বিধ্বংসী আয়লা, যশ এবং অতি সম্প্রতিককালের রিমালের দগদগে ঘা শুকাতে না শুকাতে ফের ঘূর্ণিঝড় ডানার আতঙ্ক ডানা মেলেছে সুন্দরবনের
দ্বীপ ও নদী পাড়ের বাসিন্দাদের উপর। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ডানা। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয়বর্তী এলাকায় যার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়াবিদরা।
এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি , সাহেব খালি সহ হিঙ্গলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে নদী বাঁধ সংস্কার হয় না। একটু ঝড়-বৃষ্টি আসলেই নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় এলাকার পর এলাকা। হিঙ্গলগঞ্জের রায়মঙ্গল, কালিন্দী সহ বিভিন্ন নদী বাঁধের বেহাল দশা। কোথাও নদী বাঁধ ফাটল ধরেছে। কোথাও বা নদী বাঁধের বেশিরভাগ অংশই ধুয়ে চলে গিয়েছে নদীগর্ভে।। আর এই অবস্থার মধ্যে যদি ঘূর্ণিঝড় এই এলাকায় আছড়ে পড়ে তাহলে নদীর জলের চাপ বাঁধ ধরে রাখতে পারবে না।
এই এলাকার চাষীরা সবে এমন ধানের চাষ করেছে। যদি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয় তাহলে বড়সড়ো ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাদের। তবে ডানার মোকাবিলা করার জন্য সব রকম ভাবে প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও দেবদাস গাঙ্গুলী বলেন, তিনটি দ্বীপ এলাকার নটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক।
ডানা মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ব্লক প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের কর্মীরা। যখন যেমন নির্দেশ আসছে সেভাবেই তৈরি হচ্ছেন তারা। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানদেরও সতর্ক নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। ঝড়ে বড় ধরনের গাছ গাছালি ভেঙে পড়লে সেগুলো যাতে দ্রুত সরিয়ে ফেলা যায় তার সমস্ত রকমের প্রস্তুতি ও সরঞ্জামের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার মতো সম্ভাবনাময় এলাকা থেকে আর মানুষদের আশ্রয় শিবিরে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ এবং খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ পত্রের ব্যবস্থা করা হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত গুলোকে সেভাবেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত কিছু নজরদারি করার জন্য। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে তারপর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।