১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মার্কিন সাহায্য বন্ধ, মারা যাচ্ছে দক্ষিণ সুদানের শিশুরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক:  কলেরার চিকিৎসার জন্য তিন ঘন্টা হেঁটেও চিকিৎসা না পেয়ে দক্ষিণ সুদানে আটজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে। বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই খবর জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, মার্কিন সাহায্য কাটছাঁটের ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা নিতে তিন ঘন্টা হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের মৃত্যু হয়।

সম্প্রতি দক্ষিণ সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ৪০ হাজার কলেরা আক্রান্তের খবর জানা গেছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এটিকে দেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রাদুর্ভাব হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’জানিয়েছে, দাতব্য সংস্থাটি পূর্ব আকোবো কাউন্টির ২৭টি ক্লিনিককে সহায়তা করে, কিন্তু এটি জানিয়েছে, ইউএসএআইডি-এর কাটছাঁটের কারণে সাতটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি আংশিক খোলা রয়েছে।

 

মার্কিন সাহায্য বন্ধ, মারা যাচ্ছে দক্ষিণ সুদানের শিশুরা

এটি আরো জানায়, দেশব্যাপী প্রায় ৬শ’টি ক্লিনিকের প্রায় ২শ’ কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে। ইউএসএআইডি-এর বার্ষিক বাজেট যার প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মানবিক সাহায্যের প্রায় ৪০ শতাংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই বাজেটের কাটছাঁট করায় বিশ্বজুড়ে এর ওপর প্রভাব পড়েছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৭শ’ জন কলেরায় মারা গেছে। যার অর্ধেকই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। দক্ষিণ সুদানের ১০টি রাজ্যের মধ্যে ৯টি রাজ্য আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় জোংলেই রাজ্য।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মার্কিন সাহায্য বন্ধ, মারা যাচ্ছে দক্ষিণ সুদানের শিশুরা

আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক:  কলেরার চিকিৎসার জন্য তিন ঘন্টা হেঁটেও চিকিৎসা না পেয়ে দক্ষিণ সুদানে আটজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে। বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই খবর জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, মার্কিন সাহায্য কাটছাঁটের ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা নিতে তিন ঘন্টা হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের মৃত্যু হয়।

সম্প্রতি দক্ষিণ সুদানে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ৪০ হাজার কলেরা আক্রান্তের খবর জানা গেছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, এটিকে দেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রাদুর্ভাব হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’জানিয়েছে, দাতব্য সংস্থাটি পূর্ব আকোবো কাউন্টির ২৭টি ক্লিনিককে সহায়তা করে, কিন্তু এটি জানিয়েছে, ইউএসএআইডি-এর কাটছাঁটের কারণে সাতটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০টি আংশিক খোলা রয়েছে।

 

মার্কিন সাহায্য বন্ধ, মারা যাচ্ছে দক্ষিণ সুদানের শিশুরা

এটি আরো জানায়, দেশব্যাপী প্রায় ৬শ’টি ক্লিনিকের প্রায় ২শ’ কর্মী ছাঁটাই করতে হয়েছে। ইউএসএআইডি-এর বার্ষিক বাজেট যার প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মানবিক সাহায্যের প্রায় ৪০ শতাংশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই বাজেটের কাটছাঁট করায় বিশ্বজুড়ে এর ওপর প্রভাব পড়েছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ৭শ’ জন কলেরায় মারা গেছে। যার অর্ধেকই ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। দক্ষিণ সুদানের ১০টি রাজ্যের মধ্যে ৯টি রাজ্য আক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় জোংলেই রাজ্য।