১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়াল , শেষের পথে উদ্ধার অভিযান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই দুর্যোগের ১২ দিন পর নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। দুই দেশে আহত লক্ষাধিক। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও মরদেহ বের করছেন উদ্ধারকারীরা। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

 

এই ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৮৪ হাজারেরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ অনেকে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সেজার বলেছেন, রবিবার রাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ হিসাবে জানান, ১৩ দিনেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় এখন জীবিতদের উদ্ধারের আশা একেবারেই কম।

 

ইতিমধ্যে ভূমিকম্পে সহজেই ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলির বিল্ডারদের আটকের নির্দেশ দিয়েছে তুরস্ক সরকার। কীভাবে তাসের ঘরের মতো হাজার হাজার বিল্ডিং ধ্বসে গেল তা জানতে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে এরদোগান সরকার। বর্তমানে ধ্বংসস্তূপ সাফাইয়ের কাজেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন। সরকার জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকে নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে যা দেওয়া হবে ভূমিকম্পে সর্বহারা পরিবারগুলিকে। তবে এবার থেকে ৪ তলার বেশি ভবন তোলার অনুমতি দেবে না সরকার। দেশবাসীর স্বাস্থ্য নিয়ে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা বলেছেন, ‘শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়লেও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টির মতো কিছু হয়নি। আমাদের অগ্রাধিকার সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা।’

 

এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ার বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেন, সিরিয়া ও তুর্কি সরকার খুব ভালোভাবে সহযোগিতা করছে। কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিসলে বলেন, ‘আমাদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ক্রস-লাইন অপারেশন চলমান থাকায় উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। আমাদের ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়াল , শেষের পথে উদ্ধার অভিযান

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা। ভয়াবহ এই দুর্যোগের ১২ দিন পর নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। দুই দেশে আহত লক্ষাধিক। ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও মরদেহ বের করছেন উদ্ধারকারীরা। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

 

এই ভূমিকম্পে তুরস্কের প্রায় ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ৮৪ হাজারেরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ অনেকে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) প্রধান ইউনুস সেজার বলেছেন, রবিবার রাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ হিসাবে জানান, ১৩ দিনেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় এখন জীবিতদের উদ্ধারের আশা একেবারেই কম।

 

ইতিমধ্যে ভূমিকম্পে সহজেই ধ্বংস হওয়া বিল্ডিংগুলির বিল্ডারদের আটকের নির্দেশ দিয়েছে তুরস্ক সরকার। কীভাবে তাসের ঘরের মতো হাজার হাজার বিল্ডিং ধ্বসে গেল তা জানতে তদন্ত করা হবে বলেও জানিয়েছে এরদোগান সরকার। বর্তমানে ধ্বংসস্তূপ সাফাইয়ের কাজেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন। সরকার জানিয়েছে, মার্চ মাস থেকে নতুন ঘর-বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হবে যা দেওয়া হবে ভূমিকম্পে সর্বহারা পরিবারগুলিকে। তবে এবার থেকে ৪ তলার বেশি ভবন তোলার অনুমতি দেবে না সরকার। দেশবাসীর স্বাস্থ্য নিয়ে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেত্তিন কোচা বলেছেন, ‘শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়লেও জনস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টির মতো কিছু হয়নি। আমাদের অগ্রাধিকার সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা।’

 

এদিকে, তুরস্ক ও সিরিয়ার বর্তমান সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের ডাক দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক ডেভিড বিসলে বলেন, সিরিয়া ও তুর্কি সরকার খুব ভালোভাবে সহযোগিতা করছে। কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় রাষ্ট্রসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিসলে বলেন, ‘আমাদের নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। ক্রস-লাইন অপারেশন চলমান থাকায় উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ আমাদের প্রবেশাধিকার দিচ্ছে না। আমাদের ত্রাণ সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।’