পুবের কলম প্রতিবেদক, হাওড়া: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বাংলার উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মোদি সরকারকে নিশানা বানালেন রাজ্য তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রবিবার হাওড়ার শরৎ সদন প্রাঙ্গণে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ‘আলাপচারিতা’ সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন তিনি। সভা থেকে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র টাকা দেয় না, তবুও বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলার অগ্রগতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরলস কাজ করে চলেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বাংলার মেয়েরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হচ্ছে, পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে মেয়েদের বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িকে একসঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজকের মেয়েরা আর পরিবারের জন্য বোঝা নয়, বরং শক্তি।’
এ দিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘কেউ গঙ্গা ভাঙন, নদী ভাঙনের কথা ভাবে না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যার সমাধানে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। এর পাশাপাশি, কৃষকদের উন্নয়ন, গ্রামীণ পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান তৈরির জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। বাংলার গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে নানান প্রকল্প চালু হয়েছে রাজ্যে।’
তিনি বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন, এটি খেলার সরকার, মেলার সরকার, কিন্তু খেলা তো হবেই, মেলা তো হবেই। মেলার মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্বাবলম্বী করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। বাংলার হস্তশিল্প এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
এই সভায় হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী নন্দিতা চৌধুরী-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মহিলাদের আরও বেশি করে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, ‘মেয়েরাই এই কু-চক্র ও মিথ্যাচারের মোকাবিলা করতে পারে। তাই সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে।’