১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুস্থ সমাজ গঠনে কুরআনের কিছু নির্দেশনা, যা প্রতিটি মানুষের জানা ও মানা দরকার

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার
  • / 7

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে ফরয বিধানগুলোর পাশাপাশি মানুষের আচার আচরণ ও ব্যবহারেও দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। সমাজ জীবনের নানা ক্ষেত্রে মুমিনের আচরণ কেমন হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে পবিত্র কুরআনে।

ইরশাদ হয়েছে—

  • দূরে থাকো মিথ্যা কথা হতে। (সূরা হাজ, আয়াত ৩০)

  • একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

  • দম্ভ করো না। (সূরা কাসাস, আয়াত ৭৬)

  • বিদ্রূপ করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

  • অপব্যয় করো না। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৬)

  • আহার করাও অভাবগ্রস্তকে। (সূরা হাজ, আয়াত  ৩৬)

  • একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

  • ওয়াদা ভঙ্গ করবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

  • অঙ্গীকার পালন করবে। (সূরা তাওবা, আয়াত ৪)

  • ক্রোধ সংবরণ করো। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৪)

  • গীবত করবে না। (সূরা নূর, আয়াত ১৫)

  • অন্যদের বিষয়ে সু-ধারণা পোষণ করবে। (সূরা নূর, আয়াত ১২)

  • অতিথিদের সম্মান করবে। (সূরা যারিয়াত, আয়াত ২৪-২৭)

  • মুমিনদেরকে কষ্ট দেবে না। (সূরা আহ্যাব, আয়াত ৫৮)

  • পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৩)

  • আসার ক্রিয়া-কলাপ থেকে বিরত থাকো। (সূরা মু’মিনুন, আয়াত ৩)

  • অন্যদেরকে বিদ্রুপ করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

  • চলাফেরা করো নম্রভাবে। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)

  • মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা। (সূরা হা-মীম-আস্সাজদাহ, আয়াত ৩৪)

  • কথা অনুযায়ী কাজ করো। (সূরা সাফ্ফ, আয়াত ২)

  • আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো। (সূরা মুমিনুন, আয়াত ৮)

  • অবিশ্বাসীদেরকে গালাগালি করো না। (সূরা আন’আম, আয়াত ১০৮)

  • ব্যবসায়িক আদান-প্রদানে পরিমাণ ও ওজন সঠিকভাবে করবে। (সূরা আন’আম, আয়াত ১৫২)

  • এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো না, যা তোমাদের কাছে প্রকাশিত হলে তা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। (সূরা মায়েদাহ, আয়াত ১০১)

  • কৃপণতা বা অপব্যয় করো না, মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৭)

  • অন্যকে খারাপ নামে ডাকবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

  • তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। (সূরা নাজ্ম, আয়াত ৩২)

  • পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করো এবং অজ্ঞরা কথা বলতে এলে তাদেরকে বলো সালাম। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)

  • আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আহার্য দান করো, বিনিময়ে প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চেয়ো না। (সূরা দাহ্র, আয়াত ৯)

  • মজলিশে অন্যদের জন্য স্থান করে দাও। (সূরা মুজাদালা, আয়াত ১১)

  • শত্রু যদি শান্তি চায়, তবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করো। (সূরা আন্ফাল, আয়াত ৬১)

  • কেউ দোয়া করলে, তার চেয়ে উত্তম দোয়া ফিরিয়ে দাও। (সূরা নিসা, আয়াত ৮৬)

  • দান করে সে কথা বলে বেড়িয়ো না। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৬৪)

  • মুমিনদের দুই দলের মধ্যে অশান্তি শুরু হলে মীমাংসা করে দাও। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৯)

  • কণ্ঠস্বর নিচু কর, গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। (সূরা লোকমান, আয়াত ১৯)

  • অন্যের আরাধ্যকে মন্দ বলো না, তাহলে তারাও অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকে মন্দ বলবে। (সূরা আনফাল, আয়াত ১০৮)

  • খয়রাত তাদের জন্য, যারা কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। এদেরকে লক্ষণ দেখে চিনে নাও। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৭৩)

  • অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করার সময় অনুমতি নেবে ও সালাম করবে। (সূরা নূর, আয়াত ২৭)

  • ন্যায় বিচারের জন্য সাক্ষী দেবে। সেই সাক্ষ্য নিজের, বাবা-মায়ের বা আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে গেলেও। (সূরা নিসা, আয়াত ১৩৫)

  • ভদ্রভাবে কথা বলো, এমনকি অবিশ্বাসীদের সঙ্গেও। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ৪৪)

  • দরিদ্রের সামান্য দানের সমালোচনা করো না। (সূরা তাওবা, আয়াত ৭৯)

