২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই মাস বাড়ল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 26

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে ইয়েমেনের যুদ্ধরত পক্ষগুলি। মঙ্গলবার হুথি বিদ্রোহী ও সউদি আরবের মধ্যে আলোচনার পর  এই তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রসংঘ। দীর্ঘদিন আলোচনার পর ৬ মাসের যুদ্ধবিরতির  প্রস্তাব রাখা হলেও দুই মাসের বিরতিতে রাজি হয় ইয়েমেন ও সউদি আরব।

 

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সংকট তেমনই তীব্র খাদ্যসংকট। লক্ষ লক্ষ ইয়েমেনি একবেলা না খেয়েই কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে যুদ্ধের কারণে প্রতিদিন হচ্ছে প্রাণহানি। এর আগে রমযান মাসকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল সউদি আরব।

 

এরপর থেকে চুক্তি অনুযায়ী কয়েক মাস দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় মানুষের মনে আতঙ্ক দেখা দেয়। অবশেষে রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয় দু’পক্ষ। ছয় মাসের প্রস্তাব উঠলেও দু-মাসের জন্য তা কার্যকর করা হচ্ছে। এ ঘোষণার পর পরই নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে স্থানীয়রা। ভবিষ্যতে দেশে শান্তি ফিরবে বলেও আশাবাদী তারা।

 

এক ইয়েমেনি বলেন, ‘দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির খবরে আমি খুশি। দেরিতে হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমি আশাবাদী। তাড়াতাড়ি এ যুদ্ধ শেষ হোক। অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। আমি চাই না এভাবে আর কেউ মারা যাক।’ অপর একজন বলেন, ‘যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে আমরা মুক্তি চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হোক এই যুদ্ধ।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ দুই মাস বাড়ল

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে ইয়েমেনের যুদ্ধরত পক্ষগুলি। মঙ্গলবার হুথি বিদ্রোহী ও সউদি আরবের মধ্যে আলোচনার পর  এই তথ্য নিশ্চিত করে রাষ্ট্রসংঘ। দীর্ঘদিন আলোচনার পর ৬ মাসের যুদ্ধবিরতির  প্রস্তাব রাখা হলেও দুই মাসের বিরতিতে রাজি হয় ইয়েমেন ও সউদি আরব।

 

দীর্ঘ ৭ বছর ধরে যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সংকট তেমনই তীব্র খাদ্যসংকট। লক্ষ লক্ষ ইয়েমেনি একবেলা না খেয়েই কাটাচ্ছেন। এর মধ্যে যুদ্ধের কারণে প্রতিদিন হচ্ছে প্রাণহানি। এর আগে রমযান মাসকে সামনে রেখে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল সউদি আরব।

 

এরপর থেকে চুক্তি অনুযায়ী কয়েক মাস দেশটিতে যুদ্ধ বন্ধ থাকলেও চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে আসায় মানুষের মনে আতঙ্ক দেখা দেয়। অবশেষে রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হয় দু’পক্ষ। ছয় মাসের প্রস্তাব উঠলেও দু-মাসের জন্য তা কার্যকর করা হচ্ছে। এ ঘোষণার পর পরই নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে স্থানীয়রা। ভবিষ্যতে দেশে শান্তি ফিরবে বলেও আশাবাদী তারা।

 

এক ইয়েমেনি বলেন, ‘দুই মাসের জন্য যুদ্ধবিরতির খবরে আমি খুশি। দেরিতে হলেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমি আশাবাদী। তাড়াতাড়ি এ যুদ্ধ শেষ হোক। অনেকে প্রাণ হারাচ্ছে। আমি চাই না এভাবে আর কেউ মারা যাক।’ অপর একজন বলেন, ‘যুদ্ধের এই ভয়াবহতা থেকে আমরা মুক্তি চাই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হোক এই যুদ্ধ।’