দেশে বাড়ছে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা
দেশের মোট আক্রান্ত ২,৪৪,৩৬৪ (নতুন আক্রান্ত ৬৮,৪৭১)
মহারাষ্ট্র ৩,৮৯,৬২৯ জন
অন্ধ্রপ্রদেশ ৩,২০,২২২
কর্নাটক ২, ৮০, ৪৯৭
উত্তরপ্রদেশ ১, ৯৭,৪৫১
তামিলনাড়ু ১, ৫৮,১৬৪
তেলেঙ্গানা ১,৫৮,১৬৪
বিহার ১, ৫৫, ৬৪৬
গুজরাত ১, ২০, ৩১২
পশ্চিমবঙ্গ ৭৭, ২২০
মণিপুর ২৪, ৪৭২
ত্রিপুরা ১০,১২৬
ছত্তিশগড় ৮,২৭১
সেখ কুতুবউদ্দিন: দেশে বাড়ছে এইডস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই তুলনায় এ রাজ্যে কম। এইডস নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অর্থাৎ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আরও সচেতনতার উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তবে এই রাজ্যে এই সংখ্যাটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যেও এইডস রোগ ছড়াচ্ছে। সেই জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা ‘পুবের কলম’কে বলেন, তুলনামূলকভাবে এ রাজ্যে এইডস-এ আক্রান্ত কম। পশ্চিমবঙ্গে শতকরা হারে ৮ শতাংশ। অন্য রাজ্যে বেশি। এ রাজ্যের মধ্যে উত্তরবঙ্গে মানুষ আক্রান্ত বেশি। এ রাজ্যে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১৯৫৬ জন। প্রতিটি জেলায় এইডস সচেতনতা-প্রচার অব্যাহত রয়েছে। ৬৫ হাজার এইডস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলছে। এইডস আক্রান্ত মহিলাদের থেকে যাতে শিশু জন্ম নিতে না পারে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে খোঁজ মিলছে এইআইভি আক্রান্তের। এর জন্য নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। এইডস সচেনতনায় এবাব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
কেন্দ্র সরকারের এক রিপোর্ট বলছে, (২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত) বর্তমানে সারা ভারতে এইডস রোগে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৬৪ জন। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে সব থেকে আক্রান্ত বেশি, ৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৬২৯ জন। অন্ধ্রপ্রদেশের ৩ লক্ষ ২০ হাজার ২২২ জন। কর্নাটকে আক্রান্ত ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৯৭ জন। উত্তরপ্রদেশে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৫১। তামিলনাড়ুতে ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৮৯৩। তেলেঙ্গানায় ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ১৬৪। বিহারে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৬৪৬। গুজরাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৩১২। পশ্চিমবঙ্গে ৭৭ হাজার ২২০ জন। মণিপুরে ২৪ হাজার ৪৭২ জন। ছত্তিশগড়ে ৮ হাজার ২৭১ জন আক্রান্ত। সারা ভারতে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৪৭১ জন। সব থেকে বেশি মণিপুরে, ০.৮৭ শতাংশ, মিজোরামে ০.৭৩ শতাংশ। অন্ধ্রপ্রদেশে ০.৬২ শতাংশ। ভারতে মোট আক্রান্তের শতকরা ০.২০ শতাংশ।
হিউম্যান ইমিউনো ডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) থেকে এইডস রোগ ছড়ায়। মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে রক্তের মাধ্যমে বা যৌনমিলনে এই রোগ ছড়াতে পারে। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। তবে এই রোগের সংখ্যা কমেনি। বিশ্বজুড়ে এইডস রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে বলে জানিয়েছেন এক গবেষক। ২০০৫ সালের তুলনায় এ’ন অনেকটাই কমেছে সংক্রমণ।
বর্তমানে ভারতের অবস্থান কেমন, এই নিয়ে এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে কমেছে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা। আগে যে পরিমাণ আক্রান্ত ছিল, তার চেয়ে সংখ্যাটা অনেকটাই কমেছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত। অন্য এক রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালে বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিন কোটি মানুষের। আক্রান্ত প্রায় চার কোটি। সংখ্যাটা যেমনই হোক, এইডস দিবসে এই নিয়ে মানুষকে সচেতন করাই হল প্রধান লক্ষ্য। আক্রান্তের সংখ্যা কোনওভাবেই যাতে না বাড়ে, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে বিভিন্ন দেশ ও রাজ্য।