১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ছোড়ার অভিযোগ, জানেন কেন নিষিদ্ধ এই বোমা ?

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 5

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্রামাটরস্ক শহরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা। সোমবার  ফেসবুক পোস্টে এই শহরের পুলিশ প্রধান অলেক্সাই বিলোচিতিস্কি এই অভিযোগ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আপনি পুড়ে যাবেন যেভাবে ফসফরাস পোড়ে ।‘ যুদ্ধ শুরুর পর বিভিন্ন এলাকাতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন।

১৯৭৭ সালের জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধে ফসফরাস বোমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া।

পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য  রুশ স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে পুতিন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। ইউক্রেনকে ‘বেসামরিকীকরণ’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার জন্যই তিনি এই অভিযান চালিয়েছেন বলে দাবি করছেন।

ফসফরাস বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ কেন?

এ বোমা যেখানে ছোড়া হয় সেখানে আগুন ধরে যায় এবং এ আগুন অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রধান ওলেকসি বিলোচিতস্কিও ফসফরাস বোমা ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি রাশিয়ানদের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ফসফরাস যেভাবে পোড়ে তোমরাও ফসফরাসের মতো পুড়বে।ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বার বার বলে আসছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে ফসফরাস বোমা ব্যবহার করে আসছে। তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুশিয়ারি দিয়েছে, বিভিন্ন নিষিদ্ধ বোমার ব্যবহারের পর এবার রাশিয়া ইউক্রেনে ক্যামিকেল বোমার ব্যবহার করতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যদি রাশিয়া কেমিক্যাল বোমা ব্যবহার করে তাহলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ছোড়ার অভিযোগ, জানেন কেন নিষিদ্ধ এই বোমা ?

আপডেট : ২২ মার্চ ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্রামাটরস্ক শহরে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন এক ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা। সোমবার  ফেসবুক পোস্টে এই শহরের পুলিশ প্রধান অলেক্সাই বিলোচিতিস্কি এই অভিযোগ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আপনি পুড়ে যাবেন যেভাবে ফসফরাস পোড়ে ।‘ যুদ্ধ শুরুর পর বিভিন্ন এলাকাতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন।

১৯৭৭ সালের জেনেভা কনভেনশনে যুদ্ধে ফসফরাস বোমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ২১ ফেব্রুয়ারি বিদ্রোহীদের দুই রাষ্ট্র ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক’ ও ‘লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক’কে স্বীকৃতি দিয়ে শান্তি রক্ষায় ওই অঞ্চলে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া।

পরে ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের সহায়তার জন্য  রুশ স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে পুতিন ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। ইউক্রেনকে ‘বেসামরিকীকরণ’ ও ‘নাৎসিমুক্ত’ করার জন্যই তিনি এই অভিযান চালিয়েছেন বলে দাবি করছেন।

ফসফরাস বোমা ব্যবহার নিষিদ্ধ কেন?

এ বোমা যেখানে ছোড়া হয় সেখানে আগুন ধরে যায় এবং এ আগুন অনেকটা জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রধান ওলেকসি বিলোচিতস্কিও ফসফরাস বোমা ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি রাশিয়ানদের তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ফসফরাস যেভাবে পোড়ে তোমরাও ফসফরাসের মতো পুড়বে।ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বার বার বলে আসছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে ফসফরাস বোমা ব্যবহার করে আসছে। তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ প্রত্যাখান করে আসছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুশিয়ারি দিয়েছে, বিভিন্ন নিষিদ্ধ বোমার ব্যবহারের পর এবার রাশিয়া ইউক্রেনে ক্যামিকেল বোমার ব্যবহার করতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যদি রাশিয়া কেমিক্যাল বোমা ব্যবহার করে তাহলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে।