চন্দ্র অভিযান প্রজেক্টে বাংলার রৌশন আলি

- আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার
- / 12
পুবের কলম প্রতিবেদক: চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি দিয়েছে ভারতীয় গবেষণা সংস্থার তৈরি চন্দ্রযান -৩। শুক্রবার দুপুর ২:৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম ৩ রকেট দিয়ে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। চন্দ্রযান -৩ পাঠানোর মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞানে নাম লেখাল ভারত। একই সঙ্গে চাঁদের বুকে মহাকাশ যান পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতীয় গবেষণা সংস্থার ইসরো-র স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে যেসকল বিজ্ঞানীরা যুক্ত রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাংলার বিজ্ঞানী তথা উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা রৌশন আলি। চন্দ্রযান -৩ বহনকারী যান এলভিএম ৩ তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন রৌশন আলি।
জানা গেছে, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মইফুদ্দিন আহমেদ ও আনিসা বিবির সন্তান রৌশন আলি বর্তমানে কেরলের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানী। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে রয়েছেন।
চন্দ্রযান -৩ বহনকারী লঞ্চ ভেহিকেলটি তৈরির দায়িত্বে থাকা বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন হলেন রৌশন আলি(৪৩)। তিনি ‘পুবের কলম’কে ফোনে বলেন, এটা একটা দলগত কাজ। আমার একার কোনও কৃতিত্ব নেই। বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে কাজ করছি। মূলত লঞ্চ ভেহিকেল তৈরি করা কাজ আমাদের।’
ভারত এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য চাঁদ অভিযান চন্দ্রযান ৩ লঞ্চ হল। ইসরো এর আগে চন্দ্রযান ১, ২০০৮ সালে ও চন্দ্রযান ২, ২০১৯ সালে উৎক্ষেপণ করে। চন্দ্রযান ৩ ২০২১ সালে চালু করার কথা ছিল। কিন্তু কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ভারতই প্রথম দেশ, যাঁরা চন্দ্রযান ৩ এর ল্যান্ডার চন্দ্র পৃষ্ঠের সক্ষিণ মেরুতে নরম অবতরণ করবে। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ডার অবতরণ করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও দেশই চাঁদের দক্ষিন মেরুতে ল্যান্ডার অবতরণ করাতে পারেনি। এমনই এক যুগান্তকারী চন্দ্র অভিযানে গ্রামের ছেলের যুক্ত থাকায় খুশি ইটাহার এলাকার মানুষ। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফল না হওয়ায়, ভুল শুধরে নিয়ে চন্দ্রযান ৩ পাঠানো হয়েছে। রৌশন আলি বলেন, চন্দ্রযান বড় প্রজেক্ট সবাই মিলে কাজ করি। এখন টেকনোলজি অনেক উন্নত হয়েছে।
প্রত্যন্ত গ্রাম উত্তর দিনাজপুরের রামনগর থেকে মহাকাশ গবেষনা সংস্থায় পাড়িটা কিভাবে? একটু হেসে রৌশন আলির সাবধানী যুক্তি, মনের ইচ্ছে থাকলেই সম্ভব।
গ্রামের ছেলেরা বিজ্ঞানের দিকে আগ্রহ দেখাক চাই। নিউ জেনারেশন দেখছি মোবাইল নিয়েই বাঁচছে। অবশ্যই যেন বিজ্ঞানের দিকে যায় ছেলেমেয়ারা, এটাই বলতে চাই।’ ছেলের কৃতিত্বে খুশি রৌশন আলির বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সহ এলাকার মানুষ।