  • রাসূল সা.-এর আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে করা আহ্বানের মতো গণ্য করো না। (সূরা নূর, আয়াত ৬৩)

  • স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে উপেক্ষার আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে মীমাংসাই উত্তম। (সূরা নিসা, আয়াত  ১২৮)

  • নবীর ঘরের বাইরে থেকে তাঁকে উচ্চস্বরে ডাকবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৪)

  • ফিতনা-ফ্যাসাদ হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২১৭)

  • মানুষকে প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে। তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়। (সূরা নাহল, আয়াত ১২৫)

  • সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া সৎচরিত্র নারীর প্রতি অপবাদ দিও না। (সূরা নূর, আয়াত ৪)

  • রাসূল সা.-এর পত্নীদেরকে জননী হিসেবে বিবেচনা করো। (সূরা আহযাব, আয়াত ৬)

  • নবী সা.-এর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ২)

  • না জেনে কাউকে অবিশ্বাসী বলো না। (সূরা নিসা, আয়াত ৯৪)

  • কারও ঘরে প্রবেশ করার আগে অনুমতি নাও। (সূরা নূর, আয়াত ৫৯)

  • মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা। এর ফলে শত্রুরাও বন্ধু হয়ে যাবে। (সূরা হা-মীম-আস্সাজদাহ, আয়াত ৩৪)

  • অন্যায়ভাবে পরস্পরের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করো না। (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)

  • অহংকারবশত মানুষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিও না। (সূরা লোকমান, আয়াত ১৮)

  • অন্যকে ক্ষমা করতে শেখো, ঠিক যেভাবে তুমি আল্লাহর ক্ষমা পেতে চাও। (সূরা নূর, আয়াত ২২)

  • রাসূল সা.-এর মজলিশ থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর অনুমতি প্রার্থনা করো। (সূরা নূর, আয়াত ৬২)

  • পাপাচরণের জন্য গোপন বৈঠক করো না, বরং তাকওয়ার জন্য করো। (সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ৯)

  • নিজে ভুলে গিয়ে অন্যকে ভালো কাজের আদেশ করবে না। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ৪৪)

  • শিক্ষককে মান্য করো, তার আদেশ অমান্য করো না। (সূরা কাহ্ফ, আয়াত ৬৭-৬৯)

  • যারা সাহায্যের জন্য তোমার কাছে আসে তাদের অবজ্ঞা করো না। (সূরা আবাসা, আয়াত ১০)

  • অভাবী মানুষকে সাহায্য করতে না পারলে তাঁর সঙ্গে অন্তত সুন্দর কথা বলো। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৮)

  • অধীনস্থদের প্রতি নম্র হও এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৫৯)

  • সন্দেহজনক উৎস থেকে বার্তা গ্রহণের আগে তা ভালো করে যাচাই করো। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৬)

  • খাবার পরে অকারণে নবী-গৃহে অবস্থান করবে না। (সূরা আহ্যাব, আয়াত ৫৩)

  • আত্মীয়-স্বজন ও অভাবগ্রস্তদের সাধ্যমতো সাহায্য করবে। (সূরা নূর, আয়াত ২২)

  • অনুমতি ছাড়া কারও বাড়িতে প্রবেশ করবে না এবং প্রত্যাখ্যান করলে ফিরে আসবে। (সূরা ২৪, আয়াত ২৭-২৮)

  • যারা ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করে তাদের সঙ্গে বসবে না যতক্ষণ না তারা বিষয় পরিবর্তন করে। (সূরা নিসা, আয়াত ১৪০)

  • অপবাদ নিয়ে বলাবলি করা উচিন নয়। (সূরা নূর, আয়াত ১৬)

  • মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পরিবর্তে স্ত্রীকে সৌহার্দ্যপূর্ণবাবে তালাক দাও। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৩১)

  • যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ ঠিক ততখানি প্রতিশোধ নিতে পারো, তবে ধৈর্যধারণই উত্তম। (সূরা নাহল, আয়াত ১২৬)

  • বর্ণ ও ভাষার পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন, শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যম নয়। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩)

  • জোর করে নারীদেরকে বিয়ে করবে না, বৈধ কারণ ছাড়া দাম্পত্য উপহার ফিরিয়ে দেবে না। তাদের সাথে সদ্ভাবে থাকো। (সূরা নিসা, আয়াত ১৯)

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সুস্থ সমাজ গঠনে কুরআনের কিছু নির্দেশনা, যা প্রতিটি মানুষের জানা ও মানা দরকার

আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মানব জীবনে আদব বা শিষ্টাচার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইসলামে ফরয বিধানগুলোর পাশাপাশি মানুষের আচার আচরণ ও ব্যবহারেও দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। সমাজ জীবনের নানা ক্ষেত্রে মুমিনের আচরণ কেমন হবে তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে পবিত্র কুরআনে।

