দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ শ্রীলঙ্কায়! মাহিন্দা রাজাপক্ষের পরে এবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবি

- আপডেট : ১১ মে ২০২২, বুধবার
- / 8
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: খাদ্য সংকটের তীব্র অভাবে অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগের পরেও আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সরকারের পক্ষে ও সরকার বিরোধী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শ্রীলঙ্কা। মহামারির ধাক্কার পাশাপাশি আর্থিক অব্যবস্থার ভয়াবহ অবস্থায় শ্রীলঙ্কা। আশঙ্কা গৃহযুদ্ধের।
সরকার পতনের দাবিতে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ চলছে। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পদত্যাগের পর প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগ দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা।
আজ শ্রীলঙ্কাজুড়ে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে বিশেষ দলগুলোর নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন দেশের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে। স্পিকার মাহিন্দার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, স্পিকারের আহ্বানে আজ বুধবার স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় ভার্চুয়াল বিশেষ সভায় যোগ দেবেন নেতারা।
এদিকে মাহিন্দা রাজাপক্ষের পদত্যাগের পরেই দেশের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কান সেনাবাহিনীর হাতে। ক্ষমতা পেয়েই কড়া হাতে বিক্ষোভ দমনে সক্রিয় হয়েছে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হিংসা ঠেকাতে ‘দেখা মাত্র গুলির’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীকে।
সদ্য পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে পূর্ব উপকূলের ত্রিঙ্কোমালি নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন খবর পেয়েই সেখানেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। কয়েক হাজার আন্দোলনকারী নৌঘাঁটি ঘিরে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর। গত ৪৮ ঘণ্টার পরিস্থিতি দেখে শ্রীলঙ্কায় ফের গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
বিক্ষোভকারীরা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুনও ধরান তারা। কিন্তু তার আগে কাকভোরেই সদ্য-প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
শাসকদলের সমর্থন এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সোমবার ৮ জনের মৃত্যু হয় শ্রীলঙ্কায়। আহত আড়াই শো’র বেশি। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক জন পার্লামেন্ট সদস্যও। সোমবারই ইস্তফা দেন মাহিন্দা।
শ্রীলঙ্কার এই অবস্থার জন্য মাহিন্দা এবং তার ভাই তথা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দায়ী বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। মঙ্গলবার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনা এবং পুলিশের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা সরকার।