আমফানের চেয়েও ভয়ঙ্কর! চোখ রাঙাচ্ছে সুপার সাইক্লোন সিত্রাং, ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটায় স্থলভাগ লন্ডভন্ডের আশঙ্কা

- আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
- / 7
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নিম্নচাপ আর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। দুর্গাপুজোতেই নিম্নচাপের চোখ রাঙানি সহ্য করতে হয়েছে রাজ্যবাসীকে। সামনেই কালীপুজো আর ভাইফোঁটা আসছে। আর ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি চোখ রাঙাচ্ছে। ভারত সহ এশিইয়ার মোট ১৩টি দেশে ২৫০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। সুপার সাইক্লোন অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আশঙ্কা কালীপুজো, ছটপুজোর মধ্যেই। এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সাগরে হালকা নিম্নচাপ তৈরি হলেও পরবর্তী সময়ে সেটি সাইক্লোনের শক্তি অর্জন করতে পারে। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে উপকূলীয় এলাকাগুলিকে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে। এর পর এর গতিপথ হবে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ কিংবা ভারত-বাংলাদেশের উপকূলের কোনও একটি স্থান দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করা। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে কখন এটি শক্তিশালী রূপ নেবে সেই নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড়টি সম্ভবত আগামী ১৭ অক্টোবর নিম্নচাপে পরিণত হবে, যা ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আভাস রয়েছে।
তিনদিন আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূলের ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। পরে রবিবারের পূর্বাভাস সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন উপকূলের মাঝামাঝি যেকোনও একটি স্থানে আঘাত হানার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহবিদদের কথা অনুযায়ী, সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনের শক্তি অর্জন করতে পারে। বাতাসের গতিবেগ ঘূর্ণিঝড় সিডর কিংবা আমফানের মতো ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার থেকে ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অক্টোবরের ২৫ তারিখ অমাবস্যা। ফলে সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়টি যদি অক্টোবরের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত করে, তবে স্থলভাবে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি।
উপকূলীয় এলাকায় ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে, যদি উপকূলের আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকে।’
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের ১৩টি দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘সিত্রাং’ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে আকাশ মেঘলা হবে এবং হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আগামী সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি নামতে পারে।