২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘পদত্যাগ করুন সাইদ’ জোরালো হচ্ছে দাবি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, বুধবার
  • / 6

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তিউনিসিয়ার বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে পদত্যাগ এবং আগাম সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে। জোটটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইদ তার নতুন সংবিধান   প্রণয়নে জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে তিনি ক্ষমতায় থাকার ন্যায্যতা  হারিয়েছেন। তিউনিসিয়ার নিবন্ধিত ভোটারদের ৭৫ শতাংশ সাইদের প্রস্তাবিত  সংবিধানের ওপর সোমবারের গণভোট বয়কট করে। পোলিং ইনস্টিটিউট  জানিয়েছে, নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটে মাত্র ২৫ ভোটার অংশ নেয়। উল্লেখ্য,  ২০২১ সালের ২৫ জুলাই থেকে তিউনিসিয়া একটি গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেসময় প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গণতান্ত্রিক সরকারকে বরখাস্ত এবং সংসদ স্থগিত করেছিলেন। তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো তখন থেকেই সাইদের পদক্ষেপকে ‘সংবিধানের বিরুদ্ধে অভু্যত্থান’ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। সাইদ ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশকে ‘আসন্ন বিপদ’ থেকে বাঁচানোর জন্য তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো  প্রয়োজনীয় ছিল। তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থী এন্নাহাদা পার্টি ‘একনায়ক’ সাইদের সব  সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন চালিয়ে  যাচ্ছে। সোমবারের গণভোটের পর সাইদের পদত্যাগের জোরালো দাবি উঠেছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘পদত্যাগ করুন সাইদ’ জোরালো হচ্ছে দাবি

আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ তিউনিসিয়ার বিরোধী জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে পদত্যাগ এবং আগাম সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে। জোটটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাইদ তার নতুন সংবিধান   প্রণয়নে জনসমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে তিনি ক্ষমতায় থাকার ন্যায্যতা  হারিয়েছেন। তিউনিসিয়ার নিবন্ধিত ভোটারদের ৭৫ শতাংশ সাইদের প্রস্তাবিত  সংবিধানের ওপর সোমবারের গণভোট বয়কট করে। পোলিং ইনস্টিটিউট  জানিয়েছে, নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটে মাত্র ২৫ ভোটার অংশ নেয়। উল্লেখ্য,  ২০২১ সালের ২৫ জুলাই থেকে তিউনিসিয়া একটি গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেসময় প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ গণতান্ত্রিক সরকারকে বরখাস্ত এবং সংসদ স্থগিত করেছিলেন। তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো তখন থেকেই সাইদের পদক্ষেপকে ‘সংবিধানের বিরুদ্ধে অভু্যত্থান’ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। সাইদ ২০১৯ সালে পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশকে ‘আসন্ন বিপদ’ থেকে বাঁচানোর জন্য তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো  প্রয়োজনীয় ছিল। তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থী এন্নাহাদা পার্টি ‘একনায়ক’ সাইদের সব  সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলন চালিয়ে  যাচ্ছে। সোমবারের গণভোটের পর সাইদের পদত্যাগের জোরালো দাবি উঠেছে।