‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ – ৮ বছরে এগিয়ে ডায়মন্ড হারবার

- আপডেট : ১৮ জুন ২০২২, শনিবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কথাটা শুনতে একটু নাটকীয় মনে হলেও এটাই সত্য। ডায়মন্ড হারবারে ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ ঘটিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৮ বছরে তিনি তাঁর সংসদীয় এলাকায় কি কি কাজ নিঃশব্দে করে গেছেন এদিন তার এক রিপোর্ট কার্ড পেশ করেন তিনি। সমগ্র ডায়মন্ড হারবার জুড়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নতি থেকে শুরু করে নারীকল্যাণ,উন্নত শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে ডায়মন্ড হারবারে নিঃশব্দে কাজ করে গেছেন। এদিনের রিপোর্ট কার্ডে তিনি জানান,
I complete 8 years as a parliamentarian today. I am grateful,overjoyed & indebted. Diamond Harbour has given me everything from love and support to strength and courage. I humbly present 'Nishobdo Biplab', a homage to the silent revolution that I wish to bring to my constituency. pic.twitter.com/K6wQVDyNwP
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) June 18, 2022
সব বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল: ১৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে ফলতা মথুরাপুর জল প্রকল্প।এটি হবে দেশের বৃহত্তম জল সরবরাহের প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে ৭.৯ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।
স্বাস্থ্য পরিষেবা: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুচিকিৎসার জন্য ২০১৯ সালে শুরু করা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার সুপারস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ।এর ফলে সংসদীয় এলাকার ৫.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
উন্নত শিক্ষা: বাচ্চাদের উন্নত ও সুশিক্ষার জন্য এবং আগামী প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎের জন্য ১১৩.৫ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। এমনকি ডায়মন্ড হারবারের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ভোকেশনাল শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বানানো হয়েছে একটি নতুন পলিটেকনিক কলেজ ও আইটিআই স্থাপন করা হয়েছে।
নারীকল্যাণ: নারীশিক্ষা প্রসারে খোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি মহিলা হোস্টেল।
কৃষকদের কল্যাণ: কৃষকদের সুবিধার্থে নির্বাচনী এলাকায় দুটি ডেডিকেটেড কৃষক বাজার গড়ে তোলা হয়েছে।
করোনা ব্যবস্থাপনা: করোনা আবহে ডায়মন্ড হারবার মডেলের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং করোনা টেস্ট করানো হয়েছে।
মানবিক সহায়তা: বিভিন্ন দুর্যোগের সময় সাধারণ মানুষের জন্য , ও তাদের সুবিধা অসুবিধা বুঝতে এলাকা পরিদর্শন থেকে শুরু করে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবার,ওষুধ,ত্রিপল আরও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে সহায়তা করা হয়।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নতি: বড়কাছারি, জয়রামপুর মন্দির এবং পীরতলা মাজারের মেরামত,সৌন্দর্যায়ন জন্য ব্যবস্থা করা হয়ছে।
খেলাধুলোর মানোন্নয়ন: সংসদীয় এলাকায় তৈরি হয়েছে ৩৮টি মাল্টিজিম, ৩ মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ২ খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। ২০২২ সালে যাত্রা শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব।
উন্নত নাগরিক সুবিধা: নির্বাচনী এলাকায় সর্বমোট ১,৩৯২টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ১১৮.২ লক্ষ টাকা খরচে রাস্তায় রাস্তায় আলো লাগানো হয়েছে।