চাকরি ছেড়ে দিয়ে ফ্রান্সের আশ্রয়ে ফেরালেন ক্যামেরার সামনে ‘যুদ্ধ নয়,’ শান্তির বার্তা দেওয়া রুশ সাংবাদিক

- আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২২, শনিবার
- / 12
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ চাকরি ছেড়ে দিলেই সেই সাহসী রুশ সাংবাদিক। যাঁকে টিভিতে সঞ্চালনার সময়ে পিছিনে প্ল্যাকার্ড হাতে যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছিল। চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজ দেশ ফ্রান্সে আশ্রয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, টিভিতে সংবাদ পাঠের সরাসরি অনুষ্ঠান চলার সময় ক্যামেরার সামনে যুদ্ধবিরোধী প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়ানো সেই রুশ নারী সাংবাদিক মারিনা ওভসায়ানিকোভা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি রাশিয়ার চ্যানেল ওয়ান’র এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রাশিয়ার আলোচিত টিভি সাংবাদিক মারিনা ওভসিয়ানিকোভা বলেছেন, তিনি আরও মামলার ঝুঁকিতে থাকা সত্ত্বেও ফ্রান্সে আশ্রয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। মারিনা ওভসিয়ানিকোভা বলেছেন, তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু ফ্রান্সে আশ্রয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন।
রুশ সরকারি চ্যানেলে সংবাদ প্রচারের সময় ‘যুদ্ধ নয়’ এবং ‘এরা আপনাদের কাছে মিথ্যা বলছে’ লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেছিলেন মারিয়া। এজন্য তাঁকে আটক করে ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয়। আলোচিত এ সাংবাদিক বলেছেন, তিনি নিজে থেকেই প্রতিবাদটি করেছিলেন একথা তদন্তকারীরা বিশ্বাস করতে চায়নি। মারিনা ওভসিয়ানিকোভাকে তৎক্ষণাৎ ৩০ হাজার রুবল (২৯০ ডলার) জরিমানা করা হয়।মারিনা বলেন, তিনি চ্যানেল ওয়ান থেকে পদত্যাগের জন্য ‘সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
দুটি ছোট সন্তানের মা ওভসিয়ানিকোভা বলেছেন, তিনি তাঁর আলোচিত কাজের মাধ্যমে নিজের ‘পরিবারের জীবন ভেঙে দিয়েছেন’। বিশেষ করে তাঁর ছেলে খুব উদ্বিগ্ন।
‘কিন্তু আমাদের এই ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে যাতে এই উন্মাদনা পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত না হয়। আশা করি আমার ছেলে যখন বড় হবে তখন সে বুঝতে পারবে কেন আমি এটা করেছি,’ বলেন মারিনা। তিনি আরো জানান, তাঁর কিছু সহকর্মী পদত্যাগ করেছেন কিন্তু অনেকেই আর্থিক সমস্যার কারণে তা করতে পারেননি।
জার্মানির পত্রিকা ডের স্পিগেলের সঙ্গে এক পৃথক সাক্ষাৎকারে ওভসিয়ানিকোভা বলেছেন, তিনি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর দেওয়া আশ্রয়ের প্রস্তাব গ্রহণ না করে রাশিয়াতেই থাকবেন।
‘আমি আমাদের দেশ ছেড়ে যেতে চাই না। আমি একজন দেশপ্রেমিক। আমার ছেলে আরও বেশি। আমরা কোনোভাবেই দেশ ছাড়তে চাই না, আমরা কোথাও যেতে চাই না। ’