মদ্যপ অবস্থায় মারধর ও শারীরিক নির্যাতন, রেগে গিয়ে স্বমীর যৌনাঙ্গ কেটে খুন করলেন পঞ্চম স্ত্রী

- আপডেট : ৪ মার্চ ২০২৩, শনিবার
- / 16
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মাদকাসক্ত ছিলেন স্বামী। মাদক সেবনের পর রোজ স্ত্রী কে মারতেন। দিনের পর দিন সেই অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলিতে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম বিরেন্দর গুর্জর। তাঁর স্ত্রী কাঞ্চন গুর্জর গত ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে খুন করে। এরপরে দেহটি কাপড়ে মুড়িয়ে রাস্তার ধারে ফেলে রেখে আসে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বীরেন্দ্রর পঞ্চম স্ত্রী ছিলেন কাঞ্চন। এর আগেও বীরেন্দ্রের হাতে হয়রানির শিকার হয়ে চার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রর দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে যে, গলা এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে
উল্লেখ্য, এই হত্যাকাণ্ডে বীরেন্দ্রর পঞ্চম স্ত্রী নিজেই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে। তারপর থেকেই পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ এরপর মৃত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। চলে জেরা ও জিজ্ঞাসাবাদ। তখনই বিভিন্ন ঘটনাক্রমে সন্দেহের কবলে আসেন মৃত ব্যক্তির পঞ্চম স্ত্রী। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে জেরার চাপে অপরাধ স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত।
ধৃত কাঞ্চন জানায়, তাঁর স্বামী মাদকাসক্ত ছিল। নেশা করে তাঁকে প্রায়দিনই মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে খুন করার পরিকল্পনা করে।
ঘটনার দিন, অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি কাঞ্চন তাঁর স্বামীর খাবারের মধ্যে ২০টি ঘুমের ওষুধ মেশায়। স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে কুড়ুল দিয়ে প্রথমে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করে এবং পরে যৌনাঙ্গ কেটে দেয়। এরপরই ওই যুবকের মৃত্যু হয়। খুনের পরে স্বামীর দেহ কাপড়ে পেঁচিয়ে রাস্তার ধারে নিয়ে এসে ফেলে দেয়। প্রমাণ লোপাট করতে স্বামীর জামা ও জুতোও পুড়িয়ে দেয় সে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত কাঞ্চন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছে সে।