পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মহাকাশে আটকে রয়েছেন সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং বুচ উইলমোর। একাধিক বার চেষ্টা করেও তাঁদের পৃথিবীতে ফেরানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁদের আনতে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেস এক্স সংস্থার মহাকাশযান Crew-10 । খুব শীঘ্রই Crew-10 পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে সুনীতা ও বুচদের।
আরও পড়ুন: কী ভাবে স্পেস স্টেশনে নোঙর বাঁধল Crew-10?
জানা গিয়েছে, পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পর সম্পূর্ণ ভাবে আইসোলেশনে রাখা হবে সুনীতা (Sunita Williams) ও বুচকে। একটা দীর্ঘ সময়ে তাঁদের হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ভাবেই চলাফেরা করতে পারবেন না তাঁরা।
বেবি ফিট: দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার কারণে হাঁটাচলা বন্ধ ছিল সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) এবং বুচ উইলমোরের। ফলে পায়ের তলার শক্ত চামড়া নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। এর জেরে পৃথিবীতে ফিরে হাঁটতে গিয়ে ব্যথা অনুভব করতে পারেন মহাকাশচারীরা। পা ফেলতে গেলেও কষ্ট হতে পারে।
হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া: নাসার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিমাসে মহাকাশচারীদের ওজন বহনকারী হাড় প্রায় ১% ঘনত্ব হারায়, যা অনেক ক্ষেত্রে স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। সুনীতা (Sunita Williams) ও বুচও এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
আরও পড়ুন: মহাকাশ স্টেশনে সঙ্গীদের দেখে কী করলেন Sunita Williams-রা?
রক্তচাপের পরিবর্তন: মহাকর্ষের অভাবে রক্তপ্রবাহের স্বাভাবিক গতিবিধি বদলে যায়। রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনাও থাকে। রক্তচাপও ওঠানামা হতে পারে দুই মার্কিন নভোশ্চরের।
দৃষ্টিশক্তির সমস্যা: দীর্ঘদিন মহাকাশে থাকার ফলে চোখের আকৃতিও পরিবর্তিত হয় মহাকাশচারীদের। পৃথিবীতে ফেরার পর স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ফিরতে সময় লাগে। এমনকী দৃষ্টিশক্তি অনেকটা কমে যেতে পারে।
বিপজ্জনক রেডিয়েশন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্র মানব দেহকে রক্ষা করে, কিন্তু মহাকাশে এ ধরনের প্রতিরক্ষা নেই। ফলে মহাকাশচারীরা উচ্চমাত্রার রেডিয়েশনের মুখে পড়েন, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পৃথিবীতে পা রাখতেও এই সমস্যার মুখে পড়বেন উভয় মহাকাশচারী। সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) ও বুচ উইলমোর যখন পৃথিবীতে ফিরবেন, আচমকাই তাঁদের দীর্ঘদিনের মহাকাশ যাত্রার প্রভাবগুলি কাটিয়ে উঠতে সমস্যা হবে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হবে।