০৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেজাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক রাজ্য, রুখতে নির্দেশিকা জারি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
  • / 19

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভেজাল ওষুধ নিয়ে কড়া স্বাস্থ্য দফতর। ভেজাল ওষুধের কারবার রুখতে নির্দেশিকা প্রকাশ স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই তথ্য জানিয়েছেন। জাল ওষুধের শিকড় উপড়ে ফেলতে সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল স্ট্রোরকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরীক্ষার পদ্ধতিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসার এবং স্বাস্থ্যসচিব বৈঠকও করেছেন।প্রতিবছর হাসপাতালে অতি দরকারী ওষুধের তালিকা তৈরি করা হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য দরকারী ওষুধ, জ্বর-সর্দি থেকে হৃদরোগ, সেরিব্রাল স্ট্রোক প্রতিরোধ ওষুধ হাসপাতালে মজুত রাখা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথা অনুসারে, প্রায় ১ হাজার ৭০০ ওষুধ পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগ ব্যাধি কমাতে দরকার হয়। বিরল এবং অতি বিরল রোগের জন্য প্রায় ৩০০ বিভিন্ন গ্রুপের ওষুধ, ইনজেকশন রয়েছে। এই ওষুধ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে সংগ্রহ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের ওই অফিসার জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজ অথবা হাসপতালের সিনিয়র রেসড্যান্ট অথবা সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসকরা ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন।

আরও পড়ুন: সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক, গাজা ছাড়া ইরান ও শুল্ক নীতি নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা

প্রতিটি ওষুধ অথবা ইনজেকশন ব্যবহারের আগে ব্যাচ নম্বর নথিভুক্ত বাধ্যতামূলক। দিনের শেষে তা হাসপতালের উপাধ্যক্ষকে পাঠাতে হবে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সব তথ্য জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিক অথবা জেলাশাসককে পাঠাতে হবে। ভেজাল ওষুধ চিহ্নিত করতে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেজাল ওষুধ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য তথা কেন্দ্র সরকার। ৩০০টি ওষুধকে ‘জাল’ ওষুধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, প্রেসারের ওষুধ,  ডায়াবেটিস, ইনহেলার, ইনজেকশন-সহ বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কিউআর কোড পাঠানো হয়েছে। বিক্রেতাকে ওষুধের তথ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যানে ওষুধ মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ক্রেতাদের সতর্ক করতে এই কোড দোকানে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে, সমস্ত ওষুধের দোকানে ও হোলসেলারদের গুদামে কিউ আর কোড ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। ভেজাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভেজাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক রাজ্য, রুখতে নির্দেশিকা জারি

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভেজাল ওষুধ নিয়ে কড়া স্বাস্থ্য দফতর। ভেজাল ওষুধের কারবার রুখতে নির্দেশিকা প্রকাশ স্বাস্থ্য দফতরের। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই তথ্য জানিয়েছেন। জাল ওষুধের শিকড় উপড়ে ফেলতে সরকারি হাসপাতালের মেডিক্যাল স্ট্রোরকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে পরীক্ষার পদ্ধতিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসার এবং স্বাস্থ্যসচিব বৈঠকও করেছেন।প্রতিবছর হাসপাতালে অতি দরকারী ওষুধের তালিকা তৈরি করা হয়। অস্ত্রোপচারের জন্য দরকারী ওষুধ, জ্বর-সর্দি থেকে হৃদরোগ, সেরিব্রাল স্ট্রোক প্রতিরোধ ওষুধ হাসপাতালে মজুত রাখা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার কথা অনুসারে, প্রায় ১ হাজার ৭০০ ওষুধ পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগ ব্যাধি কমাতে দরকার হয়। বিরল এবং অতি বিরল রোগের জন্য প্রায় ৩০০ বিভিন্ন গ্রুপের ওষুধ, ইনজেকশন রয়েছে। এই ওষুধ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে সংগ্রহ করা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের ওই অফিসার জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজ অথবা হাসপতালের সিনিয়র রেসড্যান্ট অথবা সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসকরা ভেজাল ওষুধ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন।

আরও পড়ুন: সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠক, গাজা ছাড়া ইরান ও শুল্ক নীতি নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা

প্রতিটি ওষুধ অথবা ইনজেকশন ব্যবহারের আগে ব্যাচ নম্বর নথিভুক্ত বাধ্যতামূলক। দিনের শেষে তা হাসপতালের উপাধ্যক্ষকে পাঠাতে হবে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে সব তথ্য জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিক অথবা জেলাশাসককে পাঠাতে হবে। ভেজাল ওষুধ চিহ্নিত করতে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হবে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভেজাল ওষুধ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য তথা কেন্দ্র সরকার। ৩০০টি ওষুধকে ‘জাল’ ওষুধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, প্রেসারের ওষুধ,  ডায়াবেটিস, ইনহেলার, ইনজেকশন-সহ বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। সাধারণ মানুষকে প্রতারণার হাত থেকে বাঁচাতে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে কিউআর কোড পাঠানো হয়েছে। বিক্রেতাকে ওষুধের তথ্য খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যানে ওষুধ মিলিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ক্রেতাদের সতর্ক করতে এই কোড দোকানে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে, সমস্ত ওষুধের দোকানে ও হোলসেলারদের গুদামে কিউ আর কোড ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। ভেজাল ওষুধ নিয়ে সতর্ক রাজ্য প্রশাসন।