উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : ভুয়ো ভোটার সমস্যায় এবার বারুইপুরের দুটি বিধানসভায় ভোটার তালিকা দ্রুত সংশোধনের নির্দেশ। ভোটার তালিকা নিয়ে সতর্ক নির্বাচন কমিশন।দু জায়গায় নাম আছে, অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট সেই ভোটারের নাম একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বাদ দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুই জায়গায় নাম থাকলে, কেউ তাঁর অপব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই রিপিটেড এপিক বাদ দেওয়ার উপর জোর দিয়েছে কমিশন। জেলা আধিকারিকদের একাংশের গাফিলতিতেই এখনও এত জনের দুই জায়গায় নাম থেকে গিয়েছে, এমনই অভিযোগ উঠেছে।এদিকে, বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভায় ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে সেখানকার ১০টি পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি ও প্রধানদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছে বারুইপুর পশ্চিম ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা ধরে ধরে নাম মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভুতূড়ে ভোটারের আসল ঠিকানা ঠিক কোথায়, সেটাও খুঁজে বের করার কাজ শুরু হয়েছে। পুরো স্কুটিনি করে তাঁর রিপোর্ট বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জমা দেবেন জনপ্রতিনিধিরা।নিয়ম অনুযায়ী, একজন ভোটারের নতুন ঠিকানায় নাম তোলার প্রক্রিয়া মিটে গেলে তাঁর পুরনো বিধানসভায় স্বয়ংক্রিয় ভাবে ফর্ম সেভেন তৈরি হয়ে যাবে পোর্টালে।আর সেই বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সেটা পূরণ করে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেবেন। তাহলেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন।কিন্তু কমিশনের তথ্য বলছে,এই কাজই কম বেশি এখন ও পড়ে রয়েছে সব জেলায়।২৩ হাজার রিপিটেড এপিক বাদ দিয়ে সংখ্যাটা শূন্যে নামাতে হবে বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন কমিশনের কর্তারা।তাঁদের মতে, এই বছর কোনও নির্বাচন নেই। তাই এই নিয়ে এখন কেউ অপব্যবহার করতে পারবেন না। তবুও এই নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি এই রিপিটেড এপিক রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনায় (৪৪৫৭) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (৩৫৫২)।এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলায় এক হাজারের বেশি করে ভোটারের দুই জায়গায় নাম রয়ে গেছে। এ বিষয়ে সব জেলার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।আর ভুয়ো ভোটার সমস্যার সমাধান হবে এবারে।