২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আকাশে যুদ্ধবিমান ওড়াবেন সানিয়া মির্জা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 8

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কেউ যখন কোনও কিছু মন থেকে চায়, তখন পুরো বিশ্বজগৎ সেটা পাইয়ে দিতে তাকে সাহায্য করে। স্বপ্ন হয় সত্যি। ব্রাজিলের সাহিত্যিক পাওলো কোয়েলহোর এই কথাকেই মূলমন্ত্র হিসেবে মনে গেঁথে  নিয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। তাই এক টেলিভিশন মেকানিকের  কন্যা থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের প্রথম মুসলিম  মহিলা পাইলট হয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি। দেশে এক অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন এভাবে।

 

না, তিনি হায়দরাবাদের  টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা নয়। এ এক অন্য সানিয়া মির্জার  কাহিনি। শৈশব থেকেই যে স্বপ্ন দেখত আকাশে উড়ে  বেড়াবার। সেই স্বপ্ন সফল হল এনডিএ (ন্যাশনাল ডিফেন্স  অ্যাকাডেমি) পরীক্ষায় দেশে ১৪৯তম র‌্যাঙ্ক অর্জন করে। তার  সাফল্যে উজ্জীবিত মেয়েরা। অনুপ্রাণিত সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম নারীরা।

 

উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর। ওয়েব সিরিজের দৌলতে যে জায়গাটিকে ‘কাট্টা’ ( দেশি রিভলভার) আর খুনোখুনির অঞ্চল  হিসেবে চিনেছে দেশবাসী। সেই কুখ্যাত স্থান থেকেই  আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখতেন টিভি মেকানিক শাহিদ আলির কন্যা  সানিয়া মির্জা। এখানকার কোতোয়ালি থানার একটি অখ্যাত গ্রাম  জাসোভারের বাসিন্দা তারা।

 

পণ্ডিত চিন্তামনি দুবে ইন্টার কলেজ  থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পর গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় সানিয়া। সেই সময় ইউপি বোর্ডে মির্জাপুর জেলার ‘টপার’ হয়েছিল সে। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন নিয়ে গত ১০ এপ্রিল এনডিএ পরীক্ষায় বসেছিল  সানিয়া। আর সেখানেই বাজিমাত তার। ২৭ ডিসেম্বর এনডিএ-র চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মির্জার।

সানিয়া মির্জা দেশের মধ্যে প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি বায়ুসেনার  বিমান ওড়াবেন। প্রথমবার তিনি পাশ করতে পারেননি। তাই  দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু হাল ছেড়ে  দেননি। তার কথায়, আমি সবসময় ফাইটার পাইলট হতে  চেয়েছি। তাই আশা হারাইনি। তার অনুপ্রেরণা দেশের প্রথম  মহিলা ফাইটার পাইলট অবনি চতুর্বেদী।

 

এ বছর এনডিএ-তে  মোট ৪০০ আসন ছিল। তার মধ্যে মাত্র দুটি সিট মহিলাদের জন্য   সংরক্ষিত ছিল ফাইটার পাইলট বিভাগে। এত কম সুযোগ থাকা  সত্ত্বেও এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন মির্জাপুরের সানিয়া মির্জা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আকাশে যুদ্ধবিমান ওড়াবেন সানিয়া মির্জা

আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ কেউ যখন কোনও কিছু মন থেকে চায়, তখন পুরো বিশ্বজগৎ সেটা পাইয়ে দিতে তাকে সাহায্য করে। স্বপ্ন হয় সত্যি। ব্রাজিলের সাহিত্যিক পাওলো কোয়েলহোর এই কথাকেই মূলমন্ত্র হিসেবে মনে গেঁথে  নিয়েছিলেন সানিয়া মির্জা। তাই এক টেলিভিশন মেকানিকের  কন্যা থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের প্রথম মুসলিম  মহিলা পাইলট হয়ে উঠতে পেরেছেন তিনি। দেশে এক অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেন এভাবে।

 

না, তিনি হায়দরাবাদের  টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা নয়। এ এক অন্য সানিয়া মির্জার  কাহিনি। শৈশব থেকেই যে স্বপ্ন দেখত আকাশে উড়ে  বেড়াবার। সেই স্বপ্ন সফল হল এনডিএ (ন্যাশনাল ডিফেন্স  অ্যাকাডেমি) পরীক্ষায় দেশে ১৪৯তম র‌্যাঙ্ক অর্জন করে। তার  সাফল্যে উজ্জীবিত মেয়েরা। অনুপ্রাণিত সুবিধাবঞ্চিত মুসলিম নারীরা।

 

উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর। ওয়েব সিরিজের দৌলতে যে জায়গাটিকে ‘কাট্টা’ ( দেশি রিভলভার) আর খুনোখুনির অঞ্চল  হিসেবে চিনেছে দেশবাসী। সেই কুখ্যাত স্থান থেকেই  আকাশছোঁয়া স্বপ্ন দেখতেন টিভি মেকানিক শাহিদ আলির কন্যা  সানিয়া মির্জা। এখানকার কোতোয়ালি থানার একটি অখ্যাত গ্রাম  জাসোভারের বাসিন্দা তারা।

 

পণ্ডিত চিন্তামনি দুবে ইন্টার কলেজ  থেকে মাধ্যমিক পাশ করার পর গুরু নানক গার্লস ইন্টার কলেজ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় সানিয়া। সেই সময় ইউপি বোর্ডে মির্জাপুর জেলার ‘টপার’ হয়েছিল সে। আকাশে ওড়ার স্বপ্ন নিয়ে গত ১০ এপ্রিল এনডিএ পরীক্ষায় বসেছিল  সানিয়া। আর সেখানেই বাজিমাত তার। ২৭ ডিসেম্বর এনডিএ-র চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে মির্জার।

সানিয়া মির্জা দেশের মধ্যে প্রথম মুসলিম মহিলা যিনি বায়ুসেনার  বিমান ওড়াবেন। প্রথমবার তিনি পাশ করতে পারেননি। তাই  দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন। কিন্তু হাল ছেড়ে  দেননি। তার কথায়, আমি সবসময় ফাইটার পাইলট হতে  চেয়েছি। তাই আশা হারাইনি। তার অনুপ্রেরণা দেশের প্রথম  মহিলা ফাইটার পাইলট অবনি চতুর্বেদী।

 

এ বছর এনডিএ-তে  মোট ৪০০ আসন ছিল। তার মধ্যে মাত্র দুটি সিট মহিলাদের জন্য   সংরক্ষিত ছিল ফাইটার পাইলট বিভাগে। এত কম সুযোগ থাকা  সত্ত্বেও এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন মির্জাপুরের সানিয়া মির্জা।