বসন্তের মাঝারি তাপমাত্রায় কাটবে রমযান মাস , এ বছর কত ঘণ্টার রোযা?

- আপডেট : ২৪ জানুয়ারী ২০২৩, মঙ্গলবার
- / 10
পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পবিত্র রমযান মাসের সময়সূচি নিয়ে মুসলিমদের সবসময় আগ্রহ থাকে। রমযানের শুরুটা হয় চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে। মধ্যপ্রাচ্য থেকেই রমযান শুরুর ঘোষণা করা হয়ে থাকে। আর এ বছর রমযান ঠিক কবে থেকে শুরু হচ্ছে তা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জ্যোতির্বিদ্যা সোসাইটি। এবছর আমিরশাহীর নাগরিকরা বসন্তের মাঝারি তাপমাত্রায় রমযান মাস পালন করবেন। প্রতিদিন রোযা হবে ১৪ ঘণ্টার। এমনটাই জানিয়েছেন, এমিরেটস অ্যাস্ট্রনমি সোস্যাইটির বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম আল জারওয়ান।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মার্চের ২১ তারিখ, মঙ্গলবার, সূর্যাস্তের পর ৯টা ২৩ মিনিটে আকাশে একটি সুতোর মতো চাঁদ দেখা যাবে এবং পরের দিন চাঁদটি পশ্চিম দিগন্তের ১০ ডিগ্রি উপরে থাকবে এবং ৫০ মিনিট পরে অস্ত যাবে। ফলে হিজরি বর্ষ ১৪৪৪-এর পবিত্র রমযান মাস শুরু হবে বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ থেকে। এই হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩-এর পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন হবে এপ্রিলের ২১ তারিখ।
জ্যোতির্বিদ্যা বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানান, শাওয়াল মাসের নয়া চাঁদ দেখা যাবে বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ৮টা ১৩ মিনিটে যা থাকবে পশ্চিম দিগন্তের ৪ ডিগ্রি ওপরে। ফলে ২১ এপ্রিল হবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন। তিনি আরও বলেন, এ বছর রমযানের শুরুতে আমিরশাহীতে রোযা রাখার সময় ১৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিট হবে এবং মাসের শেষে সময় বেড়ে হবে ১৪ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। এবছর জ্যোতির্বিদ্যাগতভাবে মার্চের ২১ তারিখ থেকে বসন্তের শুরু হওয়ায় এ বছরের রমযানকে ‘বসন্তের রমযান’ বলে ডাকা হচ্ছে। এবছর রমযান মাসের শুরুতে তাপমাত্রা থাকবে ১৭ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে এবং মাসের শেষের দিকে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়বে।
উল্লেখ্য, আরবি মাসের শুরু ও শেষ সাধারণত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। আরবি ক্যালেন্ডারে নবম মাস রমযান। এই মাসের নাম এসেছে আরবি ‘রামাদ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ ‘তপ্ত’ বা ‘শুষ্কতা’। রমযান মাস দোয়া কবুলের মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রমযান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।’ এ সময় সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টিলাভের আশায় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোযা পালন করেন। রমযান শেষে শাওয়াল মাসের প্রথমদিন উদযাপিত হয় মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।