১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :
সুস্থ সমাজ গঠনে কুরআনের কিছু নির্দেশনা, যা প্রতিটি মানুষের জানা ও মানা দরকার

সামিমা এহসানা
- আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার
- / 7
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে ফরয বিধানগুলোর পাশাপাশি মানুষের আচার আচরণ ও ব্যবহারেও দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। সমাজ জীবনের নানা ক্ষেত্রে মুমিনের আচরণ কেমন হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে পবিত্র কুরআনে।
ইরশাদ হয়েছে—
-
দূরে থাকো মিথ্যা কথা হতে। (সূরা হাজ, আয়াত ৩০)
-
একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)
-
দম্ভ করো না। (সূরা কাসাস, আয়াত ৭৬)
-
বিদ্রূপ করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)
-
অপব্যয় করো না। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৬)
-
আহার করাও অভাবগ্রস্তকে। (সূরা হাজ, আয়াত ৩৬)
-
একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)
-
ওয়াদা ভঙ্গ করবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)
-
অঙ্গীকার পালন করবে। (সূরা তাওবা, আয়াত ৪)
-
ক্রোধ সংবরণ করো। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৪)
-
গীবত করবে না। (সূরা নূর, আয়াত ১৫)
-
অন্যদের বিষয়ে সু-ধারণা পোষণ করবে। (সূরা নূর, আয়াত ১২)
-
অতিথিদের সম্মান করবে। (সূরা যারিয়াত, আয়াত ২৪-২৭)
-
মুমিনদেরকে কষ্ট দেবে না। (সূরা আহ্যাব, আয়াত ৫৮)
-
পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৩)
-
আসার ক্রিয়া-কলাপ থেকে বিরত থাকো। (সূরা মু’মিনুন, আয়াত ৩)
-
অন্যদেরকে বিদ্রুপ করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)
-
চলাফেরা করো নম্রভাবে। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)
-
মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা। (সূরা হা-মীম-আস্সাজদাহ, আয়াত ৩৪)
-
কথা অনুযায়ী কাজ করো। (সূরা সাফ্ফ, আয়াত ২)
-
আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো। (সূরা মুমিনুন, আয়াত ৮)
-
অবিশ্বাসীদেরকে গালাগালি করো না। (সূরা আন’আম, আয়াত ১০৮)
-
ব্যবসায়িক আদান-প্রদানে পরিমাণ ও ওজন সঠিকভাবে করবে। (সূরা আন’আম, আয়াত ১৫২)
-
এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো না, যা তোমাদের কাছে প্রকাশিত হলে তা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। (সূরা মায়েদাহ, আয়াত ১০১)
-
কৃপণতা বা অপব্যয় করো না, মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৭)
-
অন্যকে খারাপ নামে ডাকবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)
-
তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। (সূরা নাজ্ম, আয়াত ৩২)
-
পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করো এবং অজ্ঞরা কথা বলতে এলে তাদেরকে বলো সালাম। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)
-
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আহার্য দান করো, বিনিময়ে প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চেয়ো না। (সূরা দাহ্র, আয়াত ৯)
-
মজলিশে অন্যদের জন্য স্থান করে দাও। (সূরা মুজাদালা, আয়াত ১১)
-
শত্রু যদি শান্তি চায়, তবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করো। (সূরা আন্ফাল, আয়াত ৬১)
-
কেউ দোয়া করলে, তার চেয়ে উত্তম দোয়া ফিরিয়ে দাও। (সূরা নিসা, আয়াত ৮৬)
-
দান করে সে কথা বলে বেড়িয়ো না। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৬৪)
-
মুমিনদের দুই দলের মধ্যে অশান্তি শুরু হলে মীমাংসা করে দাও। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৯)
-
কণ্ঠস্বর নিচু কর, গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। (সূরা লোকমান, আয়াত ১৯)
-
অন্যের আরাধ্যকে মন্দ বলো না, তাহলে তারাও অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকে মন্দ বলবে। (সূরা আনফাল, আয়াত ১০৮)
-
খয়রাত তাদের জন্য, যারা কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। এদেরকে লক্ষণ দেখে চিনে নাও। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৭৩)
-
অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করার সময় অনুমতি নেবে ও সালাম করবে। (সূরা নূর, আয়াত ২৭)
