২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাম-রুবেলা টিকাকরণে গতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার, বিশেষ নজরে প্রান্তিক ও  চা বাগানের আদিবাসীরা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হাম ও রুবেলার মতো রোগের টিকাকরণে গতি আনতে চাইছে রাজ্য। করোনার পর এবার টিকাকরণকে আরও জোরদার করতে চাইছে বাংলা। সেইজন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অভিভাবকদের এই বিষয়ে সতর্ক করতে স্কুল গুলিকে হাতিয়ার করতে চাইছে সরকার। অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে রাজ্য। তাঁদের আস্থা অর্জনে প্রতিটি স্কুলে যাতে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়, সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

প্রথম থেকে দশম শ্রেণির সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে যাতে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। হাম এবং রুবেলা রোগ কষ্টদায়ক। এমনকি সময় মতো  চিকিৎসা না  করলে, এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। টিকাকরণের মধ্যমে রোগ প্রতিরোধই একমাত্র পথ।

 

কোভিড আবহে গত দু’বছর শিশুদের হাম (মিজলস) এবং রুবেলা (জার্মান হাম) টিকাকরণ ব‌্যাহত হয়েছে। সাধারণত ন’মাস বয়সেই শিশুদের এর প্রথম টিকা নিতে হয়। দ্বিতীয় টিকা মেলে ১৫ মাস বয়সে। অতিমারী শিথিল হতেই তাই শিশুদের হামের টিকাকরণে জোর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রতিটি হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে সদস্য সংখ‌্যা বাড়ানোর জন‌্য চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ‌্য দফতর।

 

প্রকাশিত হওয়া নয়া নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের শিশুরা তো বটেই, পথশিশুদেরকেও মিজলস,  রুবেলা টিকাকরণের আওতায় আনতে জোর় দিচ্ছে রাজ‌্য সরকার। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে প্রান্তিক এবং চা বাগানের আদিবাসী এলাকার শিশুদের জন‌্য। হামের প্রভাব মারাত্মক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ নষ্ট করে দেয় এই ভাইরাল অসুখ।

 

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, যে সমস্ত শিশুরা হামে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের ডায়েরিয়া দেখা যায়। পরবর্তীকালে তার থেকে অপুষ্টিজনিত সমস‌্যা হয়। এছাড়াও হামের প্রকোপে চোখের ভিটামিন এ-র ঘাটতি দেখা যায়

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাম-রুবেলা টিকাকরণে গতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার, বিশেষ নজরে প্রান্তিক ও  চা বাগানের আদিবাসীরা

আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হাম ও রুবেলার মতো রোগের টিকাকরণে গতি আনতে চাইছে রাজ্য। করোনার পর এবার টিকাকরণকে আরও জোরদার করতে চাইছে বাংলা। সেইজন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। অভিভাবকদের এই বিষয়ে সতর্ক করতে স্কুল গুলিকে হাতিয়ার করতে চাইছে সরকার। অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও করেছে রাজ্য। তাঁদের আস্থা অর্জনে প্রতিটি স্কুলে যাতে অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়, সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

প্রথম থেকে দশম শ্রেণির সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে যাতে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। হাম এবং রুবেলা রোগ কষ্টদায়ক। এমনকি সময় মতো  চিকিৎসা না  করলে, এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। টিকাকরণের মধ্যমে রোগ প্রতিরোধই একমাত্র পথ।

 

কোভিড আবহে গত দু’বছর শিশুদের হাম (মিজলস) এবং রুবেলা (জার্মান হাম) টিকাকরণ ব‌্যাহত হয়েছে। সাধারণত ন’মাস বয়সেই শিশুদের এর প্রথম টিকা নিতে হয়। দ্বিতীয় টিকা মেলে ১৫ মাস বয়সে। অতিমারী শিথিল হতেই তাই শিশুদের হামের টিকাকরণে জোর দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রতিটি হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগে সদস্য সংখ‌্যা বাড়ানোর জন‌্য চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ‌্য দফতর।

 

প্রকাশিত হওয়া নয়া নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের শিশুরা তো বটেই, পথশিশুদেরকেও মিজলস,  রুবেলা টিকাকরণের আওতায় আনতে জোর় দিচ্ছে রাজ‌্য সরকার। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে প্রান্তিক এবং চা বাগানের আদিবাসী এলাকার শিশুদের জন‌্য। হামের প্রভাব মারাত্মক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ নষ্ট করে দেয় এই ভাইরাল অসুখ।

 

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, যে সমস্ত শিশুরা হামে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে বিশেষ এক ধরনের ডায়েরিয়া দেখা যায়। পরবর্তীকালে তার থেকে অপুষ্টিজনিত সমস‌্যা হয়। এছাড়াও হামের প্রকোপে চোখের ভিটামিন এ-র ঘাটতি দেখা যায়