১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
BRAKING :

ইসলামপুর পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির
কৌস্তুভ দে সরকার, ইসলামপুর: ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এবার পদ্ম সাফ হয়ে গেল। ইমলামপুর ব্লকের একমাত্র বিজেপি পরিচালিত ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চলে এল তৃণমূলের দখলে। এভাবেই বিজেপির ভাঙ্গন অব্যাহত থাকল এখানে। এই ব্লকের তেরোটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে আট আসন বিশিষ্ট একটি জিপিতে মাত্র বিজেপি জিতেছিল। সেটিও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে গেল শুক্রবার। এই গ্রাম পঞ্চায়েতে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল এক, বিজেপি পাঁচ ও দুজন নির্দল প্রার্থী জিতেছিল। নির্দল দুজন আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিল। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এর বাসভবনে প্রধান, উপপ্রধানসহ বিজেপির চারজন যোগদান করে তৃণমূল কংগ্রেসে। যোগদান পর্বে উপস্থিত

সংসদে শুধু ‘অনুগত’ মিডিয়াকেই ছাড়পত্র কেন্দ্রের, সরব তৃণমূল
পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সংসদ চত্বরে অবাধ মিডিয়া প্রবেশে এবার লাগাম পরাল কেন্দ্রের মোদি সরকার। এবার থেকে লটারির মাধ্যমে মাত্র হাতেগোনা

গুরুতর অসুস্থ যশবন্ত সিনহা, উদ্বেগে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ গুরুতর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের

ভবিষ্যত মেয়রের জল্পনা জিইয়ে রাখল তৃণমূল, জনগণের পছন্দের শীর্ষে ফিরহাদ হাকিম
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এদিকে কলকাতার পুরভোটে মানুষ সবচেয়ে উদগ্রীব

দ্বন্দ্ব ভুলে এক মঞ্চে আরাবুল-কাইজার, একে-অপরকে যা বললেন
মুহাম্মদ ফিরোজ, ভাঙড়ঃ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দূরে সরিয়ে সৌজন্যের রাজনীতি ফিরল ভাঙড়ে। অনেকদিন পরে শাসকদলের একই মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গেল বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর নেতা আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদকে। যা দেখে খুশি ভাঙড়ের সাধারণ কর্মী সমর্থকরা, স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীও। মঙ্গলবার ভাঙড়ের শোনপুর বাজারে একটি কর্মী সভার আয়োজন করেন আরাবুল ইসলাম। সেই সভায় ভাঙড়ের দশটি অঞ্চল থেকে প্রধান, উপ প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিরা যোগদান করেন। আরাবুলের ডাকে জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলার সভানেত্রী মোনমোহিনী বিশ্বাস, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল, জেলার যুব সভাপতি অভীক মজুমদার প্রমুখ বক্তৃতা রাখেন। তৃণমূল জমানায় ভাঙড় মানেই আরাবুল, কাইজার, ওহিদুল ও নান্নুর আলাদা আলাদা গোষ্ঠী ও সেইসব গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি। কয়েক মাস আগে কঠিন অসুখে নান্নু হোসেন ও ওহিদুল ইসলাম মারা যান। তারপর থেকেই জেলা সভাপতির নির্দেশে আইএসএফের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াই করার বার্তা দেন আরাবুল ও কাইজার। এদিনের আরাবুলের সভায় যোগ দিয়ে কাইজার বলেন, ‘আরাবুলদা খুব ভাল মিটিং করছে, প্রচুর লোকের সমাগম হয়েছে।মাঠ আরও বড় হলে ভাল হত’। পাল্টা আরাবুল বলেন, ‘কাইজার অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক, সারা বছর মানুষের পাশে থাকে।‘ পরষ্পরের পিঠ চাপাড়ানি দেখে অবাক ভাঙড়ের নীচুস্তরের তৃণমূল কর্মীরা। কাইজার ছাড়াও এদিন আরাবুল বিরোধী বলে পরিচিত হবিবর রহমান বিশ্বাস, বাহারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে
ইনামুল হক, বসিরহাটঃ স্বরূপনগর বিধানসভা ও বাদুড়িয়া ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন বুথ থেকে প্রায় দেড় হাজার জন বিরোধী দল থেকে তৃণমূলে যোগদান করল। রবিবার সন্ধ্যায় রামচন্দ্রপুরে প্রকাশ্য জনসভায় তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি তথা স্বরূপনগরে বিধায়ক বীনা মন্ডল, বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজী আবদুর রহিম দিলু, স্ববরূপনর ব্লকের তৃণমূল নেতা রমেন সরদার, রামচন্দ্রপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহসীন মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

