১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চলছিল বিচ্ছেদ মামলার শুনানি,আদালতেই স্ত্রীর গলা কেটে খুন

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আদালতে চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি। আদালত চত্বরেই স্ত্রীর গলা কেটে খুন করল স্বামী! গোটা ঘটনায় হতবাক হয়ে যান বিচারক থেকে শুরু করে আদালতে উপস্থিত লোকজন।

শনিবার এমনই মারাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্নাটকের হাসানের একটি পরিবার আদালত। কর্নাটক পুলিশ সূত্রে খবর, ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় হাড় হিম করা কাণ্ড।

স্থানীয় লোকজন লোকটিকে ধরে পুলিশের হাতে দেয়। মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। খুন হওয়ার কয়েক মিনিট আগেই উভয়েই বলেছিল তারা ছোটোখাটো সমস্যাটি মিটিয়ে ফেলবে। ৭ বছরের দাম্পত্য তারা ভাঙবে না।

জানা গিয়েছে, শুনানির পর আদালতের শৌচালয়ে গিয়েছিলেন চিত্রা। সেই সময় তাঁর পিছু নেয় শিবকুমার। হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বের করে সোজা কোপ বসায় স্ত্রীর গলায়। তরুণীর আর্ত চিৎকারে দৌড়ে যান সবাই। রক্তাক্ত অবস্থায় চিত্রাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, চিত্রার উভয় ধমনী কেটে গিয়েছিল। অভিযুক্ত শিবকুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগেও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে শিবকুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ।

কি করে লোকটি ছুরি নিয়ে ঢুকল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। কোর্ট চত্বরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। কি করে অভিযুক্ত ছুরি নিয়ে আদালত চত্বরে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত খুন কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জেরায় সবটা জানে যাবে বলে মনে করছেন হাসানের সিনিয়র পুলিশকর্তা হরিরাম শংকর।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চলছিল বিচ্ছেদ মামলার শুনানি,আদালতেই স্ত্রীর গলা কেটে খুন

আপডেট : ১৫ অগাস্ট ২০২২, সোমবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: আদালতে চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার শুনানি। আদালত চত্বরেই স্ত্রীর গলা কেটে খুন করল স্বামী! গোটা ঘটনায় হতবাক হয়ে যান বিচারক থেকে শুরু করে আদালতে উপস্থিত লোকজন।

শনিবার এমনই মারাত্মক ঘটনার সাক্ষী থাকল কর্নাটকের হাসানের একটি পরিবার আদালত। কর্নাটক পুলিশ সূত্রে খবর, ৩২ বছর বয়সি শিবকুমার এবং ২৮ বছরের চিত্রার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব শোনার পর মামলার পরবর্তী দিন জানান বিচারক। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় হাড় হিম করা কাণ্ড।

স্থানীয় লোকজন লোকটিকে ধরে পুলিশের হাতে দেয়। মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। খুন হওয়ার কয়েক মিনিট আগেই উভয়েই বলেছিল তারা ছোটোখাটো সমস্যাটি মিটিয়ে ফেলবে। ৭ বছরের দাম্পত্য তারা ভাঙবে না।

জানা গিয়েছে, শুনানির পর আদালতের শৌচালয়ে গিয়েছিলেন চিত্রা। সেই সময় তাঁর পিছু নেয় শিবকুমার। হঠাৎ পকেট থেকে ছুরি বের করে সোজা কোপ বসায় স্ত্রীর গলায়। তরুণীর আর্ত চিৎকারে দৌড়ে যান সবাই। রক্তাক্ত অবস্থায় চিত্রাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, চিত্রার উভয় ধমনী কেটে গিয়েছিল। অভিযুক্ত শিবকুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, আগেও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে শিবকুমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ।

কি করে লোকটি ছুরি নিয়ে ঢুকল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। কোর্ট চত্বরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। কি করে অভিযুক্ত ছুরি নিয়ে আদালত চত্বরে এল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত খুন কিনা তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জেরায় সবটা জানে যাবে বলে মনে করছেন হাসানের সিনিয়র পুলিশকর্তা হরিরাম শংকর।