ইরশাদ হয়েছে—

  • দূরে থাকো মিথ্যা কথা হতে। (সূরা হাজ, আয়াত ৩০)

  • একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

  • দম্ভ করো না। (সূরা কাসাস, আয়াত ৭৬)

  • বিদ্রূপ করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

  • অপব্যয় করো না। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৬)

  • আহার করাও অভাবগ্রস্তকে। (সূরা হাজ, আয়াত  ৩৬)

  • একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

  • ওয়াদা ভঙ্গ করবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১২)

  • অঙ্গীকার পালন করবে। (সূরা তাওবা, আয়াত ৪)

  • ক্রোধ সংবরণ করো। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৩৪)

  • গীবত করবে না। (সূরা নূর, আয়াত ১৫)

  • অন্যদের বিষয়ে সু-ধারণা পোষণ করবে। (সূরা নূর, আয়াত ১২)

  • অতিথিদের সম্মান করবে। (সূরা যারিয়াত, আয়াত ২৪-২৭)

  • মুমিনদেরকে কষ্ট দেবে না। (সূরা আহ্যাব, আয়াত ৫৮)

  • পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৩)

  • আসার ক্রিয়া-কলাপ থেকে বিরত থাকো। (সূরা মু’মিনুন, আয়াত ৩)

  • অন্যদেরকে বিদ্রুপ করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

  • চলাফেরা করো নম্রভাবে। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)

  • মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা। (সূরা হা-মীম-আস্সাজদাহ, আয়াত ৩৪)

  • কথা অনুযায়ী কাজ করো। (সূরা সাফ্ফ, আয়াত ২)

  • আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করো। (সূরা মুমিনুন, আয়াত ৮)

  • অবিশ্বাসীদেরকে গালাগালি করো না। (সূরা আন’আম, আয়াত ১০৮)

  • ব্যবসায়িক আদান-প্রদানে পরিমাণ ও ওজন সঠিকভাবে করবে। (সূরা আন’আম, আয়াত ১৫২)

  • এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করো না, যা তোমাদের কাছে প্রকাশিত হলে তা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। (সূরা মায়েদাহ, আয়াত ১০১)

  • কৃপণতা বা অপব্যয় করো না, মধ্যপন্থা অবলম্বন করো। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৭)

  • অন্যকে খারাপ নামে ডাকবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১১)

  • তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। (সূরা নাজ্ম, আয়াত ৩২)

  • পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করো এবং অজ্ঞরা কথা বলতে এলে তাদেরকে বলো সালাম। (সূরা ফুরকান, আয়াত ৬৩)

  • আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আহার্য দান করো, বিনিময়ে প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চেয়ো না। (সূরা দাহ্র, আয়াত ৯)

  • মজলিশে অন্যদের জন্য স্থান করে দাও। (সূরা মুজাদালা, আয়াত ১১)

  • শত্রু যদি শান্তি চায়, তবে সেই প্রস্তাব গ্রহণ করো। (সূরা আন্ফাল, আয়াত ৬১)

  • কেউ দোয়া করলে, তার চেয়ে উত্তম দোয়া ফিরিয়ে দাও। (সূরা নিসা, আয়াত ৮৬)

  • দান করে সে কথা বলে বেড়িয়ো না। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৬৪)

  • মুমিনদের দুই দলের মধ্যে অশান্তি শুরু হলে মীমাংসা করে দাও। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৯)

  • কণ্ঠস্বর নিচু কর, গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। (সূরা লোকমান, আয়াত ১৯)

  • অন্যের আরাধ্যকে মন্দ বলো না, তাহলে তারাও অজ্ঞানতাবশত আল্লাহকে মন্দ বলবে। (সূরা আনফাল, আয়াত ১০৮)

  • খয়রাত তাদের জন্য, যারা কাকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চায় না। এদেরকে লক্ষণ দেখে চিনে নাও। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৭৩)

  • অন্যের বাড়িতে প্রবেশ করার সময় অনুমতি নেবে ও সালাম করবে। (সূরা নূর, আয়াত ২৭)

  • ন্যায় বিচারের জন্য সাক্ষী দেবে। সেই সাক্ষ্য নিজের, বাবা-মায়ের বা আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে গেলেও। (সূরা নিসা, আয়াত ১৩৫)

  • ভদ্রভাবে কথা বলো, এমনকি অবিশ্বাসীদের সঙ্গেও। (সূরা ত্বা-হা, আয়াত ৪৪)

  • দরিদ্রের সামান্য দানের সমালোচনা করো না। (সূরা তাওবা, আয়াত ৭৯)

  • রাসূল সা.-এর আহ্বানকে তোমরা তোমাদের একে অপরকে করা আহ্বানের মতো গণ্য করো না। (সূরা নূর, আয়াত ৬৩)