Breaking: আগরতলায় গ্রেফতার সায়নী
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ খুনের চেষ্টার অভিযোগে আগরতলায় গ্রেফতার তৃণমূল যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।ভিত্তিহীন অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের পক্ষে দাবি কুণাল ঘোষের।

প্রধানমন্ত্রী ভয়ে কৃষিবিল প্রত্যাহার করেছে! আর কি কি বললেন অনুব্রত
দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সবাই মডেল করছে। ২০২১-এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে ভোট করতে হয়, সমস্ত মানুষের জন্য উন্নয়নও সমান ভাবে করে গেছেন। তার দেখানো পথেই দেশের অনান্য রাজ্যের নেতারা ফলো করছে… ভয় পেয়েছে বিজেপি”। আসলে বিজেপির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে ঠিকেছে।” অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, ওরা গোল নিতে পারবে না। আবার বলছি, ২০২৪ –এ যে খেলা খেলবে ভারতবর্ষের মানুষ, সেখানে একবারে গোল দিয়ে, লাড্ডু খাইয়ে বিজেপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ভয়ঙ্কর গোল দেবে, গোল নিতে পারবে না। কৃষি আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার দুপুরে বোলপুরে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন যে, বিজেপির জনপ্রিয়তা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তাছাড়া সামনেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাবে ভোট –তাই বাধ্য হয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি বলেন, “শুধু কৃষি আইন কেন, অনেক কিছুই পাল্টাবে। দেশটাকে শেষ করে দিল। ৬০০ কৃষকের মৃত্যু। কৃষকরা এখনো রাজপথে রয়েছেন। ভারতবর্ষের মানুষকে আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রীর ফাঁদে যেন কেউ না পড়ে। তাঁর কথায়- এখন একটাই স্লোগান, বিজেপি হাটাও, দেশ বাঁচাও। আসলে সামনে পাঞ্জাব এবং উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষমা চাইছে প্রধানমন্ত্রী… এমনি ক্ষমা চাইছে…?”

বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অনাস্থায় হেরে তৃনমূলের দখলে
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: জয়নগর বিধানসভার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বিজেপি পরিচালিত বেলে দূর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল বিরোধী তৃণমূল। বিজেপির প্রধান মানু মণ্ডলের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়া, এলাকায় উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ এনে অনাস্থা আনা হয়। বুধবার বিশাল পুলিশি পাহারার মধ্যে দিয়ে জয়নগর দু’নম্বর বিডিওর উপস্থিতিতে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ জন সদস্য বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে বিজেপি ৬টি, সিপিএম ৩ টি, তৃণমূল ৬ টি এবং নির্দল তিনটি আসন পায়। বিজেপির ৬ জন, সিপিএমের ৩ জন ও ১ জন নির্দল মিলে বোর্ড গঠন করে। প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির মানু মন্ডল ও উপপ্রধান নির্বাচিত হন সিপিএমের নাসির উদ্দিন মন্ডল। জয়নগর বিধানসভার ভোটে তৃণমূল দ্বিতীয় বার বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসার পরে উন্নয়নের ধারাকে বজায় রাখতে ক্ষমতা বদল হতে শুরু করে। আর সেইমতো এই পঞ্চায়েতেও ক্ষমতায় থাকা সিপিএমের উপ প্রধান সহ তাঁর দলের ৩ জন ও ১ জন নির্দল সদস্য তৃনমূলে যোগ দেন। আর বুধবার ভোটাভুটিতে তৃনমূল ১৩-০ ভোটে জয়ী হয়। এদিনের ভোটাভুটিতে বিজেপির প্রধান মানু মন্ডল সহ ৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে জয়নগর ২ নং বিডিও মনোজ মল্লিক বলেন, প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থার ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন প্রধান নির্বাচন করা হবে। এ দিকে তৃনমুল অনৈতিক ভাবে ভয় দেখিয়ে এই পঞ্চায়েতের বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল সদস্যদের নিজেদের দলে টেনে ক্ষমতা দখল করেছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির বারুইপুর পূর্ব জেলা সভাপতি সুনিপ দাস।

