হিংসা-হানাহানি-সহিংসতার দেশ আমেরিকা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা চায়!

- আপডেট : ৯ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 30
বিশেষ প্রতিবেদন: বিশ্ব মোড়ল নামে পরিচিত আমেরিকা। দেশটির ক্ষমতায় এসেই মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী নীতি গ্রহণ করেছে। বাইরের বিশ্বে কি হচ্ছে তাতে যেন প্রবল আগ্রহ আমেরিকার। বিশেষ করে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলির হিরে ও তেলের দিকে আমেরিকার নজর রয়েছে। জানা যায়, অন্য মহাদেশে গিয়ে উপনিবেশ বানিয়ে অনেক লুটপাট ও শোষণ করেছে মার্কিন সেনারা।
আমেরিকার জন্যই সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মতো দেশে গৃহযুদ্ধ বেধেছে। আফগানিস্তানে তো ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন সেনা নিরীহ মানুষদের হত্যা করেছে। বিদেশে শান্তিরক্ষার নামে অস্থিতিশীলতা ও যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার নীতি নিয়ে চলা এই আমেরিকার নিজের ঘরের রেকর্ড অবশ্য বর্তমানে খুব ভালো নয়। জানা যাচ্ছে, মার্কিনিরা নিজেরাই নিজেদেরকে মারছে ও খুন করছে।
আর এই আমেরিকা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায়! বিশ্লেষকরা বলছেন, যার ঘরেই শান্তি নেই সেই দেশ বাইরের বিশ্বে কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০২২ সালে আমেরিকায় বন্দুক সহিংসতায় ৪০ হাজারেরও বেশি মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে। এ থেকে মনে হচ্ছে যেন দেশটিতে গৃহযুদ্ধ বেধে গেছে। আসলে মার্কিন সংস্কৃতি এখন উগ্র রূপ নিয়েছে। দেশটির সুপারমার্কেট, স্কুল, শপিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় এমনকী পথঘাটও সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। দেশটিতে বর্ণবিদ্বেষী, উগ্রডানপন্থী ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীরা হামেশাই বন্দুক হামলা চালিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। আর আমেরিকায় তো ঘরে ঘরে আগ্নেয়াস্ত্র।
সম্প্রতি দেশটির মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের এক স্কুলে এক শিক্ষককে প্রকাশ্যে গুলি করেছে এক ৬ বছরের শিশু। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শিক্ষক। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে, দেশটি এক ভয়াবহ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছে। গবেষকরা বলছেন, আমেরিকায় আগামীতে এমন সময় আসবে যখন দেশটির রাস্তা-ঘাটে রক্তপিপাসু দস্যুরা ঘুরে বেড়াবে। ঝগড়া , উগ্রতা , মারামারি, কাটাকাটি, হানাহানি, হত্যা, সহিংসতা ও হিংস্রতার অপসংস্কৃতিতে ভরে যাবে মার্কিন সমাজ। তাই এখন প্রশ্ন ওঠে, যে দেশ নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সঠিক পথে চালাতে অক্ষম সেই দেশ কীভাবে বিশ্বকে নিরাপত্তা দেবে?