  • স্ত্রী তাঁর স্বামীর কাছ থেকে উপেক্ষার আশঙ্কা করলে সেক্ষেত্রে মীমাংসাই উত্তম। (সূরা নিসা, আয়াত  ১২৮)

  • নবীর ঘরের বাইরে থেকে তাঁকে উচ্চস্বরে ডাকবে না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৪)

  • ফিতনা-ফ্যাসাদ হত্যা অপেক্ষা গুরুতর অন্যায়। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২১৭)

  • মানুষকে প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে। তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়। (সূরা নাহল, আয়াত ১২৫)

  • সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়া সৎচরিত্র নারীর প্রতি অপবাদ দিও না। (সূরা নূর, আয়াত ৪)

  • রাসূল সা.-এর পত্নীদেরকে জননী হিসেবে বিবেচনা করো। (সূরা আহযাব, আয়াত ৬)

  • নবী সা.-এর কণ্ঠস্বরের উপর নিজেদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ২)

  • না জেনে কাউকে অবিশ্বাসী বলো না। (সূরা নিসা, আয়াত ৯৪)

  • কারও ঘরে প্রবেশ করার আগে অনুমতি নাও। (সূরা নূর, আয়াত ৫৯)

  • মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা। এর ফলে শত্রুরাও বন্ধু হয়ে যাবে। (সূরা হা-মীম-আস্সাজদাহ, আয়াত ৩৪)

  • অন্যায়ভাবে পরস্পরের ধন-সম্পত্তি গ্রাস করো না। (সূরা নিসা, আয়াত ২৯)

  • অহংকারবশত মানুষ হতে মুখ ফিরিয়ে নিও না। (সূরা লোকমান, আয়াত ১৮)

  • অন্যকে ক্ষমা করতে শেখো, ঠিক যেভাবে তুমি আল্লাহর ক্ষমা পেতে চাও। (সূরা নূর, আয়াত ২২)

  • রাসূল সা.-এর মজলিশ থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর অনুমতি প্রার্থনা করো। (সূরা নূর, আয়াত ৬২)

  • পাপাচরণের জন্য গোপন বৈঠক করো না, বরং তাকওয়ার জন্য করো। (সূরা মুজাদালাহ, আয়াত ৯)

  • নিজে ভুলে গিয়ে অন্যকে ভালো কাজের আদেশ করবে না। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ৪৪)

  • শিক্ষককে মান্য করো, তার আদেশ অমান্য করো না। (সূরা কাহ্ফ, আয়াত ৬৭-৬৯)

  • যারা সাহায্যের জন্য তোমার কাছে আসে তাদের অবজ্ঞা করো না। (সূরা আবাসা, আয়াত ১০)

  • অভাবী মানুষকে সাহায্য করতে না পারলে তাঁর সঙ্গে অন্তত সুন্দর কথা বলো। (সূরা বানী ইসরাইল, আয়াত ২৮)

  • অধীনস্থদের প্রতি নম্র হও এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করো। (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১৫৯)

  • সন্দেহজনক উৎস থেকে বার্তা গ্রহণের আগে তা ভালো করে যাচাই করো। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ৬)

  • খাবার পরে অকারণে নবী-গৃহে অবস্থান করবে না। (সূরা আহ্যাব, আয়াত ৫৩)

  • আত্মীয়-স্বজন ও অভাবগ্রস্তদের সাধ্যমতো সাহায্য করবে। (সূরা নূর, আয়াত ২২)

  • অনুমতি ছাড়া কারও বাড়িতে প্রবেশ করবে না এবং প্রত্যাখ্যান করলে ফিরে আসবে। (সূরা ২৪, আয়াত ২৭-২৮)

  • যারা ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করে তাদের সঙ্গে বসবে না যতক্ষণ না তারা বিষয় পরিবর্তন করে। (সূরা নিসা, আয়াত ১৪০)

  • অপবাদ নিয়ে বলাবলি করা উচিন নয়। (সূরা নূর, আয়াত ১৬)

  • মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পরিবর্তে স্ত্রীকে সৌহার্দ্যপূর্ণবাবে তালাক দাও। (সূরা বাকারাহ, আয়াত ২৩১)

  • যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছ ঠিক ততখানি প্রতিশোধ নিতে পারো, তবে ধৈর্যধারণই উত্তম। (সূরা নাহল, আয়াত ১২৬)

  • বর্ণ ও ভাষার পার্থক্য আল্লাহর নিদর্শন, শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যম নয়। (সূরা হুজুরাত, আয়াত ১৩)

  • জোর করে নারীদেরকে বিয়ে করবে না, বৈধ কারণ ছাড়া দাম্পত্য উপহার ফিরিয়ে দেবে না। তাদের সাথে সদ্ভাবে থাকো। (সূরা নিসা, আয়াত ১৯)