ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ৫৬ জনের মৃত্যু, আহত ৭০০

- আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
- / 7
পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০০র-ও বেশি মানুষ। রাজধানী জাকার্তাতেও কম্পনের তীব্রতা অনুভূত হয় এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া সংস্থা জানায়, জাকার্তার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২১ মিনিটে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়াঞ্জুর জেলার ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।
যদিও এ ভূমিকম্প থেকে সুনামির আশঙ্কা নেই বলে জানানো হয়েছে। সিয়াঞ্জুর প্রশাসনের মুখপাত্র অ্যাডাম বলেন, এখানে অর্ধ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। শত শত ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিয়াঞ্জুর জেলা প্রশাসনের প্রধান হারমান সুহেরম্যান বলেন, ‘আমি আপাতত যে তথ্য পেয়েছি, শুধুমাত্র একটি হাসপাতালেই অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কমপক্ষে ৩০০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভূমিকম্পে ধসে পড়া বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে।’ ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা গিয়ে জীবিতদের খোঁজ শুরু করেন। কয়েকটি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে বেশকিছু মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা-ইউএসজিএস। সোমবারের আগে সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলীয় শহর বেঙ্কুলুকু থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়া প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত প্রত্যক্ষ করে। ২০০৪ সালে সুমাত্রা উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও সুনামিতে এই অঞ্চলজুড়ে ২ লক্ষ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়ায় মারা যায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ। ২০১৮ সালে লম্বক দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫৫০ জনের মৃত্যু হয়। ২০২১-এ সুলাওসি দ্বীপে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে ৪,৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।