Mamata Banerjee-র আহ্বানে সাড়া, চালু হচ্ছে কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান পরিষেবা

- আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 118
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আহ্বানে সাড়া দিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। সপ্তাহে দু’দিন কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চালুর প্রস্তাব দিল এয়ারওয়েজ। তৃণমূল তাদের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বিষয়টি জানিয়েছে। সাতদিনের জন্য লন্ডন সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লন্ডনের ইথরো বিমানবন্দরে আগুন লাগায় মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচিতে বদল ঘটে। সকালের বদলে রাতে দমদম বিমানবন্দন থেকে লন্ডনের উদ্দেশে পাড়ি দেন মুখ্যমন্ত্রী। অবশেষে গত রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দুবাই হয়ে লন্ডন পৌঁছন তিনি। এরপরই ২৫ মার্চ হাই কমিশনে কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চালানো নিয়ে আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)।
আরও পড়ুন: বিচারপতির বাসভবন থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনার এফআইআর রুজুর আবেদন গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টে
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “বাংলা বেশি দূরে না। লন্ডন থেকে একটা সরাসরি বিমান হলে খুব ভাল হয়। আমি ইউকের অ্যাম্বাস্যাডরকে বলব যদি বিষয়টা দেখেন। আগে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ছিল। এখন সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হলে সুবিধা হবে।” তিনি আরও বলেন, “কলকাতা-লন্ডন সরাসরি বিমান চালু করুন। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজকে বিনীত অনুরোদ। যাঁরা প্রথম আসবেন, তাঁদের জ্বালানিতে ছাড় দেব। অন্ডালে গ্রিন এয়ারপোর্ট চালু হয়েছে। একটাও সিট খালি থাকবে না। আমরা প্রতিদিন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।” এরপরেই ২৬ মার্চ তড়িঘড়ি নবান্নে বৈঠক করেন কলকাতা বিমানবন্দরের পরিচালক ডক্টর পি আর বেউরিয়া এবং স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। বিমান কর্তৃপক্ষ যাত্রী সংখ্যা নিয়ে সমীক্ষা করবে বলেও জানা গেছে। বিজনেস ও ফার্স্ট ক্লাস ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও সমীক্ষা চালাবে বলে সূত্রের খবর।
প্রায় ৮০ বছর ধরে কলকাতায় বিমান পরিষেবা চালায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। ২০০৯ সালের মার্চ মাসে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেয় তারা। ২০০৫ সালে তিন বছরের জন্য কলকাতা-লন্ডন সরাসরি উড়ান চলে। তারপর বন্ধ হয়ে যায। কোভিডের সময়ও কলকাতা-লন্ডন উড়ান পরিষেবা চলত। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সপ্তাহে দু’বার পরিষেবা শুরু হলেও অক্টোবরে মধ্যে তা কমে সপ্তাহে একটি উড়ানে পরিণত হয়। ২১ মার্চ ২০২২ থেকে বিমান পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।