামদেবকে। এমনকী শাস্তিও পেতে হয়েছে।