১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত ‘ডায়ার উলফ’ ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 32

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত কোনও প্রাণীকে ‘পুনর্জীবিত’ করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কলোসাল বায়োসায়েন্সেস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া ‘ডায়ার উলফ’ নামে এক বিশালাকৃতির নেকড়েকে ক্লোনিং ও জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে আবারও জীবন্ত রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।ডালাস-ভিত্তিক কলোসালের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ধূসর নেকড়ের জিনে পরিবর্তন এনে তারা ডায়ার উলফের মতো দেখতে তিনটি শাবক তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি পুরুষ শাবক জন্ম নিয়েছে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর এবং একটি স্ত্রী শাবক জন্ম নিয়েছে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি।

এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয় প্রায় ১৩ হাজার বছর পুরোনো একটি দাঁত এবং ৭২ হাজার বছর পুরোনো একটি খুলির ডিএনএ। বিজ্ঞানীরা সেই প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ডায়ার উলফের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির সাহায্যে ধূসর নেকড়ের কোষে ১৪টি জিনে ২০টি পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে ডায়ার উলফের তিনটি শাবক দুই হাজার একর জায়গার একটি গোপন স্থানে বিশেষভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। সেখানে ১০ ফুট উঁচু ‘চিড়িয়াখানার মানের’ বেড়া, নিরাপত্তাকর্মী, ড্রোন এবং লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।কলোসাল জানায়, এই গবেষণাকেন্দ্রটি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগে নিবন্ধিত এবং আমেরিকান হিউমেন সোসাইটির অনুমোদিত।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত ‘ডায়ার উলফ’ ফিরিয়ে আনলেন বিজ্ঞানীরা

আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বে প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত কোনও প্রাণীকে ‘পুনর্জীবিত’ করার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কলোসাল বায়োসায়েন্সেস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রায় ১২ হাজার ৫০০ বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া ‘ডায়ার উলফ’ নামে এক বিশালাকৃতির নেকড়েকে ক্লোনিং ও জিন সম্পাদনা প্রযুক্তির মাধ্যমে আবারও জীবন্ত রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।ডালাস-ভিত্তিক কলোসালের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ধূসর নেকড়ের জিনে পরিবর্তন এনে তারা ডায়ার উলফের মতো দেখতে তিনটি শাবক তৈরি করেছেন। এর মধ্যে দুটি পুরুষ শাবক জন্ম নিয়েছে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর এবং একটি স্ত্রী শাবক জন্ম নিয়েছে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি।

এই গবেষণায় ব্যবহৃত হয় প্রায় ১৩ হাজার বছর পুরোনো একটি দাঁত এবং ৭২ হাজার বছর পুরোনো একটি খুলির ডিএনএ। বিজ্ঞানীরা সেই প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ডায়ার উলফের বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করেন এবং সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তির সাহায্যে ধূসর নেকড়ের কোষে ১৪টি জিনে ২০টি পরিবর্তন আনা হয়। বর্তমানে ডায়ার উলফের তিনটি শাবক দুই হাজার একর জায়গার একটি গোপন স্থানে বিশেষভাবে সুরক্ষিত রয়েছে। সেখানে ১০ ফুট উঁচু ‘চিড়িয়াখানার মানের’ বেড়া, নিরাপত্তাকর্মী, ড্রোন এবং লাইভ ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।কলোসাল জানায়, এই গবেষণাকেন্দ্রটি যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগে নিবন্ধিত এবং আমেরিকান হিউমেন সোসাইটির অনুমোদিত।