Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the login-customizer domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/u419551674/domains/puberkalom.in/public_html/wp-includes/functions.php on line 6121
৪০ উইঘুর মুসলিমকে চিনে ফেরত পাঠাল থাইল্যান্ড | Puber Kalom
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪০ উইঘুর মুসলিমকে চিনে ফেরত পাঠাল থাইল্যান্ড

সুস্মিতা
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার
  • / 13

অকথ্য নির্যাতনের আশঙ্কা মানবাধিকার কর্মীদের

ব্যাঙ্কক: মানবাধিকার সংস্থাগুলির আপত্তি উপেক্ষা করে অন্তত ৪০ জন উইঘুরকে চিনে ফেরত পাঠাল থাইল্যান্ড সরকার। ২০১৪ সালে চিন থেকে ৩০০ জন উইঘুর মুসলিম পালিয়ে থাইল্যান্ডে আসেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল সেখান থেকে তুরস্কে যাওয়ার। প্রসঙ্গত, তুরস্কে উইঘুর সম্প্রদায়ের অনেকেই থাকেন। কিন্তু সেখানে যাওয়া আর হয়নি আটকে উইঘুরদের। তাঁরা ব্যাঙ্ককে আটক হওয়ার পর সেখানেই বন্দি রয়েছেন। এবার তাঁদের মধ্যে থেকেই ৪০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে চিনে। গত মাসেই অনশনে বসেছিলেন ওই উইঘুর মুসলিমরা। তাঁদের দাবি ছিল, ফের চিনে গেলে তাঁদের দীর্ঘদিনের কারাবাস ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে। কিন্তু চিনের চাপে মাথা নত করে থাইল্যান্ড সরকার। বিবিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছ’টি ট্রাকে করে ওই উইঘুর মুসলিমদের চিনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
যদিও মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, বেজিংয়ে ফিরে গেলে ওই মুসলিমদের পড়তে হবে নিগ্রহের মুখে। তবুও থাইল্যান্ড প্রশাসন তাঁদের ফেরত পাঠাল। চিনে উইঘুরদের উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে সমালোচনা আজকের নয়। গত কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ উঠেছে, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে (ডিটেনশন ক্যাম্পে) রাখা হয়েছে। বলপূর্বক তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের একাধিক রিপোর্টেও উইঘুরদের বন্দি করার অভিযোগে নিশানা করা হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারকে।

কয়েক বছর আগে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানানো হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক হতভাগ্য উইঘুর মুসলিমরা! জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ড থেকে উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৪০ উইঘুর মুসলিমকে চিনে ফেরত পাঠাল থাইল্যান্ড

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, শুক্রবার

অকথ্য নির্যাতনের আশঙ্কা মানবাধিকার কর্মীদের

ব্যাঙ্কক: মানবাধিকার সংস্থাগুলির আপত্তি উপেক্ষা করে অন্তত ৪০ জন উইঘুরকে চিনে ফেরত পাঠাল থাইল্যান্ড সরকার। ২০১৪ সালে চিন থেকে ৩০০ জন উইঘুর মুসলিম পালিয়ে থাইল্যান্ডে আসেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল সেখান থেকে তুরস্কে যাওয়ার। প্রসঙ্গত, তুরস্কে উইঘুর সম্প্রদায়ের অনেকেই থাকেন। কিন্তু সেখানে যাওয়া আর হয়নি আটকে উইঘুরদের। তাঁরা ব্যাঙ্ককে আটক হওয়ার পর সেখানেই বন্দি রয়েছেন। এবার তাঁদের মধ্যে থেকেই ৪০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে চিনে। গত মাসেই অনশনে বসেছিলেন ওই উইঘুর মুসলিমরা। তাঁদের দাবি ছিল, ফের চিনে গেলে তাঁদের দীর্ঘদিনের কারাবাস ও ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে পড়তে হবে। কিন্তু চিনের চাপে মাথা নত করে থাইল্যান্ড সরকার। বিবিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছ’টি ট্রাকে করে ওই উইঘুর মুসলিমদের চিনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
যদিও মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, বেজিংয়ে ফিরে গেলে ওই মুসলিমদের পড়তে হবে নিগ্রহের মুখে। তবুও থাইল্যান্ড প্রশাসন তাঁদের ফেরত পাঠাল। চিনে উইঘুরদের উপরে হওয়া নির্যাতন নিয়ে সমালোচনা আজকের নয়। গত কয়েক বছর ধরেই অভিযোগ উঠেছে, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে (ডিটেনশন ক্যাম্পে) রাখা হয়েছে। বলপূর্বক তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের একাধিক রিপোর্টেও উইঘুরদের বন্দি করার অভিযোগে নিশানা করা হয়েছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকারকে।

কয়েক বছর আগে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানানো হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক হতভাগ্য উইঘুর মুসলিমরা! জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং! রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ড থেকে উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল।