BREAKING:
রাজ্যসভায় পেশ ওয়াকফ বিল সংক্রান্ত জেপিসি রিপোর্ট নিম্নমুখী দাম ও ঝড়-বৃষ্টি, ক্ষতির মুখে আলু চাষিরা কীভাবে সম্ভব আমের মুকুল ঝরা রোধ, কৌশল জানালেন কৃষি বিজ্ঞানী সোমবার পর্যন্ত রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস সব ভাষাকে সম্মান করে বাংলা: মমতা বাংলাদেশে কীভাবে পালিত হল ভাষা দিবস? বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের নিয়োগের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ভারত সুন্দরবনে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় টি-ও-টি প্রশিক্ষণ শিবির ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে নবান্নে আইপ্যাক কর্তা প্রতীক জৈন জোর অভিযান নিরাপত্তা বাহিনীর, মণিপুর ‘শান্ত’ করতে কি ‘ছত্তিশগড় মডেল’? ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কলকাতায় এসডিপিআইয়ের মিছিল

প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতির ভাষণে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-কে সমর্থন

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: শনিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিলেছে ইতিমধ্যেই। এবার ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-কে  সমর্থন জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর মতে, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ সুশাসনের সংজ্ঞা পাল্টে দেবে। এতে নীতিগত পক্ষাঘাত কাটিয়ে ওঠা যাবে, সম্পদের বিচ্যুতি প্রশমিত হবে এবং আর্থিক বোঝার ভার লাঘব হবে। পাশাপাশি তিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ‘সাহসী ও দূরদর্শী’ নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি জানান, বড় সংস্কারের জন্য সাহসী এবং দূরদর্শী হয়ে উঠতে হয়। ভাষণে তিনি বলেন, ভারতীয় হিসেবে আমাদের যে সম্মিলিত পরিচিতি আছে, সেটার আসল ভিত্তি তৈরি করে দেয় সংবিধান। যা আমাদের পরিবার হিসেবে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে।’

 

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, “এই ধরনের সংস্কার ঘটাতে দূরদর্শিতা এবং সাহসের প্রয়োজন হয়। দেশের সমস্ত নির্বাচনের সমন্বয়সাধনের জন্য সংসদে উত্থাপিত ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিলটি সুশাসনের সংজ্ঞা পাল্টে দিতে পারে। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ দেশের শাসনব্যবস্থায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে, নীতিগত পক্ষাঘাত কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে,সম্পদের বিচ্যুতি রুখবে, আরও অন্য সুবিধার পাশাপাশি, অর্থনৈতিক বোঝাও লাঘব করবে।”

 

দেশ ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হলেও, ঔপনিবেশিক মানসিকতা রয়ে গিয়েছিল, যা বর্তমান সরকারের আমলে পাল্টাতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর কথায়, “১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পেলেও, দীর্ঘ সময় ধরে ঔপনিবেশিক মানসিকতার বহু নিদর্শন রয়ে গিয়েছিল। ইদানীং সেই মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটানোর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করছি আমরা। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং প্রমাণ আইনের জায়গায় জায়গায় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম সেই প্রচেষ্টার অংশ। নতুন আইনে নারী এবং শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ দমনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বরাবরই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ আইন চালুর পক্ষে সওয়াল করে আসছে। তাদের দাবি, পঞ্চায়েত, পুরসভা, বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন একসঙ্গে করাতে পারলে বারবার নির্বাচন করাতে গিয়ে সময় নষ্ট হবে না, ব্যাহত হবে না উন্নয়নের কাজ, টাকা-পয়সার খরচও কমবে। এই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল আনতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি জানান, সংবিধান প্রণেতারা একসঙ্গে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন, তাই একসঙ্গে নির্বাচন করানো সংবিধানের পরিপন্থী হতে পারে না। ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন একসঙ্গে হতো যখন, এখন আপত্তি কোথায়, এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

 

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder