১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রমযান মাসব্যাপী একাধিক কর্মসূচি রাজ্য জামাআতের

সুস্মিতা
  • আপডেট : ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার
  • / 17

রোযার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে

আবদুল ওদুদ: পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে জামাআতে ইসলামি হিন্দ-এর পক্ষ থেকে সারা মাসব্যাপী রমযানের তাৎপর্য, গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে নানারকম পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। রমযানের জামাআতে ইসলামি হিন্দের রাজ্য আমির ডা. মসিহুর রহমান জানিয়েছেন ‘ইস্তেগ বালে রমযান’ শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে রমযানের গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স, ফেস্টুন, পথসভা-সহ গ্রাম এবং মহল্লায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ইসলাম ধর্মে রমযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্য মাস এ মাসের ভাব ও গম্ভীর পরিবেশ যাতে বজায় থাকে, সে-ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে জামাআতের কর্মীরা। পাশাপাশি প্রকাশ্যে খানাপিনা না করা, এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করার বিষয়েও মানুষকে সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে বলে রাজ্য জামাআতের আমীর ডা. মসিহুর রহমান জানিয়েছেন। তৃণমূল স্থর থেকে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জুম্মা মসজিদে খুতবায় রমযানের গুরুত্ব বোঝানো হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে, মহিলারা পাড়া এবং মহল্লায় রমযানের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবেন। রমযানের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন রাজ্য জামাআতের মহিলা সদস্যরা।
পবিত্র রমযান মাসে যাকাতের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যাকাতের ব্যাপারে প্রচার চালাবে রাজ্য জামাআতে ইসলামি হিন্দ। যাকাতের অর্থ এবং সামগ্রী যাতে গরিব, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষরা পায় তার জন্য সঠিক বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে। যাকাতের অর্থ এবং অনুদান একত্রিত করে তা সঠিক বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের কাজ করবেন জামাআতের কর্মীরা।
রমযানের ইফতার সামগ্রী বণ্টনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও ইফতার সামগ্রী বণ্টন করবেন জামাআতের কর্মীরা। গ্রামবাংলায় প্রকৃতি দুস্থ মানুষদের চিহ্নিত করে এই ইফতার সামগ্রী বণ্টনের ব্যবস্থা করছে রাজ্য জামাআতে ইসলামি হিন্দ বলে ডা. মসিহুর রহমান জানিয়েছেন। গ্রামবাংলায় পবিত্র রমযান মাসে ইফতারের কিট বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি ঈদ-উল-ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে দুস্থ মানুষদের পোশাক বিতরণ করা হবে শিশু ও নারী-সহ অন্যান্যদের মাঝে। পবিত্র রমযান মাসের পরেই আসে ঈদ-উল-ফিতর এটাকে আমরা খুশির ঈদ বলে থাকি। ঈদ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে পবিত্র রমযান মাসের ৩০ দিনের রোযার এবাদত বান্দাগির সমস্ত কাজের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ঈদের পর মিলাদ-উন-নবীর আয়োজন করা হবে। এই সমস্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোচনাসভায় অংশ নেবেন অমুসলিমরা। সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ঈদে মিলাদ-উন-নবীতে অমুসলিমদের দাওয়াত করা হবে। চলমান পরিস্থিতিতে মুসলিমদের যে সমস্যা, সেই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। এতে অমুসলিমরা অংশগ্রহণ করবে। তাঁরাও নানা বিষয় তুলে ধরবেন। এই সমস্ত সংলাপের মাধ্যমে মূলত সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যই হচ্ছে রাজ্য জামাতে ইসলামির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। নারী-পুরুষ ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে আলাদাভাবে ইফতার মজলিশের আয়োজন করা হবে। ছোটদের রোযা রাখার উৎসাহ দানের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে। এ ছাড়াও প্রতিদিন তারাবিহতে কুরআন পাঠ করা হবে। কুরআন পাঠের তরজমা করে উপস্থিত অন্যান্যদের শোনানো হবে বলে তিনি জানান। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে কাজ করবে জামাআতের ইসলামের কর্মীরা। ইসলামের প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করবেন জামাতের কর্মীরা বলে তিনি জানান।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রমযান মাসব্যাপী একাধিক কর্মসূচি রাজ্য জামাআতের

আপডেট : ১ মার্চ ২০২৫, শনিবার

রোযার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে

আবদুল ওদুদ: পবিত্র রমযান মাস উপলক্ষে জামাআতে ইসলামি হিন্দ-এর পক্ষ থেকে সারা মাসব্যাপী রমযানের তাৎপর্য, গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে নানারকম পথসভার আয়োজন করা হয়েছে। রমযানের জামাআতে ইসলামি হিন্দের রাজ্য আমির ডা. মসিহুর রহমান জানিয়েছেন ‘ইস্তেগ বালে রমযান’ শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে রমযানের গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বোঝাতে দেওয়াল লিখন, ফ্লেক্স, ফেস্টুন, পথসভা-সহ গ্রাম এবং মহল্লায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ইসলাম ধর্মে রমযান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্য মাস এ মাসের ভাব ও গম্ভীর পরিবেশ যাতে বজায় থাকে, সে-ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে জামাআতের কর্মীরা। পাশাপাশি প্রকাশ্যে খানাপিনা না করা, এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করার বিষয়েও মানুষকে সচেতনতার পাঠ দেওয়া হবে বলে রাজ্য জামাআতের আমীর ডা. মসিহুর রহমান জানিয়েছেন। তৃণমূল স্থর থেকে রমযানকে স্বাগত জানিয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জুম্মা মসজিদে খুতবায় রমযানের গুরুত্ব বোঝানো হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে, মহিলারা পাড়া এবং মহল্লায় রমযানের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করবেন। রমযানের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন রাজ্য জামাআতের মহিলা সদস্যরা।
পবিত্র রমযান মাসে যাকাতের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই যাকাতের ব্যাপারে প্রচার চালাবে রাজ্য জামাআতে ইসলামি হিন্দ। যাকাতের অর্থ এবং সামগ্রী যাতে গরিব, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষরা পায় তার জন্য সঠিক বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে। যাকাতের অর্থ এবং অনুদান একত্রিত করে তা সঠিক বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের কাজ করবেন জামাআতের কর্মীরা।
রমযানের ইফতার সামগ্রী বণ্টনের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও ইফতার সামগ্রী বণ্টন করবেন জামাআতের কর্মীরা। গ্রামবাংলায় প্রকৃতি দুস্থ মানুষদের চিহ্নিত করে এই ইফতার সামগ্রী বণ্টনের ব্যবস্থা করছে রাজ্য জামাআতে ইসলামি হিন্দ বলে ডা. মসিহুর রহমান জানিয়েছেন। গ্রামবাংলায় পবিত্র রমযান মাসে ইফতারের কিট বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি ঈদ-উল-ফিতর অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে দুস্থ মানুষদের পোশাক বিতরণ করা হবে শিশু ও নারী-সহ অন্যান্যদের মাঝে। পবিত্র রমযান মাসের পরেই আসে ঈদ-উল-ফিতর এটাকে আমরা খুশির ঈদ বলে থাকি। ঈদ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে পবিত্র রমযান মাসের ৩০ দিনের রোযার এবাদত বান্দাগির সমস্ত কাজের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ঈদের পর মিলাদ-উন-নবীর আয়োজন করা হবে। এই সমস্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আলোচনাসভায় অংশ নেবেন অমুসলিমরা। সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ঈদে মিলাদ-উন-নবীতে অমুসলিমদের দাওয়াত করা হবে। চলমান পরিস্থিতিতে মুসলিমদের যে সমস্যা, সেই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। এতে অমুসলিমরা অংশগ্রহণ করবে। তাঁরাও নানা বিষয় তুলে ধরবেন। এই সমস্ত সংলাপের মাধ্যমে মূলত সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যই হচ্ছে রাজ্য জামাতে ইসলামির লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। নারী-পুরুষ ছাত্রদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে আলাদাভাবে ইফতার মজলিশের আয়োজন করা হবে। ছোটদের রোযা রাখার উৎসাহ দানের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে। এ ছাড়াও প্রতিদিন তারাবিহতে কুরআন পাঠ করা হবে। কুরআন পাঠের তরজমা করে উপস্থিত অন্যান্যদের শোনানো হবে বলে তিনি জানান। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে কাজ করবে জামাআতের ইসলামের কর্মীরা। ইসলামের প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দিতে কাজ করবেন জামাতের কর্মীরা বলে তিনি জানান।