পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে তীব্র আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে চরম বিতর্ক। কড়া ভাষায় রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে আক্রমণ শানাচ্ছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। এমনকী বহু সন্ন্যাসীরাও এই বিষয়ে মুখ খুলছেন। আর এহেন বিতর্কের মধ্যেই এই ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
গত একমাস ধরে চলা মহাকুম্ভের অচলবস্তার কথা তুলে ধরে তীব্র আক্রমণ। একই সঙ্গে যোগী প্রশাসনেরও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শংকরাচার্যের। তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই পাল্টা ময়দানে শাসকদল তৃণমূল।
মৃত্যুকুম্ভ’ চলা বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুললেন শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর দাবি, একেবারে ৩০০ মিটার এলাকা জুড়ে লম্বা যানজট। এটা অব্যবস্থার ছবি নয় তো কী? শুধু তাই নয়, মহাকুম্ভে যেভাবে পুণার্থীরা জিনিস নিয়ে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পথ হাঁটছেন। একই সঙ্গে জলে দূষণ নিয়েও যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানান স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী।
তাঁর কথায়, বিজ্ঞানীরা বলছেন জল নাকি স্নানের উপযুক্ত নয়, তাহলে কেন সেখানে স্নান্ম করতে বাধ্য করা হচ্ছে। জল পরিশুদ্ধ কেন করা হল না তা নিয়েও প্রশ্ন। মহারাজের কথায়, দীর্ঘ ১২ বছর অন্তর মহাকুম্ভ হয়। ফলে হাতে অনেক সময় ছিল। কেন আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হল না প্রশ্ন শংকরাচার্যের। এক্ষেত্রে ভাবনা চিন্তার অভাবকেও দায়ী করেছেন।
তিনি বলছেন, জায়গা কম, কিন্তু মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। ভাবনাচিন্তার অভাব। এমনকী ১৪৪ বছরের মহাযোগ নিয়ে যেভাবে প্রচার করা হয়েছে তাতেও ক্ষুন্ন আচার্য। অন্যদিকে প্রাণহানির ঘটনা নিয়ে যেভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে তা একটা ঘৃণ্য অপরাধ বলেও যোগী সরকারকে তোপ। বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকমাসে মহাকুম্ভে একের পর এক ঘটনা ঘটে। কখনও পদপিষ্টে ৩০ জনের মৃত্যু তো আবার কখনও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আবার মহাকুম্ভের পথে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, বহু মানুষের মৃত্যু। আর তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিজেপি সরকার। সে বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মহাকুম্ভের কথা বলে লাভ নেই। ওটা এখন মৃত্যুকুম্ভ হয়ে গিয়েছে।” আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই বিতর্কের ঝড়।