এবার এক মঞ্চে বাম-কং-তৃণমুল, আওয়াজ উঠতে পারে দিল্লিতেও
পুবের কলম প্রতিবেদক, হাওড়া: এনটিসি বাঁচানোর দাবিতে হাওড়ার দাসনগর আরতি মিলের গেটের সামনে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ট্রেড ইউনিয়নের তরফ থেকে এদিন ওই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সভায় বক্তব্য রাখেন। আইএনটিটিইউসি, আইএনটিইউসি, সিটু সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। আরতি কটন মিলের পূর্ণ উৎপাদন চালু, কেন্দ্রীয় কাঠামো অনুযায়ী বেতন, অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ হয়। দেশব্যাপী ২৩টি এনটিসি মিলে অবিলম্বে পুরোদমে উৎপাদন চালু করার দাবিতে সোচ্চার হন বক্তারা। এদিন সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি দেশের সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখানে সিপিএম ছিল, টিএমসি এসেছে। এখানে বিজেপির ছোঁয়া মানেই অনিষ্ট হওয়া। বিজেপি আসার পর থেকেই ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বাংলায় ঢুকতে পারছে না সেহেতু এরা চাইছে যেভাবে হোক অসুবিধায় ফেলা। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে হবে। মিলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ না হলে কোনও লাভ নেই। কাল বা পরশু তাদের তাড়িয়ে দিতে পারে কারখানা থেকে। কোভিড পরিস্থিতিতে অর্ধেক বেতন দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের। এটা ব্যক্তিগত বা দলগত কোনভাবেই মানা যাচ্ছে না। এই ইস্যুতে সব দলই এককাট্টা হয়েছে। সব দল মিলে লড়াই করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা বাজে পার্টি। এরা ভারতবর্ষকে বেচবে। এবার দেশের আকাশটাকেও বেচে দেবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে। এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা জগন্নাথ ভট্টাচার্য্য জানান, প্রথম থেকেই আরতি কটন মিলের অবস্থা খুব খারাপ। কোনো পরিকল্পনা নেই। ২০১১ সালে আধুনিকীকরণের যে পরিকল্পনা করা হল তাও ভালভাবে গ্রহণ করা হল না। বিজেপি সরকার আসার পর এই মিলের শ্রমিকদের স্বার্থ তারা দেখছে না। হাওড়া একটা শিল্পনগরী। এখানে একাধিক কারখানা বন্ধ করে রিয়েল এস্টেট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। লকডাউনের পর এই মিলের শ্রমিকদের অবস্থা বিভীষিকাময়। তারা বোনাস পাননি। এ বছর লকডাউনের পর ১৫ থেকে ১৬ দিন কাজ করতে দিচ্ছে। বেতন খুব কম। তাই দাবি উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারি স্কেলে এদের বেতন দেওয়া হোক, স্থায়ীকরণ করা হোক, এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হোক এবং বকেয়া বেতনও অবিলম্বে দিতে হবে।