২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙড়ে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি 

পুবের কলম প্রতিবেদক, জয়নগর: শনিবার গভীর রাতে এক সবজি ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। ঘটনাটি ঘটেছে, ভাঙড়ের উত্তর কাশিপুর থানা

কলকাতা পুলিশের আওতায় আসছে ভাঙড়  

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্য রাজনীতিতে ভাঙড়ের নাম বারবার উঠে এসেছে। বাম শাসনের সময় থেকেই ভাঙড়ের নাম সংবাদ শিরোনামে। একদা ভাঙড়ের

দ্বন্দ্ব ভুলে এক মঞ্চে আরাবুল-কাইজার, একে-অপরকে যা বললেন

মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়ঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে সৌজন্যের রাজনীতি ফিরল ভাঙড়ে। অনেকদিন পরে শাসকদলের একই মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গেল বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদকে। যা দেখে খুশি ভাঙড়ের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা, স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীও। মঙ্গলবার ভাঙড়ের শোনপুর বাজারে একটি কর্মী সভার আয়োজন করেন আরাবুল ইসলাম। সেই সভায় ভাঙড়ের দশটি অঞ্চল থেকে প্রধান, উপ প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিরা যোগদান করেন। আরাবুলের ডাকে জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলার সভানেত্রী মোনমোহিনী বিশ্বাস, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল, জেলার যুব সভাপতি অভীক মজুমদার প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন। তৃণমূল জমানায় ভাঙড় মানেই আরাবুল, কাইজার, ওহিদুল ও নান্নুর আলাদা আলাদা গোষ্ঠী ও সেইসব গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি। কয়েক মাস আগে কঠিন অসুখে নান্নু হোসেন ও ওহিদুল ইসলাম মারা যান। তারপর থেকেই জেলা সভাপতির নির্দেশে আইএসএফের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করার বার্তা দেন আরাবুল ও কাইজার।  এদিনের আরাবুলের সভায় যোগ দিয়ে কাইজার বলেন, ‘আরাবুলদা খুব ভাল মিটিং করছে, প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছে।মাঠ আরও বড় হলে ভাল হত’। পাল্টা আরাবুল বলেন, ‘কাইজার অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক, সারা বছর মানুষের পাশে থাকে।‘ পরষ্পরের পিঠ চাপাড়ানি দেখে অবাক ভাঙড়ের নীচুস্তরের তৃণমূল কর্মীরা। কাইজার ছাড়াও এদিন আরাবুল বিরোধী বলে পরিচিত হবিবর রহমান বিশ্বাস, বাহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমস্যা সমাধানে ভাঙড়ের গ্রামে শুরু হল পাড়া বৈঠক

মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়: শুরু হয়েছে পাড়ায় পাড়ায় ‘পাড়া বৈঠক’। আর তাতেই বিপুল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে এলাকায়। গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা একসঙ্গে ওই বৈঠকে যোগ দিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। সমাধানের জন্য চলছে আলোচনা। পঞ্চায়েতের কাজের অঙ্গ হিসাবেই এই পাড়া বৈঠক করে এলাকার সমস্যা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে রূপ রেখা তৈরি করা হচ্ছে। ভাঙড় ২ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথে কয়েক দিন ধরেই এই পাড়া বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। আর তাতেই উৎসবের পরিবেশে গ্রামের মানুষরা অংশ নিচ্ছেন।  ভগবানপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খয়েরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাফুজা বিবি বলেন, গ্রামের কয়েকটি নিকাশি নালার অবস্থা খারাপ। সেগুলো ঠিক করার আবেদন জানাই। ওনারা গুরুত্ব দিয়ে নিকাশি নালা মেরামতির আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও সরকারের অনেকগুলো প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। এই প্রকল্পগুলোর কথা জানতাম না। তাই নাম নথিভুক্ত করেছি। খুব ভালো লাগলো এই পাড়া বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পেরে। 

অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লার খোঁজ নিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রেজ্জাক

মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাল মনের মানুষ, তিনি আমায় খোঁজ রাখেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ফিরে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ অসুস্থ প্রবীণ নেতা আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। ৭৫ বছর বয়সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখার্জী। ৭৭ বছরের প্রবীণ নেতা রেজ্জাক মোল্লা তিনিও অসুস্থ।বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। পুরানো দলের কেউ তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ না রাখলেও খোঁজ নেন মমতা। এদিন অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লা গ্রামের বাড়িতে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের প্রশংসা করে তিনি বলেন, দলকে আরও সংগঠিত করতে হবে শান্তিপূর্ণ ভাবে সবাই কে নিয়ে চলতে হবে। ভাঙড় থেকেই রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম, ভাঙড়েই শেষ করেছি।কিন্তু ভাঙড়ের জন্য আমার সর্বদাই মন টানে। এদিন ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকারি সভাপতি আব্দুর রহিম এবং যুব নেতা রশিদ মোল্লা অসুস্থ রেজ্জাক মোল্লাকে দেখতে তার গ্রামের বাড়িতে যান।কয়েক দিন আগেই তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকেই ছুটি পেয়ে ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামের বাড়িতে আসেন। এদিন সকালে ফল, মিষ্টি নিয়ে রেজ্জাক সাহেবকে দেখতে যান ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম এবং রশিদ। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে প্রয়াত হওয়ার পর দলের প্রবীণতম নেতা রেজ্জাক মোল্লার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিতে এবং সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে ছুটে যান তৃণমূল নেতা রহিমবাবু সহ যুব নেতা রশিদ মোল্লা।এমনটাই জানান তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিম। দল নিয়ে এবং ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। রেজ্জাক মোল্লা নিজে হাঁটাচলা করতে পারেন না।তাকে ধরে বাইরে রৌদ্র নিয়ে এসে বসিয়ে দেওয়া হয়।প্রায় আধঘণ্টা তাদের সঙ্গে গল্পগুজব করেন। ভাঙড়ের দুই তৃণমূল নেতা নান্নু হোসেন এবং অহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে নেতৃত্ব শুন‍তা তৈরি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।  ছাত্র রাজনীতির মধ্যে দিয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি ভাঙড়ের বাঁকড়ি গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান রেজ্জাকের। ১৯৭২ সালে ভাঙড় কেন্দ্র থেকে সিপিএমের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন। ১৯৭৭ সাল থেকে তিনি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা থেকে সিপিএমের প্রার্থী। ২০১১ সাল পর্যন্ত সিপিএমের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন।২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে রেজ্জাক বার বার দল বিরোধী মন্তব্য করতে থাকেন। ২০১৪ সালে সিপিএম তাঁকে বহিষ্কার করে। ‘ন্যায়বিচার পার্টি’ তৈরি করে সামাজিক আন্দোলনে সামিল ছিলেন কিছুদিন। ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই বছরই তৃণমূলের টিকিটে জেতেন ভাঙড়ে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্বও পান।

বক্সিং চাম্পিয়ান ভাঙড়ের মেয়ে পিউ, সংবর্ধনা দিল যুব তৃণমূল

মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়: স্বপ্নপুরণের লক্ষ্যে এবার আসমুদ্র হিমাচল পার করে গোয়ায় ন্যাশনাল ফেডারেশান কাপে  অংশগ্রহণ করতে চলেছে ভাঙড়ের মেয়ে পিউ ঢালী। তবে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। এমতাবস্থায় ভাঙড়ের ‘সোনার’ মেয়ের পাশে এসে দাঁড়াল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। খোদ রাজ‍্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সায়নী ঘোষের নির্দেশে কি‍ং বক্সিং চাম্পিয়ান এর বাড়িতে সংবর্ধনা সহ আর্থিক সাহায্য করতে এলেন যুব তৃণমূল নেতৃত্ব। ভাঙড়ের বামনঘাটা অঞ্চলের ঢালী পাড়ার বাসিন্দা পিউ ঢালী।কিক বক্সি চাম্পিয়ান।কলকাতার সেন্ট লরেন্স স্কুলে পড়াশুনা, সাথে অদম্য জেদ ও জীবন সংগ্রাম সাথে পথ চলা অবিরাম। রাজ্যস্তরে একাধিক টুর্নামেন্টে সুনাম কুড়িয়েছে পিউ ঢালী।বিজেতা হিসাবে জয়লাভ করেছেন একাধিক স্বর্নপদক।এক্ষেত্রে কোচ নওসাদ আলি তাকে বিশেষ ভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলে তিনি জানান। এদিন সকালে যুব তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লার নেতৃত্বে বাইক মিছিল সহকারে কিক বক্সার পিউ ঢালীর বাড়ি ফুল, মিষ্টি নিয়ে উপস্থিত হন জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিক মজুমদার। তা দেখে রীতিমতো অবাক পিউ ঢালীর বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্যরা। মেয়ে পাড়ি দেবে গোয়ায়, কিছুদিন বাদেই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে সে, কিন্তু আর্থিক প্রতিবন্ধকতা যেন গ্রাস করেছে গোটা পরিবারকে, আর এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতৃবৃন্দরা। 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder