০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেআইনি বাজি কারবার রুখতে নবান্নের নির্দেশে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 10

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে বেআইনি বাজির কারখানা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেআইনি বাজি কারখানাগুলিকে চিহ্নিত করতে এবং এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা রুখতে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ক্যাবিনেট বৈঠকের পর রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে বেআইনি বাজির ব্যবসা রুখতে সেই কমিটি প্রয়োজন হলে বিভিন্ন ক্লাস্টার তৈরি করবে। যারা কিনা এই বেআইনি বাজি ব্যবসা ও মজুদ রুখতে এবং যারা এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিষয়ে ভবিষ্যতে নজরদারি ও পরিকল্পনা উভয়ই গ্রহণ করতে পারে। বাজি কারখানাগুলির ওপর নজরদারি করতে প্রতি দুমাসে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। গ্রীন বাজি কারখানাগুলোকে একত্রিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাজি শিল্পকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।

পুলিশকে বেআইনি বাজি কারখানার ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। পুলিশকে খবর রাখতে হবে বলে বলেন, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বেআইনি বাজি কারবারের গুদাম বা কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর পর তৎপর হয়েছে নবান্ন।

এদিকে রবিবার রাতে এগরার পর বজবজে বেআইনি বাজি মজুত থাকা বাড়িতে ধূপের কাঠির আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তিন জনের মৃত্যু হয়। রবিবার রাত থেকেই এই ঘটনার পর তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা ও বজবজ এলাকায় বেআইনি মজুত থাকা বাজি উদ্ধার করতে অভিযানে নামে পুলিশ। রাজ্যে কয়লা তোলার একের পর এক খাদান বন্ধ হওয়ার জন্য অবৈধ কার্যকলাপ বাড়ছে।

ইস্টার্ন কোল ফিল্ড ও ইসিএলকে জমি দেওয়া হয়েছে। ইস্টার্ন রেলকে ২.৫৬ একর জমি ফ্রেড করিডর করার জন্যও দেওয়া হয়েছে। কয়লা খাদান চললে কর্মসংস্থান হবে। আসানসোলে রাজ্যের সহায়তায় ৬টা নতুন খাদান চালু হতে চলেছে। অবৈধ কয়লা উত্তোলন হচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী মলয় ঘটক।

এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্যাবিনেট বৈঠকে। রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে ইসিএলকে জমি দেওয়ার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেআইনি বাজি কারবার রুখতে নবান্নের নির্দেশে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত

আপডেট : ২৩ মে ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে বেআইনি বাজির কারখানা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেআইনি বাজি কারখানা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেআইনি বাজি কারখানাগুলিকে চিহ্নিত করতে এবং এই ধরনের অবৈধ ব্যবসা রুখতে মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ক্যাবিনেট বৈঠকের পর রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, বিশেষ কমিটি গঠন করা হচ্ছে বেআইনি বাজির ব্যবসা রুখতে সেই কমিটি প্রয়োজন হলে বিভিন্ন ক্লাস্টার তৈরি করবে। যারা কিনা এই বেআইনি বাজি ব্যবসা ও মজুদ রুখতে এবং যারা এই কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিষয়ে ভবিষ্যতে নজরদারি ও পরিকল্পনা উভয়ই গ্রহণ করতে পারে। বাজি কারখানাগুলির ওপর নজরদারি করতে প্রতি দুমাসে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। গ্রীন বাজি কারখানাগুলোকে একত্রিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাজি শিল্পকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।

পুলিশকে বেআইনি বাজি কারখানার ওপর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। পুলিশকে খবর রাখতে হবে বলে বলেন, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের একাধিক জায়গায় বেআইনি বাজি কারবারের গুদাম বা কারখানায় বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যুর পর তৎপর হয়েছে নবান্ন।

এদিকে রবিবার রাতে এগরার পর বজবজে বেআইনি বাজি মজুত থাকা বাড়িতে ধূপের কাঠির আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তিন জনের মৃত্যু হয়। রবিবার রাত থেকেই এই ঘটনার পর তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। সোমবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা ও বজবজ এলাকায় বেআইনি মজুত থাকা বাজি উদ্ধার করতে অভিযানে নামে পুলিশ। রাজ্যে কয়লা তোলার একের পর এক খাদান বন্ধ হওয়ার জন্য অবৈধ কার্যকলাপ বাড়ছে।

ইস্টার্ন কোল ফিল্ড ও ইসিএলকে জমি দেওয়া হয়েছে। ইস্টার্ন রেলকে ২.৫৬ একর জমি ফ্রেড করিডর করার জন্যও দেওয়া হয়েছে। কয়লা খাদান চললে কর্মসংস্থান হবে। আসানসোলে রাজ্যের সহায়তায় ৬টা নতুন খাদান চালু হতে চলেছে। অবৈধ কয়লা উত্তোলন হচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী মলয় ঘটক।

এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্যাবিনেট বৈঠকে। রাজ্যে কর্মসংস্থান বাড়াতে ইসিএলকে জমি দেওয়ার সিধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।