-
ন্যায় বিচারের জন্য সাক্ষী দেবে। সেই সাক্ষ্য নিজের, বাবা-মায়ের বা আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে গেলেও। (সূরা নিসা, আয়াত ১৩৫)
-
ভদ্রভাবে কথা বলো, এমনকি অবিশ্বাসীদের সঙ্গেও। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ৪৪)
-
দরিদ্রের সামান্য দানের সমালোচনা করো না। (সূরা তাওবা, আয়াত ৭৯)
-
রাসূল সা.-এর আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে করা আহ্বানের মতো গণ্য করো না। (সূরা নূর, আয়াত ৬৩)
-
স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে উপেক্ষার আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে মীমাংসাই উত্তম। (সূরা নিসা, আয়াত ১২৮)
-
নবীর ঘরের বাইরে থেকে তাঁকে উচ্চস্বরে ডাকবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৪)
-
ফিতনা-ফ্যাসাদ হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২১৭)
-
মানুষকে প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে। তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়। (সূরা নাহল, আয়াত ১২৫)
-
সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া সৎচরিত্র নারীর প্রতি অপবাদ দিও না। (সূরা নূর, আয়াত ৪)
-
রাসূল সা.-এর পত্নীদেরকে জননী হিসেবে বিবেচনা করো। (সূরা আহযাব, আয়াত ৬)
-
নবী সা.-এর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ২)
-
না জেনে কাউকে অবিশ্বাসী বলো না। (সূরা নিসা, আয়াত ৯৪)
-
কারও ঘরে প্রবেশ করার আগে অনুমতি নাও। (সূরা নূর, আয়াত ৫৯)
-
মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা। এর ফলে শত্রুরাও বন্ধু হয়ে যাবে। (সূরা হা-মীম-আস্সাজদাহ, আয়াত ৩৪)
-
অন্যায়ভাবে পরস্পরের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করো না। (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)
-
অহংকারবশত মানুষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিও না। (সূরা লোকমান, আয়াত ১৮)
-
অন্যকে ক্ষমা করতে শেখো, ঠিক যেভাবে তুমি আল্লাহর ক্ষমা পেতে চাও। (সূরা নূর, আয়াত ২২)
-
রাসূল সা.-এর মজলিশ থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর অনুমতি প্রার্থনা করো। (সূরা নূর, আয়াত ৬২)
-
পাপাচরণের জন্য গোপন বৈঠক করো না, বরং তাকওয়ার জন্য করো। (সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ৯)
-
নিজে ভুলে গিয়ে অন্যকে ভালো কাজের আদেশ করবে না। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ৪৪)
-
শিক্ষককে মান্য করো, তার আদেশ অমান্য করো না। (সূরা কাহ্ফ, আয়াত ৬৭-৬৯)
-
যারা সাহায্যের জন্য তোমার কাছে আসে তাদের অবজ্ঞা করো না। (সূরা আবাসা, আয়াত ১০)
-
অভাবী মানুষকে সাহায্য করতে না পারলে তাঁর সঙ্গে অন্তত সুন্দর কথা বলো। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৮)
-
অধীনস্থদের প্রতি নম্র হও এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৫৯)
-
সন্দেহজনক উৎস থেকে বার্তা গ্রহণের আগে তা ভালো করে যাচাই করো। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৬)
-
খাবার পরে অকারণে নবী-গৃহে অবস্থান করবে না। (সূরা আহ্যাব, আয়াত ৫৩)
-
আত্মীয়-স্বজন ও অভাবগ্রস্তদের সাধ্যমতো সাহায্য করবে। (সূরা নূর, আয়াত ২২)
-
অনুমতি ছাড়া কারও বাড়িতে প্রবেশ করবে না এবং প্রত্যাখ্যান করলে ফিরে আসবে। (সূরা ২৪, আয়াত ২৭-২৮)
-
যারা ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করে তাদের সঙ্গে বসবে না যতক্ষণ না তারা বিষয় পরিবর্তন করে। (সূরা নিসা, আয়াত ১৪০)
-
অপবাদ নিয়ে বলাবলি করা উচিন নয়। (সূরা নূর, আয়াত ১৬)
-
মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পরিবর্তে স্ত্রীকে সৌহার্দ্যপূর্ণবাবে তালাক দাও। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৩১)
-
যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ ঠিক ততখানি প্রতিশোধ নিতে পারো, তবে ধৈর্যধারণই উত্তম। (সূরা নাহল, আয়াত ১২৬)
-
বর্ণ ও ভাষার পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন, শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যম নয়। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩)
-
জোর করে নারীদেরকে বিয়ে করবে না, বৈধ কারণ ছাড়া দাম্পত্য উপহার ফিরিয়ে দেবে না। তাদের সাথে সদ্ভাবে থাকো। (সূরা নিসা, আয়াত ১৯)