শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ

- আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০২২, শুক্রবার
- / 9
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ। এই খুনের প্রধান ও অন্যতম অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা ড্রাগের নেশায় আসক্ত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। আরিফ মারিজুয়ানার মতো মাদক সেবন করত।
জেরায় আফতাব পুলিশকে জানান, তার মাদকাসক্তের কারণে প্রায়ই শ্রদ্ধার সঙ্গে অশান্তি হত। এছাড়াও মুম্বাই থেকে দিল্লিতে আসার পর আর্থিক সংকট তৈরি হয়েছিল। আফতাব পুলিশকে আরও জানিয়েছে, ঘটনার দিন একই কারণে ঝগড়া হয়েছিল। সেদিন রাতেও শ্রদ্ধার সঙ্গে ঝগড়ার পর ড্রাগ কিনতে বেরিয়ে যায় সে। আফতাব জানিয়েছে, সে শ্রদ্ধাকে মারতে চাইনি, কিন্ত নেশার ঘোরে এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ মে, রাত ৯ থেকে ১০ টার মধ্যে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। খুনের পর আফতাব সারা রাত গাঁজা (মাদক) ভরা সিগারেট খেয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পরেই আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে পাঁচদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। আদালত পুলিশকে আফতাবের নারকো-অ্যানালাইসিস টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছে। অভিযুক্তও সম্মতি দিয়েছে।
সূত্রের খবর, পুলিশ আফতাবকে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো অন্যান্য স্থানে নিয়ে যেতে পারে, যেখানেও গিয়েছিল অভিযুক্ত। পুলিশকে আফতাব জানায়, সে শ্রদ্ধার দেহের কিছু অংশ দেরাদুনে ফেলেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের দিন ব্যবহৃত ছুরি, শ্রদ্ধার দেহের কিছু অংশ, তার কাটা মাথা, খুনের দিন শ্রদ্ধার পরা পোশাক, আর তার ফোন এখনও উদ্ধার হয়নি।
উল্লেখ্য, দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আফতাবের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। আফতাব নিজে মুখেই জানিয়েছে গত ১৮ মে তার লিভ ইন সঙ্গী শ্রদ্ধার ওয়াকারকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। তারপর তার দেহের ৩৫টি টুকরো করে শ্রদ্ধার দেহের অংশগুলিকে দিল্লির ছত্তরপুরের জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসে।
আফতাবের বয়ান অনুযায়ী, ৮ মে খুনের পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু শ্রদ্ধা কান্নাকাটি করায় সেদিন নিজে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এর পর ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। ইতিমধ্যেই পুলিশ শ্রদ্ধার দেহবশেষ সংগ্রহ করে সেগুলিকে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।