২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইফুদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিজেপিকে আক্রমণ ফিরহাদের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার
  • / 5

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: রাজ্যে যত খুন হচ্ছে তাঁর পেছনে একজনই রয়েছে মোটা ভাই, জয়নগরে বললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।জয়নগরে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে গিয়ে রবিবার পরিবারের সাথে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর বাড়ির কাছে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন দাপুটে এই তৃণমূল নেতা।বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তৃনমূলের সাইফুদ্দিন লস্কর।স্ত্রী সেরিফা বিবি লস্কর ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ওই দিন তৃণমূল নেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। চিকিৎসকরা জানান হাসপাতালে আসার পথেই প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতার।

রবিবার নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের সাথে দেখা করে গেলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন বামনগাছি অঞ্চলের মরিশ্বর মতিলাল বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সাইফুদ্দিন লস্করের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন এই স্মরণ সভা থেকে কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাংলায় যত খুন হচ্ছে তার পিছনে একজনই রয়েছে “মোটা ভাই”। কার্যত নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহাকে খোঁচা দিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র।

এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, দলুয়াখাকি গ্রামে মানুষদের সরকারি সাহায্য আমরা দিয়েছি যে সকল ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সকল ঘর গুলিতে আমরা ক্ষতিপূরণও দিয়েছি।বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের রাজনীতি করতে সবাই ছুটে যাচ্ছে ওই গ্রামে। বিজেপি সিপিএম ,কংগ্রেস, আইএসএফ সবাই ওই গ্রামে ছুটে যাচ্ছে। রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে সবাই ছুটে যাচ্ছে কিন্তু।

সাইফুদ্দিনের বাড়িতে কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেনি। কেন না সাইফুদ্দিন তৃণমূল করে। এদের পরিবার দিনের পর দিন চোখের জল ফেলছে কিন্তু চোখের জল মুছতে কেউ আসে নি। দল এই পরিবারের পাশে রয়েছে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি এদের পরিবারের সমস্ত সাহায্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হবে।এর পাশাপাশি কার্যত কেন্দ্র সরকার ও সিপিএমকে ঝাঁঝালো বক্তব্যের মাধ্যমে নাস্তানাবুদ করলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহািদ হাকিম। এদিন ভিঠে ঠাসা স্মরণ সভা থেকে বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, সাইফুদ্দিনকে মেরে ওরা ভাবছে তৃনমূল কংগ্রেসকে শেষ করে দেবে। অতো সোজা নয়। এলাকার মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসের পাশে আছে। লোকসভা ভোটে সাইফুদ্দিনের খুনের ভোট বাক্সের মধ্যে দিয়েই জবাব দিয়ে দেবে।এদিনের এই স্মরণ সভাকে ঘিরে যেকোন ধরনের অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছিল এই এলাকায়।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সাইফুদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বিজেপিকে আক্রমণ ফিরহাদের

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, রবিবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: রাজ্যে যত খুন হচ্ছে তাঁর পেছনে একজনই রয়েছে মোটা ভাই, জয়নগরে বললেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।জয়নগরে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের বাড়িতে গিয়ে রবিবার পরিবারের সাথে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর বাড়ির কাছে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মসজিদে নমাজ পড়তে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে তাঁকে ঘিরে ধরে দুষ্কৃতীরা। এক রাউন্ড গুলি চলে। গুলি লাগে তাঁর কাঁধে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন দাপুটে এই তৃণমূল নেতা।বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তৃনমূলের সাইফুদ্দিন লস্কর।স্ত্রী সেরিফা বিবি লস্কর ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ওই দিন তৃণমূল নেতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিয়ে যাওয়া হয় জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাতে লাভ হয়নি কিছুই। চিকিৎসকরা জানান হাসপাতালে আসার পথেই প্রাণ গিয়েছে তৃণমূল নেতার।

রবিবার নিহত তৃণমূল নেতার বাড়িতে পৌঁছে পরিবারের সাথে দেখা করে গেলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন বামনগাছি অঞ্চলের মরিশ্বর মতিলাল বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সাইফুদ্দিন লস্করের স্মৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের জন্য এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সরদার, সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী সহ একাধিক নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন এই স্মরণ সভা থেকে কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বাংলায় যত খুন হচ্ছে তার পিছনে একজনই রয়েছে “মোটা ভাই”। কার্যত নাম না করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহাকে খোঁচা দিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র।

এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, দলুয়াখাকি গ্রামে মানুষদের সরকারি সাহায্য আমরা দিয়েছি যে সকল ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে সকল ঘর গুলিতে আমরা ক্ষতিপূরণও দিয়েছি।বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজেদের রাজনীতি করতে সবাই ছুটে যাচ্ছে ওই গ্রামে। বিজেপি সিপিএম ,কংগ্রেস, আইএসএফ সবাই ওই গ্রামে ছুটে যাচ্ছে। রাজনীতি করার উদ্দেশ্যে সবাই ছুটে যাচ্ছে কিন্তু।

সাইফুদ্দিনের বাড়িতে কোন রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেনি। কেন না সাইফুদ্দিন তৃণমূল করে। এদের পরিবার দিনের পর দিন চোখের জল ফেলছে কিন্তু চোখের জল মুছতে কেউ আসে নি। দল এই পরিবারের পাশে রয়েছে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি এদের পরিবারের সমস্ত সাহায্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে করা হবে।এর পাশাপাশি কার্যত কেন্দ্র সরকার ও সিপিএমকে ঝাঁঝালো বক্তব্যের মাধ্যমে নাস্তানাবুদ করলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহািদ হাকিম। এদিন ভিঠে ঠাসা স্মরণ সভা থেকে বিধায়ক বিভাস সরদার বলেন, সাইফুদ্দিনকে মেরে ওরা ভাবছে তৃনমূল কংগ্রেসকে শেষ করে দেবে। অতো সোজা নয়। এলাকার মানুষ তৃনমূল কংগ্রেসের পাশে আছে। লোকসভা ভোটে সাইফুদ্দিনের খুনের ভোট বাক্সের মধ্যে দিয়েই জবাব দিয়ে দেবে।এদিনের এই স্মরণ সভাকে ঘিরে যেকোন ধরনের অশান্তি এড়াতে প্রচুর পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছিল এই এলাকায়।