১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবিবাহিতদের সন্তান নেওয়ার অনুমতি চিনে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 9

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিনের সিচুয়ান প্রদেশে এখন থেকে অবিবাহিতরাও সন্তান নিতে পারবেন। ৮ কোটি মানুষের প্রদেশটিতে আগে অবিবাহিতরা সন্তান গ্রহণ করতে পারত না। সন্তান গ্রহণ করলেও তার জন্য রাষ্ট্রীয় কোনও সুবিধা পেত না তারা। সম্প্রতি দেশটিতে জন্মহার কমতে থাকায় সরকার আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সিচুয়ানের হেলথ কমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অবিবাহিতরা তাদের সন্তানের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পারবেন প্রাদেশিক বিভাগে। কেবল অবিবাহিতদের সন্তান গ্রহণের বিষয়টিতেই ছাড় দেয়নি সরকার, একই সঙ্গে বিবাহিত-অবিবাহিত সবাইকে একাধিক সন্তান গ্রহণেরও সুযোগ দিয়েছে।  এক বিজ্ঞপ্তিতে সিচুয়ান প্রদেশের সরকার জানায়, মূলত মানুষের মধ্যে সন্তান গ্রহণ, সন্তান লালন এবং সরকারি দফতরে জন্মনিবন্ধন তথ্য পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা চলবে আগামী পাঁচ বছর।  চিনের জাতীয় প্রজনন নীতিমালা অবিবাহিতদের সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয় না। তবে বিয়ের প্রমাণ না থাকলে নবজাতকের পিতা-মাতা স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে মায়ের বেতন এবং চাকরি সুরক্ষাসহ বিনামূল্যে পরিষেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হন।  এদিকে, চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বলছে, বিগত ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে দেশে। ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা অন্তত ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কমেছে। চিনে কয়েক বছরব্যাপী মহাদুর্ভিক্ষের শেষ বছর অর্থাৎ ১৯৬১ সালে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। এরপর ৬১ বছর পেরিয়ে ২০২২ সালে এসে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কমল। গবেষকদের অনুমান, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই ভারত চিনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হবে। চিনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটির কিছুটা বেশি এবং ভারতের জনসংখ্যাও ১৪১ কোটির বেশি। তবে কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হিসেবে ভারতের জনসংখ্যা এরইমধ্যে চিনকে ছাপিয়ে গেছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অবিবাহিতদের সন্তান নেওয়ার অনুমতি চিনে

আপডেট : ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: চিনের সিচুয়ান প্রদেশে এখন থেকে অবিবাহিতরাও সন্তান নিতে পারবেন। ৮ কোটি মানুষের প্রদেশটিতে আগে অবিবাহিতরা সন্তান গ্রহণ করতে পারত না। সন্তান গ্রহণ করলেও তার জন্য রাষ্ট্রীয় কোনও সুবিধা পেত না তারা। সম্প্রতি দেশটিতে জন্মহার কমতে থাকায় সরকার আগের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। সিচুয়ানের হেলথ কমিশন এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অবিবাহিতরা তাদের সন্তানের তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পারবেন প্রাদেশিক বিভাগে। কেবল অবিবাহিতদের সন্তান গ্রহণের বিষয়টিতেই ছাড় দেয়নি সরকার, একই সঙ্গে বিবাহিত-অবিবাহিত সবাইকে একাধিক সন্তান গ্রহণেরও সুযোগ দিয়েছে।  এক বিজ্ঞপ্তিতে সিচুয়ান প্রদেশের সরকার জানায়, মূলত মানুষের মধ্যে সন্তান গ্রহণ, সন্তান লালন এবং সরকারি দফতরে জন্মনিবন্ধন তথ্য পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থা চলবে আগামী পাঁচ বছর।  চিনের জাতীয় প্রজনন নীতিমালা অবিবাহিতদের সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয় না। তবে বিয়ের প্রমাণ না থাকলে নবজাতকের পিতা-মাতা স্বাস্থ্যসেবা, মাতৃত্বকালীন ছুটিতে মায়ের বেতন এবং চাকরি সুরক্ষাসহ বিনামূল্যে পরিষেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হন।  এদিকে, চিনের ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য বলছে, বিগত ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে দেশে। ২০২২ সালে দেশটির জনসংখ্যা অন্তত ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কমেছে। চিনে কয়েক বছরব্যাপী মহাদুর্ভিক্ষের শেষ বছর অর্থাৎ ১৯৬১ সালে শেষবারের মতো জনসংখ্যা কমেছিল। এরপর ৬১ বছর পেরিয়ে ২০২২ সালে এসে দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৮ লক্ষ ৫০ হাজার কমল। গবেষকদের অনুমান, এ ধারা অব্যাহত থাকলে শীঘ্রই ভারত চিনকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হবে। চিনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪১ কোটির কিছুটা বেশি এবং ভারতের জনসংখ্যাও ১৪১ কোটির বেশি। তবে কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের হিসেবে ভারতের জনসংখ্যা এরইমধ্যে চিনকে ছাপিয়ে গেছে।