২২ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবসরের বয়স বাড়ছে, বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 12

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। মাসখানেক আগে ফ্রান্সের আইনসভায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে অবসরকালীন বয়স বাড়ানোর নতুন বিল প্রস্তাব করেন। তাতে সরকারি কর্মীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ পেনশন পেতে হলে নাগরিকদের ৪২ বছরের জায়গায় ৪৩ বছর কাজ করতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয় ফ্রান্সে। এসময় অনেক স্কুল ও সরকারি সেবা বন্ধ ছিল। ফ্রান্সের এক মতামত ও গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির ৬৮ ভাগ মানুষ প্রস্তাবিত নয়া আইনের বিপক্ষে। এ ছাড়া দেশটির সংস্কারবাদী দলগুলোও জাতীয় সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করছে। ফরাসি সরকারের দাবি, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অনুপাত দিন দিন কমছে।

পঞ্চাশ বছর আগে একজন অবসর নিলে ৪জন কাজে যোগ দিত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ফ্রান্সের এই বিল নিয়ে সংসদীয় প্রক্রিয়ায় কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিরোধীদের প্রচারণার মুখোমুখি হতে পারেন। পরিবহন, হাসপাতাল ও জ্বালানি ডিপোতে ধর্মঘট হলে তা ফ্রান্সকে অচল করে দিতে পারে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অবসরের বয়স বাড়ছে, বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

আপডেট : ২০ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

 পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক:সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। মাসখানেক আগে ফ্রান্সের আইনসভায় ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্নে অবসরকালীন বয়স বাড়ানোর নতুন বিল প্রস্তাব করেন। তাতে সরকারি কর্মীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ পেনশন পেতে হলে নাগরিকদের ৪২ বছরের জায়গায় ৪৩ বছর কাজ করতে হবে। ২০২৭ সাল থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এর বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ হয় ফ্রান্সে। এসময় অনেক স্কুল ও সরকারি সেবা বন্ধ ছিল। ফ্রান্সের এক মতামত ও গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশটির ৬৮ ভাগ মানুষ প্রস্তাবিত নয়া আইনের বিপক্ষে। এ ছাড়া দেশটির সংস্কারবাদী দলগুলোও জাতীয় সংসদে এই বিলের বিরোধিতা করছে। ফরাসি সরকারের দাবি, কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের অনুপাত দিন দিন কমছে।

পঞ্চাশ বছর আগে একজন অবসর নিলে ৪জন কাজে যোগ দিত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। ফ্রান্সের এই বিল নিয়ে সংসদীয় প্রক্রিয়ায় কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বিরোধীদের প্রচারণার মুখোমুখি হতে পারেন। পরিবহন, হাসপাতাল ও জ্বালানি ডিপোতে ধর্মঘট হলে তা ফ্রান্সকে অচল করে দিতে পারে।