পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কড়া হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

- আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, বুধবার
- / 3
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দেখতে দেখতে ২৮ দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠালে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে দেশটির পক্ষ থেকে ন্যাটোকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বুধবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এটি (ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো) হবে বেপরোয়া এবং ভয়াবহ বিপজ্জনক সিদ্ধান্ত।’ সংবাদ সম্মেলনে পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ান ও ন্যাটো বাহিনীর যেকোনো সম্ভাব্য ‘সংযোগ’ স্পষ্ট পরিণতি হতে পারে যার ক্ষতিপূরণ হবে অনেক কষ্টসাধ্য।
গত শুক্রবার পোল্যান্ড বলেছে, পরবর্তী ন্যাটো সম্মেলনে তারা ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করবে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জরুরি ন্যাটো সম্মেলনের জন্য ইউরোপের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে আরেকজন রুশ কমান্ডার নিহত হয়েছেন এই যুদ্ধে। এই নিয়ে পুতিনের শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের মধ্যে ১৫ জন ইউক্রেন হামলায় নিহত হলেন। যা পুতিনের কাছে খুব বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মঙ্গলবার কর্নেল আলেক্সেই শারভ নামের ওই সেনা কমান্ডারের মৃত্যু হয়। তিনিই পঞ্চম রুশ কমান্ডার, যিনি এই যুদ্ধে প্রাণ হারালেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটি লড়াইয়ে এতজন কমান্ডারকে হারানোর ঘটনা রাশিয়ার সঙ্গে আর কখনও ঘটেনি। স্বাভাবিক ভাবেই এই যুদ্ধে রাশিয়াকে কতটা কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে তা বোঝাতে এই উদাহরণ যথেষ্ট।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফৌজ পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিত যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।